● জাতীয় স্মৃতিসৌধ
ঢাকার অদূরে সাভার থানার অন্তর্গত নবীনগর এলাকায় জাতীয় স্মৃতিসৌধ অবস্থিত। মুক্তিযুদ্ধে জীবন উৎসর্গকারী যোদ্ধাদের সম্মান জানাতে এবং স্বাধীনতা যুদ্ধকে স্মরণীয় করে রাখতে ১৯৭২ সালের ১৬ই ডিসেম্বর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান স্মৃতিসৌধের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। প্রকৌশলী মইনুল হোসেনের নকশা মোতাবেক ১৯৮২ সালের আগষ্ট মাসে স্মৃতিসৌধের কাজ শুরু হয়। প্রায় ৮৪ একর জমির উপর স্মৃতিসৌধ গড়ে উঠেছে।
■ অন্যান্য দিক
এটি পুরোপুরি স্মৃতিসৌধ কমপ্লেক্স। কারণ সীমানা প্রাচীরের ভেতর রয়েছে প্রশস্ত ইটের পাকা রাস্তা, রাস্তার দুপাশে নানা জাতের ফুলের গাছ, কৃত্রিম জলাশয়, উন্মুক্ত মঞ্চ, আলাদা করে ফুলের বাগান, অভ্যর্থনা কেন্দ্র, হেলিপ্যাড, মসজিদ, রেস্তোরা। দূর-দূরান্ত থেকে আসা গাড়ির পার্কিং –এর ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়া ফলজ, বনজ ও ঔষধি গাছের সমন্বয়ে রয়েছে আলাদা বাগান।
■ স্মৃতিসৌধের স্তম্ভের বিবরণ
স্মৃতিসৌধে ৭টি কংক্রিট নির্মিত ত্রিভুজাকৃতির স্তম্ভ রয়েছে। প্রথম দর্শনে সর্বোচ্চ স্তম্ভটির উচ্চতা ১৫০ ফুট। এই স্তম্ভগুলোর মধ্যে প্রথমটি উচ্চতায় ছোট হলেও প্রস্থে সবচেয়ে বড়। এটির অর্থ আন্দোলনের সূচনা অর্থাৎ ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন। পরবর্তী স্তম্ভগুলো দ্বারা যথাক্রমে ১৯৫৪, ১৯৫৮, ১৯৬২, ১৯৬৬, ১৯৬৯ এবং ১৯৭১ সাল কে বুঝানো হয়েছে। এই স্মৃতি সৌধের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো একেক দিক থেকে একেক রকম মনে হয়।
■ পরিদর্শনের সময়সূচী
সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত থাকে। বিশেষ দিন স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, ঈদ, পূজা ও ১লা বৈশাখে ব্যাপক ভিড় হয় এখানে। এখানে আরো রয়েছে বিভিন্ন সময় বাংলাদেশ সফরে আসা অন্যান্য দেশের রাষ্ট্র প্রধানগণের নিজ হাতে লাগানো বৃক্ষরাজি। মতিঝিল ও গুলিস্তান থেকে বিআরটিসি, হানিফ ও গ্রীনওয়ে বাস সার্ভিস সরাসরি নবীনগর পর্যন্ত যাতায়াত করে।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে জুন, ২০২০ সকাল ১১:৪৮