তিক্ত সিক্ত গাঢ় রক্তে ভাসমান দেহ
ছিন্নভিন্ন জরায়ু কিংবা কাটা মস্তক নিয়ে কেহ
পঁচে গলে যেন একাকার চারিদিক-চারিপাশ
তবুও তারমধ্যেও আমি লিখে যায় প্রেমকাব্য
লিখে যায় ছাঁইপাস
রোজ রোজ।
ফেলেনা যেন দাঁগ কোনো মনে
যেন ফেলে না কোনো গভীরতর ক্ষত
ফেলেছে যা, দেখা যায় অন্য লোকের মনে
চারিপাশে মানুষ আছে যতো!
দিন যায় রাত নামে, ভোর আসে
বান নামে, আহাজারি আর কান্নায়
চোখ বুজিলেই যেন সব ভাসে
চোখ ভারি হয়, মনে বলে শুধু এটুকুই
এতো অন্যায়, এতো অন্যায়।
বছরের পর বছর, দিনের পর দিন
রক্ত, কান্না আর আর কাটা-ছেড়া দেহ
দেখেছি মুখ বুজে সয়ে
বোবা, বধির কখনোবা অন্ধ হয়ে
শক্তির শক্তিমত্তায় অসহায় রয়ে।
যুগ থেকে যুগ পেরিয়ে এসে দাড়িয়েছে হেথা
কান্না, বুক চাপড়ানো যেন পুরোটাই বৃথা
তাইতো হিসেবে হিসেব মিলিয়ে
দুঃখ আর প্রতিবাদি ভাষা বিলিয়ে
ভুলোই না আর মন
আমি যে বোবা, বিকলঙ্গ ভিতু কবি প্রিয়
তোমার অপ্রিয় একজন।
তুমি জেনে নিও আজ
কারাবাস কিংবা মিত্যুর ভয়ে
ধুকে ধুকে, রক্তের ঝাঁজালো গন্ধ শুকে
মরে যাবো কোনো রাস্তার বাকে
তবুও হবে নাকো মনের ভাজে
কিংবা ভীরুতার লাজে
হবেনা পাওয়া কোনো সাহসী গল্পের খোঁজ
চোখ বুজে নাহয় মেনে নিও এসব
তবু করো নাকো কোনো আশা, পেতো নাকো কাঁন
মোর গৃহ দ্বারে রোজ।
প্রিয়, তোর হবে নাকো পাওয়া
কোনো সাহসী গল্পের খোঁজ
মোর গৃহ দ্বারে রোজ রোজ।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:০০