বালিকাঃ
আরেকটা এমন ভোর আসবে কি না কে জানে । এই প্রথম কারো মিষ্টি স্মরণে নিদ্রাভঙ্গ হলো আমার । অজস্র মায়া তোমায় দিলাম । কাঠগোলাপের ঘ্রাণ দিলাম । আমার উরন্ত চুলের সমীর করে নিলাম তোমাকে । যখন ইচ্ছে উড়িয়ে নিও চুল ।
বালকঃ
এই প্রথম নিদ্রায় কারো আমাকে স্মরন হল।কপালের তিলোকে আমার হাজার বছরের নিদ্রাহিন রাত্রি,প্রথম ভোরের প্রসাদ আমি তোমায় দিলাম, হে সৌন্দর্য শিহরিনী তুমি তা গ্রহন করো।কপালের তিলোকে আমার হাজার বছরের নিদ্রাভগ্ন রাত্রি,বাল্য ভোরের বাসনা তোমার নিদ্রাভগ্ন চখের পবিত্রতা।সূর্যভোরের আকাশনীলা,ছায়াবৃত্তে তুমি।...
বালিকাঃ
রসিক ,
তোমার মুকুট তো আমি চাই নি !
পারলে গানের খাতা দিও ।
তোমার ইন্দ্রপুরী , গেরুয়া পাহারচূড়ো কিম্বা অনীল সিংহাসন আমার চাই নে । চাই না হাওয়ার অশ্বপথ !
তোমার গলার শিউলি হারটা দিও ।
আমি ঝরে পড়ে গেলে , মরে যাই যদি কোনো দিন , সমাধিতে আমার রক্তজবার আস্তরন দিও , যুবা !
খুব বেশি কিছু চাই নি ।
শুভ সকাল ।
বালকঃ
সুহাসীনি,
তোমার হাস্যজ্জোল মনের তীব্র আবেদন বোঝা বড় দায়,সৌভাগ্যবসনা তুমি বোঝার বিষয় নও,জয়ের বিষয়..সাধনার বস্তু... ও হে! তুমি আলাদা করে কি চাও,সমস্তটা নিয়ে যখন আসন গেরেছি তমার শুভ্রচরনে... আমার শিউলি হারটা তো তোমার অধিকার, চাইবার কি আছে,আর তোমার অনিঃশেষ সেই শয়নকক্ষে রক্তজবার বিছানি এলিয়ে দিতে পারব না,দুঃখিত।কারন তোমার অক্ষিগোলোকের পর্দাটি বন্ধ হবার প্রয়াস নিলে,তার আগে থেকেই আমার প্রস্তুতি নেয়া থাকবে সহমরণের।আমার সপ্তর্ষীনি কে আমি একা সে ঘরে কেমোনে যেতে দেই...বর্ষামাতা তোমায় কি বলবে শুনে এসো....
ভুল কোরে তোমায় সপ্তর্ষি ডেকে ফেলেছি,তোমার সপ্তাদর্ষ সত্বায় আঘাত লাগে নি তো,ক্ষমা করো প্রিয়,মার্জনা ভিখারী
বালিকাঃ
রাজেশ্বরী রাইয়ের রেবতী ললাটে রক্তসিঁদুর এঁকে দেবার গুরুভার নিলে কি ? অবিনীত ঠোঁটের জ্বলজ্বল অন্ধকার ভরে চুমু খাবার করছো আয়োজন !
তোমার ভয় করে না , ছেলে ??
বালকঃ
দূরাকাশের কোন জ্বলন্ত নক্ষত্র হাতে নেবার সৌভাগ্য যদি পাই তবে জ্বলবার ভয় মোর নাই.....সেই নক্ষত্র যে আমার হাতের মাঝে তাই আমার তৃপ্তির বিষয়,সেই নক্ষত্র যে আমায় হত্যা করবে তা আমার চিন্তার বিষয় নহে
বালিকাঃ
মোমদানী পদ্মনাভে আর আঙুরলতা বুকে কীসের যেন ব্যথা বেজে উঠছে , জানো ? নিকোটিনের বিষাক্ততা যেন চেপে ধরছি বোঁটায় । শিৎকার আছে , তৃপ্তির মোহন বাঁশি নেই ..
বালকঃ
নিকোটিনে কেন চেপে ধরেছ বুক?কিসের মূমুর্ষ্তায়...কেনই বা এই হেয়ালি,,,এই বিষ্টিস্নাত ভেজা দুপুরে বরষনের পবিত্র জল গায়ে মেখে শিত্কারের পবিত্র শব্দটি করলে কি খুব বেশি ক্ষতি হত?হয়্তো তোমার জ্বলন্ত সেই অগ্নিপোড়ার আগুনে জ্বলছে কোন এক অবাধ্য পুরুষ,,,সে খবর কি রাখে রাজশ্বি রাই?
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:৫৫