বর্তমানের কোটা আন্দোলনের পেছনে মুক্তিযোদ্ধাদের ইমেজকে জনগণের সামনে ছোট করার একটা পরিকল্পনা কাজ করেছে। দেশের জন্য যারা জীবন বাজি রেখেছিল তাদের জন্য, তাদের সন্তানদের জন্য অবশ্যই বাংলাদেশের যা করা দরকার ছিল, সেটা আমাদের দেশের সরকার করতে পারেনি, করতে চায়ওনি। বরং ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা বানিয়ে বিষয়টাকে ছোট করেছে।
ছাত্ররা কিভাবে তাদের সহপাঠিদের উপরে এমন হামলা করতে পারে?
দেশের রাজনিতি কতটা নস্ট হলে এমন একটা দানব গোস্ঠি তৌরি হয়?
সরকার নাতী/পুতির কোটা বর্ধিত না করলেও পারতো। মুক্তিযোদ্ধা, তাদের স্ত্রী- সন্তান দের জন্য আরো সুবিধা বাড়ানো যেতো।
সেটা না করে ঝামেলা যাতে আরো বাড়ে সেই ভাবেই রাজনিতিকরা চিন্তা করে। এই আন্দোলনে সাধারন ছাত্রছাত্রীরা শুরু করেছে, তাতে অনেকেই আলু পুড়া দিতে আসবেই, আবার তাদের নাম করে বিষয়টাকে রাজনিতিক রং দিতে চেস্টা করবে।
বিএনপি, জামাত, আয়ামীলীগ কেউই এর ব্যাতিক্রম নয়।
সম্ভবত এরশাদ ছাত্রদের লাঠিয়াল হিসেবে পুশলে যে ক্ষমতা পোক্ত হয় সেটা বুঝতে পারেনাই, না হলে উনাকে এমন ভাবে ক্ষমতা থেকে ছাড়তে হতো না।
রাজনিতিক দলগুলি দেশের মেধাবী ছাত্রদের লাঠিয়াল বাহিনী হিসেবে ব্যবহার করছে। তার প্রমাণ আজও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আওয়ামী লাঠিয়ালরা তাদের লয়ালটির প্রমাণ দিল। এই সব ছাত্রদের প্রায় সবই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। দেশের সবচেয়ে মেধাবীদের যদি টাকা, ক্ষমতার লোভ দেখিয়ে তাদের সহপাঠীদের ওপর হামলার জন্য লাঠি তুলে দেয় তবে দেশের ভবিষ্যৎ কেমন হবে সেটা ভাবনায় আসে না।
চেতনা বিক্রি করে জনগণের সামনে রাজনৈতিক বিরোধীতার বীজ বুনে সাধারণ মানুষের মাঝে বিভক্তি সৃষ্টি করে ক্ষমতায় এসে দেশের সম্পদ লুট করছে আমাদের মাননীয় নেতারা। দেশের মানুষ এমন জিম্মি হয়ে গেছে যে কী করবে সেটাই জানে না।
বাইরের শত্রুর বিরুদ্ধে সবাই মিলে ঝাপিয়ে পড়া যায়, কিন্তু এই রাজনৈতিক খেলা সাধারণ মানুষকেই বিভক্ত করছে। এই ব্লগেই ব্লগাররাই একে অপরকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করছে এই কোটা আন্দোলন নিয়ে।
ফেসবুকে দেখলাম অনেকেই এই আক্রমনের পক্ষে পোস্ট করছে, উল্লাস করছে, যারা দেশের বাইরে পড়াশুনা করেছ সেই রকমের কিছু মানুষকে ও দেখলাম তারা খুশি।
আমরা জাতি হিসেবে এমন অসহিষ্ণু হয়ে উঠছি কেন? আমাদের সমাজে পরিবর্তন আনতে কী লাগবে?
ছবি প্রথম আলো।