প্রথমেই আগে একটা ধারনা ক্লিয়ার করা প্রয়োজন। আর তা হলো প্রচলিত অর্থে আমরা যাকে ধর্ম বলি আসলে তা ধর্ম নয়।সেটা হল একটা লাইফ ষ্টাইল প্যাটার্ন। মানুষের ধর্ম হল মানুষ হিসেবে আমাদের যেসব বৈশিষ্ট্য। লোহার ধর্ম হল লোহা হিসেবে লোহার যেসব ধর্ম বিদ্যমান। তাই মানুষের ক্ষেত্রে একটাই ধর্ম বিদ্যমান আর তাহলো মানবধর্ম । এখন আসি আমরা যাকে ধর্ম বলে ভুল করি তার ব্যাপারে। আমরা যেটাকে ধর্ম বলি সেটা হল লাইফ ষ্টাইল প্যাটার্ন। একটু কেমন কেমন মনে হবে ব্যাপারটা। তাই একটু উপমা দিয়ে বলি বুঝতে সুবিধে হবে। ধরি এই পৃথিবী্টা একটা পরীক্ষা হল। আর প্রত্যেক পরীক্ষারই কিছু নিয়ম মানে বিধি নিষেধ থাকে। আর যে এই বিধি নিষেধ ভংগ করে তার পেনাল্টি হয়।তাই এই পৃথিবীতে জীবন যাপনেরও কিছু নিয়ম- বিধি-নিষেধ আছে। আর যে তা ভংগ করবে তার জন্য আছে শাস্তির ব্যাবস্থা। এবার আসা যাক গাইড বই বিষয়ে। প্রত্যেক বিষয়েরই কিছু গাইড বই বিভিন্ন লোকে বিভিন্ন গাইড বই ব্যাবহার করে পরীক্ষা ভালো করার জন্য ।আর শিক্ষকের যার লেখা বেশী ভালো লাগে সেই বেশী নাম্বার পায়। গাইড বইগুলা দুইটা জিনিসের সমষ্টি। এক, ব্যাবসা।দুই, পরীক্ষার্থীদের সাহায্য। তবে প্রথম ব্যাপারটাই বেশী প্রাধান্য পায়। যাক গে। তবে শিক্ষক সব সময়ই একটা মুল বইকে নির্দেশনা দেন। আর তা হল আল কুরান। আর ধর্ম নিয়ে লিখা বাদ বাকি বইগুলা হল গাইড বই। মানে পুরো ধর্মের কনসেপ্টটাই হল গাইড বই। এখন কোনটা অনুকরন করলে ঈশ্বর সন্তুষ্ট হবেন সেটা পুরোপুরী অনিশ্চিত। তবে এ ব্যাপারে নিশ্চয়তা সব পরীক্ষায় থাকে যে মূল বই যে ফলো করে সে সবসময় ভালো করে। ধর্মের উৎপত্তি ব্যবসায়ের জন্য। ঈশ্বর ধর্মের কথা বলেন নি। ধর্ম একটাই ।আর সেটা হল মানব ধর্ম । ধর্ম মানুষকে বিভক্ত করে। ঈশ্বর বিভক্তি অপছন্দ করেন। আর সবশেষে প্রকৃতপক্ষে এই পরীক্ষাই ভালো করবে তার জন্য থাকবে উত্তম পুরষ্কার। যেট সব পরীক্ষাই যে ভালো করে তার জন্য বরাদ্দ থাকে। পরীক্ষায় ভালো করার জন্য যেমন গাইডের প্রয়োজন আছে তেমনি গাইড বই পরে মুল বই ভুলে গেলে চলবে না। শুধু মুল বই পড়লে ভালো করা যায়।শুধু গাইড বই পড়লে ভালো করা যায় না। আরেকটা বিষয়,মুখস্থবিদ্যা ভয়ঙ্করী। মানে ঈশ্বর কি বললেন বা ঈশ্বরের নামে কে কি বললো তা না ভেবে চিনতে পালন করলে বিপদের সমুহ সম্ভাবনা থাকে। সবাই পৃথিবী নামক পরীক্ষায় ভালো করুক। বিভক্তি ভুলে এক হোক মানব জাতি। ঈশ্বর সন্তুষ্ট হোক।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৫