ইউটিউবে প্রোডাক্টের রিভিও (আসলে বিজ্ঞাপন) দেখে দেখে প্রোডাক্টিভিটি বাড়ানোর জন্য মোবাইল, ট্যাব কিন্ডল সব কেনা হয়েছে। সব ব্যাবহার করার পরে বুঝতে পারলাম যে কাজ করার জন্য হোক আর অন্তর্জালে ঘড়াঘুড়ির জন্যই হোক আসলে ল্যাপটপ বা ডেক্সটপের উপরে জিনিশ নাই। মোবাইলে ঢুকলে শুধু ফেসবুক গুতানো হয় আর ফেসবুক বর্তমানে বস্তির বাজার থেকেও ভয়াবহ রূপ ধারন করেছে। যাই হোক , সারাদিন কাজের পরে এত ডিভাইস আর এত এপস ঠেলে ল্যাপটপে বসাই মুস্কিল। আর বসলেও সময় দেয়া মুস্কিল। ব্লগের একটা মোবাইল এপস বের করা খুব দরকার, সেই সাথে নির্দিস্ট পরিমান অক্ষর না হলে ব্লগে লেখা পাবলিশ হবে না সেই নিয়ম ও করে দেয়া দরকার।
গুগল কিপ এপ্লিকেশন টা আমার খুব ভাল লাগে। আমার মাথায় যখন যা চিন্তা আসে তা লিখি। সেই সবই কিছু চিন্তা আপনাদের সাথে শেয়ার করছি
১/ ফেসবুকে ধর্মীয় কোন লিখায় কমেন্ট / আলোচনা করতে ভয় পাই, ধার্মিক জনগন যেভাবে মা বাপ তুলে গালাগালি করা আরম্ভ করেন যে ধর্মের সারবত্তা সম্পর্কে সন্দিহান হয়ে যাই। অতি ধার্মিক জনগনের ধর্মের অবস্থা দেখে দিন দিন সম্ভবত আমি নাস্তিক হয়ে যাচ্ছি।
২/ ই অরেঞ্জ কোম্পানী প্রোডাক্ট ডেলিভারী দিচ্ছেনা তাই সবাই এই কোম্পানীর ব্র্যান্ড এম্বাসেডর মাশরাফীকে ধরেছে,তার বাসার সামনে ভীড় করেছে। ইভ্যালিওতো প্রডাক্ট দিচ্ছেনা তাহলে কি তাহসানকে ধরা উচিত নয়? তাহসান তো ইভ্যালির ব্র্যান্ড এম্বাসেডর। মাশরাফী তো যথেস্ট সাহাজ্য করছে দেখলাম, এর পেছনে কি রাজনীতি দায়ী?
৩/ যদিও কেউ দেশী ইকমার্স শপ থেকে ঠিকঠাকমত সেবা পাচ্ছেন না তার পরেও এটা নিয়ে কথা বলতে গেলে গালাগালির তুবড়ি ছুটছে। বাংগালী কি একটি গালিবাজ জাতি। এখন মুক্তিযুদ্ধ হলে সম্ভবত এরা গালি দিয়েই পাকী মেরে ফেলতো। যদিও তারা গালি দিয়ে ইন্ডিয়াকে খুব একটা সাইজ করতে পাচ্ছে না, গালিতেই শহীদ হয়ে যাচ্ছে।
৪/ ইদানিং ফেসবুকে সংবাদপত্রের পেজ গুলোতে সংবাদ বিষয়ক পোস্টে সাংবাদিকদের মা বাপ তুলে গালাগালি করা হয় দেখলাম, এটা মনে হয় নূতন ট্রেন্ড। সাংবাদিকেরা সমাজের আয়না। তাদের যদি এভাবে গালাগালি করা হয় তাহলে সেই সমাজ ঠিক কোথায় আছে ভাবতে গায়ে কাঁটা দিয়ে ওঠে।
৫/ ইউটিউবে নাটকের নিচে নবীজী এবং ধর্ম নিয়ে কমেন্ট দেখতে পাওয়া যায়। যারা নাটক সিনেমার নীচে পয়গম্বর এবং আলাহ কে নিয়ে কমেন্ট করে তারা আসলে কারা।
৬/ বাংলাদেশের অবস্থাও কি শ্রীলংকা আর কেনিয়ার মত হবে। চায়নার টাকা দিয়ে যেখানে যে উন্নয়নের দরকার নেই তাই হচ্ছে। ঋনের জালে আটোকে পরছি আমরা। কক্সবাজারে হচ্ছে সুবিশাল এয়ারপোর্ট, কিন্তু কেন?? আমাদের ঢাকা এয়ারপোর্টের করূন অবস্থা দেখলে কান্না পায়। কর্নফুলীর নিচে সুরংগ আর ঢাকায় মেট্রো রেল দিয়ে আমাদের ঠিক কি ধরনের উন্নয়ন হবে। ঢাকার রাস্তাঘাটের অবস্থার সাথে যুদ্ধ বিদ্ধস্ত কাবুলের রাস্তাঘাটের পার্থক্য কোথায়।
৭/ ধর্ম মানুষকে সহনশীল হবার শিক্ষা দেয়। কিন্তু ফেসবুকে পেপার পত্রিকার সংবাদের পোস্টের নিচের কমেন্ট পড়লে তা মনে হয় না।
অধিকাংশ কমেন্ট পড়লে মনে হয় যে ধর্ম আসলে নারীদের বুকে পিঠে বাধা । নারীদের জন্যই ধর্ম।
৮/ একবার ভাবুন তো আপনি ঠিক কি দেখে কোন প্রতিষ্ঠানের সদস্য হবার জন্য আগ্রহী হবেন। ধরেন আপনি একজন একটা স্কুলে ভর্তি হবেন। সেই স্কুলের সামনে গিয়ে দেখলেন যে সেই স্কুলের ছাত্র ছাত্রীরা সমানে গালি গালাজ করছে, পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন করছে, কেউ তাদের স্কুল নিয়ে উল্টাপালটা বললেই তাকে ছুড়ি চাপাতি দিয়ে জবাই করে ফেলছে। আপনি সেই স্কুলের ভালত্বের ব্যাপারে সন্দেহ পোষন করলে আপনাকে গায়ে পড়ে উপদেশ দেবার মত করে সেই স্কুলের গুনগান গাইছে, এবং বলছে কতিপয় ছাত্রের জন্য স্কুলকে দোষারোপ করা ঠিক নয়। তারা অন্য স্কুলের ছাত্রদের প্রতিও সহশীল নয়। যদিও স্কুল কিন্তু এসব শিক্ষা দেয় না। তখন আমাদের সেই স্কুলে ভর্তি হওয়া বা সেই স্কুলের আশে পাশে দিয়েও হাটা ঠিক কিনা সেই চিন্তা ভাবনা করা দরকার বলে আমি মনে করি।
৯/ যত পারছি সোশাল মিডিয়া বাদ দেবার চেস্টা করছি, কিন্তু কতটুকু সফল হচ্ছি ঠিক বোঝা যাচ্ছেনা
অনেক টপিক ঘুরে ফিরে এসেছে, আসলে যখন যা মাথায় ঢুকে তাই আরকি । ধন্যবাদ সকলকে
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩৬