somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মিথ্যায় ডিগ্রি নেয়া আহমদ আজম খান, শাহবাগে টাকা চাইতে গিয়ে দৌড় খেয়েছি ...

১৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ২:১৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ম্যাডাম মুফতি বেজিখা’র উপদেষ্টা আহমদ আজম খান আজ ব্যাপক মিথ্যা চর্চা করলেন। উনি অবশ্য মিথ্যা বলতে ভালোবাসেন। গোপন সূত্রে জানা গেছে, কথা বলা শেখার পর থেকে আজম মিথ্যা কথা বলতে শুরু করেন। ধীরে ধীরে তিনি মিথ্যা বলায় পারঙ্গম হয়ে উঠেন। বয়স যত বাড়তে থাকে ততোই তিনি হয়ে উঠেন অনলবর্ষী মিথ্যাবাদী। এ কারণে তাকে পছন্দ করেন বেজিখা। বিশ্বস্ত মিথ্যুক হিসেবে তাকে বানান নিজের উপদেষ্টা। এখন তিনি অত্যন্ত দৃঢ়তার সাথে সমানে মিথ্যা বলে বেড়াচ্ছেন। এতে দেশ রসাতলে গেলেও তিনি বিশ্বাস করেন, এই মিথ্যা চর্চা অব্যাহত রাখতে পারলে ভবিষ্যতে তিনি ক্ষমতার গন্ধ শুকতে পারবেন।
আজম খান ইদানিং বিভিন্ন টেলিভিশন টক্ শোতে গিয়ে মিথ্যা কথা বলায় ডিগ্রি নিয়েছেন। এতে করে দেশের বারোটা বেজে যাচ্ছে। অবশ্য এদিকে তার কোন ভ্রুক্ষেপ নেই। কারণ তার কাছে সবার আগে ক্ষমতা। এজন্যই তিনি মিথ্যায় সর্বোচ্চ ডিগ্রি ধরে রাখতে চেষ্টা করছেন।
যাকগে মিথ্যার মাস্টার আজম খান আজ রাতে (১৯ মার্চ/১৩) উপস্থিত ছিলেন গাজী টিভির টক্ শোতে। এতে তার সঙ্গে অংশ নেন লেখক ও সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টি। সঞ্চালক ছিলেন অঞ্জন রায়।
টক্ শোতে আহমদ আজম খান জানান, শাহবাগের নষ্ট ছেলেরা তার ভাগ্য খুলে দিয়েছে। তিনি বেশ কিছু দিন ধরে ভিক্ষের ঝুলি নিয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরছিলেন। কিন্তু ভিক্ষা পাওয়া যচ্ছিল না। অবশেষে খবর পেলেন শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চে গেলেই টাকা পাওয়া যাচ্ছে। টাকা প্রাপ্তির হার প্রতিদিন সকালে ৫০০ ও বিকালে ৫০০ টাকা। সঙ্গে আছে বিরিয়ানী, জুস সহ আরো নানা খাবার। এখবর শুনে তিনি দ্রুত সকাল-বিকাল শাহবাগে যাওয়া শুরু করলেন। কিন্তু সেখানে গিয়ে টাকার বস্তাটা ধরতে পারেননি। এমনকি খাবার নিতে গেলে তরুণ প্রজন্মের প্রতিনিধিরা তাকে চিনে ফেলায় তিনি ভো দৌড়...।
এতে ভীষণ ক্ষিপ্ত আজম ক্ষুব্ধ কণ্ঠে বলেন, আমি ম্যাডাম বেজিখা’র উপদেষ্টা। আমি ভিক্ষার খবর পেয়ে শাহবাগে গিয়েছিলাম। তাই বলে আমাকে ভো দৌড় দিতে হবে এটা আমি বিশ্বাসও করতে চাই না। কারণ আমি সারাক্ষণ মিথ্যার মধ্যেই বসবাস করি। । তিনি আরো বলেন, শাহবাগে দেশের নষ্ট ছেলেরা কি সব করে। আমার ম্যাডাম নিজেই এগুলো দেখে ও শুনে মুফতি খেতাব নিতে বাধ্য হয়েছেন এবং শাহবাগের ওই তরুণদের নাস্তিক বলেছেন। কারণ ম্যাডাম খুব চিন্তায় ছিলেন, যে নষ্ট ছেলেরা কি সব ফাঁসি ফাঁসি বলে চিৎকার করে আমার ঘুম হারাম করে দিয়েছে। এরা কেন যে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চায় বুঝি না। তারা বলবে, ম্যাডামকে ক্ষমতায় পাঠাও... ম্যাডামকে ক্ষমতায় পাঠাও... তা না বলে উল্টাপাল্টা কথা বলছে।
আজম খান আরো বলেন, ২০০৪ সালে আওয়ামীলীগ অফিসে যে পুলিশি অভিযান চলেছিল সেটা আওয়ামীলীগ নিজেরাই করেছে। মুফতি বেজিখা কখনই এ কাজ পুলিশকে দিয়ে করাতে পারেন না। আর মতিয়া চৌধুরীকে পুলিশ কখনই রাস্তায় পিটায়নি। তিনিই বরং পুলিশের উপর চড়াও হয়েছেন। এ কথা বলেই আজম খান বলেন, বুঝতেই তো পারছেন মিথ্যা বলায় কি রকম ডিগ্রি নিয়ে আইছি।
আজমের মুখ দিয়ে বের হওয়া মিথ্যার মধ্যে আরো ছিল, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার আমরা সব সময় চাই। কিন্তু বঙ্গবন্ধু সব যুদ্ধাপরাধীদের ক্ষমা করে দিয়েছিলেন। তারপরও আমরা বলেছি, স্বচ্ছ...নিরপেক্ষ...আন্তর্জাতিকমানের...। কিন্তু সরকার সেটা করছে না। তবে আমি বলি, আমরা যদি ক্ষমতায় যেতে পারি তাহলে মজাটা দেখাবো...।
এক ঘণ্টার ওই টেলিভিশন টক্ শোতে আজম খান যেভাবে মিথ্যার ফুলঝুড়ি ছড়াচ্ছিলেন তাতে বর্ষ সেরা মিথ্যূক হিসেবে তাকে আন্তর্জাতিকমানসম্পন্ন, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ পুরস্কার দেয়ার দাবি রাখে। তা না হলে তিনি নিজেই এ পুরস্কার বয়কট করবেন।

বি.দ্র : দয়া করে মিথ্যুক লোকজনদের টিভি টক্ শোতে নেয়া বন্ধ করুন। আর না হলে এরা যেভাবে মিথ্যাচার শুরু করছে তাতে দেশের বারোটা বেজে যাচ্ছে।
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

পাগলের প্রলাপ' যখন সত্যি হয়......

লিখেছেন জুল ভার্ন, ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:১৯

'পাগলের প্রলাপ' যখন সত্যি হয়......
[/সব

আমার এক মামা ততকালীন পূর্ব পাকিস্তানে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে জব করতেন হোটেলের শুরু থেকেই। সেই মামা মাঝেমধ্যে আমাদের জন্য হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল থেকে মুখরোচক কেক, পেস্ট্রি ছাড়াও বিভিন্ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তার চাওয়া পাওয়ার কিছু ছিল না, তবুও

লিখেছেন খাঁজা বাবা, ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:৩২



শেখ হাসিনার নাকি বায়ক্তিগত চাওয়া পাওয়ার কিছু ছিল না। শেখ মুজিবের বেয়ে নাকি দুর্নীতি করতে পারে না। সে এবং তার পরিবার যে হাজার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি করতে পারে... ...বাকিটুকু পড়ুন

দেশের বর্তমান পরিস্থিতি সংক্রান্ত বিষয়ে সামু কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি

লিখেছেন সাড়ে চুয়াত্তর, ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:৪৬

ছাত্র-জনতার সম্মিলিত অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গত ৫ আগস্ট, ২০২৪ তারিখে ফ্যাসিস্ট হাসিনা এবং তার দলের পতন ঘটানো হয়। এটা আমাদের একটা জাতীয় গৌরবের দিন। এটা নিয়ে কারও সন্দেও থাকলে মন্তব্যে লিখতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জ্বীনভুতে বিশ্বাসী বাংগালী ও ঢাকায় ৫০ হাজার ভারতীয় একাউন্টটেন্ট

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৩




ব্লগার সাড়ে চুয়াত্তর ব্লগে লিখেছিলেন যে, উনার ভগ্নিপতিকে জ্বীনেরা তুলে নিয়ে গিয়েছিলো; ২ সপ্তাহ পরে ভগ্নিপতিকে দিয়ে গিয়েছে; এই লোক, সামুর কাছে আমার বিরুদ্ধে ও অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

বেছুর নিজস্ব একটি জ্বীন ছিলো!

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:২৪



আমাদের গ্রামের খুবই সুশ্রী ১টি কিশোরী মেয়েকে জংগলের মাঝে একা পেয়ে, প্রতিবেশী একটা ছেলে জড়ায়ে ধরেছিলো; মেয়েটি ঘটনাকে সঠিকভাবে সামলায়ে, নিজের মাঝে রেখে দিয়েছিলো, এটি সেই কাহিনী।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×