৫৭ ধারা সংশোধিত বিষয়ে মত প্রকাশের ব্যাপারে একটি টকশোতে মাননীয় মন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক বললেন,
“কারো লেখায় বা কথায় কারো অনুভূতিতে আঘাত হানলে মানহানির মামলায় ৭-১৪ বছর সাজা হবে”।
কথাহচ্ছে,
০১)কারো লেখায় যদি কারো সম্মানের ‘মানহানি’ হয় তাহলে তো বলতে হয় কেউ আছেন যারা জাকির নায়েক বা সফি হুজুরের লেখা বা কথায় ইন্সপায়ার হয় আবার কেউ অনুভূতিতে আঘাত খায় তেমনি কেউ আছেন জাফর ইকবাল স্যার এর লেখা বা কথায় ইন্সপায়ার হয় আবার কেউ অনুভূতিতে আঘাত খায় তাহলে কি জাফর ইকবাল স্যার ,জাকির নায়েক বা সফি হুজুরকে শাস্তির আওতায় আনবেন কি? ৫৭ ধারা সংশোধিত করে মন্ত্রী যেই নিয়মের কথা বললেন তা কি এখনো মত প্রকাশের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাংবিধানিক আইন লঙ্ঘন করে না?
০২) মন্ত্রী মহোদয় এবং সরকার পক্ষ এই অব্দি কেউই যেই ব্যাপারে কিছু বলেন না তা হল “ধারা,আইন বা শাস্তির বিধান অনুযায়ী প্রক্কাশক,ব্লগার হত্যাকারিদের এবং ব্লগার হত্যা করার জন্য প্রকাশ্য হিটলিস্ট তৈরি ঘোষণা দেওয়া সোনার সন্তানদের কোন আইনে কি করবেন,কি শাস্তি দিবেন” ?
বিঃদ্রঃ অন্যের কথা বা লেখায় যেসব সম্মানীয় অনুভূতির মানে বা বিশ্বাসে আঘাত খায় সেসব সম্মানিদের সম্পর্কে একটা কথা জানার খুব আগ্রহ,
“বাংলাদেশের অনলাইনে ভর্তি চটি জগতের ব্লগারদের গল্পে যখন আপন ভাইবোন,মাছেলে,বাবামেয়ে কে উপস্থাপনা করা হয় তখন মডারেট মুসলিম মুমিন সমাজ এবং সরকার পক্ষের কারো অনুভূতিতে আঘাত খান কিনা,সম্মানের ‘মানহানি’ হানি হয় কিনা”?
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:০৭