চিএ: (১)অনেক কৃষক বাজারে নিয়ে গিয়ে ২০ থেকে ২৫ টাকা মণে টমেটো বিক্রির প্রস্তাব শুনে ক্ষোভে টমেটোর বস্তা ময়লার ড্রেনে বা নদীতে ফেলে দিচ্ছেন। অনেকে টমেটো ক্ষেত থেকে তুলছেনই না। ক্ষেতেই পচে নষ্ট হচ্ছে।
মুন্সীগঞ্জ, চুয়াডাঙ্গা, উজিরপুর, রাজশাহীসহ বিভিন্ন অঞ্চলে একই চিত্র ।
চিএ: (২)সিলেটের কৃষকরা টমেটোর দাম পাঁচ টাকা করার দাবিতে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন। কুমিল্লার কৃষকরা মহাসড়কে টমেটো ফেলে দিয়ে দাম কমে যাওয়ার প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
চিএ: (৩)কুমিল্লার নিমসারের টমেটোই এলাকার মূল অর্থনীতি। হাজারও কৃষকের মরা-বাঁচার প্রশ্ন এর সঙ্গে জড়িত। এ সময়টায় রোজ বিরাট হাট বসে। টমেটো ওঠে প্রতিদিন ২০ থেকে ২৫ ট্রাক। নিজ নিজ টমেটোর খাঁচি আগলে বসে থাকেন চাষিরা। কিন্তু ক্রেতারা সহজে হাটে নামেন না। তবে ক্রেতা-পাইকাররা বসে থাকেন হাটের ধারেই, চা স্টলে। কৃষকদের উদ্দেশে পাইকাররা গল্পের ছলে বলেন, ঢাকার বাজার ভালো না। এত টমেটো আজ কেনা যাবে না।
আসলে এটা একটা কৌশল। এসব কথা বলে কৃষকদের ওপর মানসিক চাপ সৃষ্টি করেন পাইকাররা। এমন কৃত্রিম চাপ দিয়েই গেল সপ্তাহের পাঁচ টাকা দরের টমেটো গতকাল ৫০ পয়সায় নামিয়ে এনেছেন। আসলে পণ্য উৎপাদনকারী নয়, এই মুহূর্তে বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে দালাল-ফড়িয়ারা। কারণ স্বল্পসংখ্যক বড় কৃষক কম দামে টমেটো না বেচে ফিরিয়ে নিতে পারলেও, মধ্যম কৃষকরা তা পারেন না; ক্ষুদ্র কৃষকরা তো কোনোক্রমেই পারেন না। এমনও অনেক চাষি আছেন, যাদের এ টমেটো বেচে রাতের খাবার কিনে নিয়ে যেতে হয়। তাদের জন্য এ এক মরণ দশা।
অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি, দেশের বিভিন্ন এলাকার স্থানীয় হাট-বাজারে এক কেজি টমেটো মাত্র পঞ্চাশ পয়সায় বিক্রি হচ্ছে। অথচ এক কেজি টমেটো উৎপাদন করতে কৃষকের ব্যয় হয়েছে পাঁচ টাকারও বেশি।
সংরক্ষণের জন্য কোল্ডস্টোরেজ ও বাজার ব্যবস্থাপনার অভাবে সারাদেশে পানির দরেই বিক্রি হচ্ছে টমেটো। পানির দর বললে ভুল হবে।হোটেলে এক গ্লাস ঠান্ডা পানির দামও ১ টাকা/গ্লাস ।
খবরসূএ: http://www.samakal.com.bd
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে মার্চ, ২০১০ বিকাল ৩:১০