somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কার হুকুমে চলছে জ্বালা-পোড়াও?

১৮ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১:০২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



রোববার দুপুরের পর থেকে মধ্য রাত পর্যন্ত শুধু রাজধানী ঢাকায়ই পুড়ানো হল ১৯টি যানবাহন (সূত্র-বিডিনিউজ ২৪)। আর সারাদেশে এ সংখ্যা আরো অনেক বেশি। কিন্তু আমার প্রশ্ন কার হুকুমে এই গাড়ি পুড়ানো হচ্ছে? যিনি হুকুম দিচ্ছেন তিনি কি অপরাধী না? তিনি কি আইনের উর্ধ্বে? আর যদি আইনের উর্ধ্বে না হন তাহলে তাকে কেন বিচারের আওতায় আনা হচ্ছে না?
র্আ এই গাড়ি পুড়ানো হচ্ছে কার স্বার্থে? হরতালের নামে দেশের সম্পদ নষ্ট করে কি নির্বাচিত কোন সরকারকে গত ২০ বছরে ক্ষমতা থেকে নামানো গিয়েছে নাকি নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে? যদি তাই হয় তাহলে কেন ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য এমন তান্ডব?
আমরা দেখেছি ১৯৯১ সালে নির্বাচিত বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে অনেক আন্দোলন করেও নির্ধারিত মেয়াদের একদিন আগেও ক্ষমতা থেকে বিদায় করা যায়নি। বরং ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বিতর্কিত নির্বাচনের মাধ্যমে বিএনপি আরেকরাব সরকার গঠন করে। তারপর ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হয়। তাহলে যদি নির্বাচিত সরকারকে নামানোই না যায় তাহলে হরতালের নামে এসব জ্বালাও-পোড়াও বন্ধ করতে হবে।
তাছাড়া সাদা চোখে যা দেখা যাচ্ছে তাতে মনে হচ্ছে-এখন যে হরতাল হচ্ছে সেটা তো যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বাধাগ্রস্থ করতে এবং জামায়াতে ইসলামীকে রক্ষা করতেই হরতাল ডাকা হচ্ছে।
এদিকে ম্যাডাম বেজি গত শনিবার (১৬ মার্চ/১৩) মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরের পশ্চিম গোবিন্দলের শোকসমাবেশে স্পষ্ট করে বলেছেন, “এ সরকারের পতন ছাড়া কোন সমস্যার সমাধান হবে না।এ জন্য আন্দোলন করতে হবে। আন্দোলন করতে গেলে আরো কিছু প্রাণহানি হবে। জানমালের ক্ষতি হবে। কিন্তু দেশের স্বার্থে এই ক্ষতি মেনে নিতে হবে।”
স্পষ্টতো তিনি এখানে উস্কানি দিয়েছেন। আন্দোলন করেন ভালো কথা, কিন্তু লাশের দরকার কি। লাশ পড়লে আপনি লাভবান হবেন, ক্ষমতায় যাবেন, তারপর...। কিন্তু যার সন্তান, স্বামী বা বাবা মারা যাবে তার কি লাভ? প্রশ্ন জ্বালাও-পোড়াও তান্ডব চালিয়ে আর মানুষ মরলে দেশেরই বা কি লাভ হচ্ছে?
তাছাড়া ক্ষমতায় যেতে লাশের দরকার কি? জনগণ আপনাকে পছন্দ করলে আপনি নির্বাচিত হবেন।
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

পাগলের প্রলাপ' যখন সত্যি হয়......

লিখেছেন জুল ভার্ন, ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:১৯

'পাগলের প্রলাপ' যখন সত্যি হয়......
[/সব

আমার এক মামা ততকালীন পূর্ব পাকিস্তানে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে জব করতেন হোটেলের শুরু থেকেই। সেই মামা মাঝেমধ্যে আমাদের জন্য হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল থেকে মুখরোচক কেক, পেস্ট্রি ছাড়াও বিভিন্ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তার চাওয়া পাওয়ার কিছু ছিল না, তবুও

লিখেছেন খাঁজা বাবা, ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:৩২



শেখ হাসিনার নাকি বায়ক্তিগত চাওয়া পাওয়ার কিছু ছিল না। শেখ মুজিবের বেয়ে নাকি দুর্নীতি করতে পারে না। সে এবং তার পরিবার যে হাজার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি করতে পারে... ...বাকিটুকু পড়ুন

দেশের বর্তমান পরিস্থিতি সংক্রান্ত বিষয়ে সামু কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি

লিখেছেন সাড়ে চুয়াত্তর, ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:৪৬

ছাত্র-জনতার সম্মিলিত অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গত ৫ আগস্ট, ২০২৪ তারিখে ফ্যাসিস্ট হাসিনা এবং তার দলের পতন ঘটানো হয়। এটা আমাদের একটা জাতীয় গৌরবের দিন। এটা নিয়ে কারও সন্দেও থাকলে মন্তব্যে লিখতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জ্বীনভুতে বিশ্বাসী বাংগালী ও ঢাকায় ৫০ হাজার ভারতীয় একাউন্টটেন্ট

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৩




ব্লগার সাড়ে চুয়াত্তর ব্লগে লিখেছিলেন যে, উনার ভগ্নিপতিকে জ্বীনেরা তুলে নিয়ে গিয়েছিলো; ২ সপ্তাহ পরে ভগ্নিপতিকে দিয়ে গিয়েছে; এই লোক, সামুর কাছে আমার বিরুদ্ধে ও অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

বেছুর নিজস্ব একটি জ্বীন ছিলো!

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:২৪



আমাদের গ্রামের খুবই সুশ্রী ১টি কিশোরী মেয়েকে জংগলের মাঝে একা পেয়ে, প্রতিবেশী একটা ছেলে জড়ায়ে ধরেছিলো; মেয়েটি ঘটনাকে সঠিকভাবে সামলায়ে, নিজের মাঝে রেখে দিয়েছিলো, এটি সেই কাহিনী।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×