অর্ধ আমার সামনাসামনি মুখ থুবড়ে পড়লাম
তখন আমার কাছে
একটা ক্ষুদ্র নক্ষত্রের এক খণ্ড আলেয়া ছিল।
আমি সেই আলোতে ভরপুর এক নগর
যেখানে রাতের আঁধারে
ধ্বসে পড়া ইট পাথরের মায়াবী কান্না ভেসে আসে।
পাখিদের কলতান সে-তো একযুগ পুরনো ইতিহাসের পাতায় বন্দী
বুড়ো কাকের ঝগড়ায় মেতে থাকে আলসে দুপুর।
মাঝে মাঝে তীব্র জোছনা গভীর আবেগে জড়িয়ে নেয় মাতাল পথ
আলো আঁধারির মোহ আর স্থির ভুল ভেসে যায় জোছনা।
এখানে এক একটি নদীর ভাঙ্গনে ফুটে ওঠে মঞ্জিমা।
একটি শিখা নিভু নিভু করে রোজ জ্বলে
সেই আদিকাল থেকে এই অক্ষয় শিখা ক্ষয়ে যাবে বলে
বদ্ধ নগনদী হয়ে ছুটে চলছে।
একটা নগরের বুকে মিশে থাকে বিষাক্ত সূর্যালোকের আভা
তিক্ত ভেঙ্গে পড়া সময়ের শেষ স্মৃতি...
একটি নগরে মিশে থাকে শত বর্ণালী হাসি কান্না।
প্রতিনিয়ত সেই নগরের বুকে চাষ করি নানা রং আলপনা।
তারপর!!
এক সময় মুখ থুবড়ে মুখোমুখি দাঁড়াতে হয়
অর্ধ আমাকে... সম্পূর্ণ আমার মুখোমুখি!