কেরোসিন একসময় বাংলার ঘরে ঘরে খুব দরকারী কমোডিটি ছিল, হারিকেন ছিল কমন বস্তু। রাত হলে কারেন্ট থাকবেনা এটা ছিল খুবই নরমাল ব্যাপার। ঘন্টার পর ঘন্টা কারেন্ট নাই। মোমবাতি খুবই খরচান্ত ব্যাপার ছিল, কারন এক মোমবাতিতে এক লোডশেডিং যায় না। তাই দরকার হারিকেন।
যে সময়ের কথা বলছি সে সময় চার্জ লাইট ছিল বড়লোকদের জিনিশ। যাদের নানা, মামা, চাচা, বাবা মিডলইস্ট থাকে তারা একটা চার্জলাইট নিয়ে আসতো দেশে। লালরংগের, ছোট ছোট টিউব লাইট।
হারিকেনের অত্যবশ্যকিয় উপাদান হল কেরোসিন। বাসায় আলাদা একটা দড়ি লাগানো ময়লা বোতল থাকতো কেরোসিনের জন্য। বাংলাদেশের তুলনায় ইন্ডিয়ায় কেরোসিনের দাম বেশী, তাই বাংলাদেশের কেরোসিন ইন্ডিয়ায় পাচার হতো খুব। তাই সরকার সিদ্ধান্ত নিল যে কেরোসিনে রং করে দিতে হবে।
হঠাৎ একদিন খেয়াল করলাম কেরোসিন হয়ে গেছে নীল। সুন্দর কালার। চোরাকারবারিদের মাথায় হাত।
এত কথা বলার কারন হলো সরকারী ত্রান চুরী হচ্ছে। চাল ডাল আলু ত্রানের মাল খাচ্ছে চেয়ারম্যান আর মেম্বার। খোলা বাজারে বিক্রি হয়ে যাচ্ছে বস্তা বস্তা ত্রানের চাল। যারা ভাগ্যবান তারা হয়তোবা পাচকেজির জায়গাতে এককেজি পাচ্ছেন।
তাই আমার উপদেশ হচ্ছে ত্রানের চাল ডাল আলু এসব রং করে দেয়া হোক। বাজারে যেনো এই চাল দেখলেই বোঝা যায় এসব চুরির মাল। লাল, হলুদ, নীল, বেগুনী যেকোন ফুডগ্রেড কালার।তাহলে হয়তোবা গরীবদের হাতে কিছু হলেও ত্রান যাবে।