আজ আমি একজন উলঙ্গ মানুষকে দেখেছি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতন একটি সংরক্ষিত স্থানে সে অবলীলায় হাঁটছিল
বস্ত্রহীন শরীর
একটি সুতাও ছিলনা তার গায়ে
যদিও অন্যান্য পাগলদের মতন তার শরীর কংকালসার ছিলনা;
বরং সে ছিল বেশ সুগঠিত
উত্থিত পুরুষাঙ্গ
কিছুক্ষণ দৌড়ে দৌড়ে রাস্তার এপার ওপার শেষে
আবার ছোট ছোট পদক্ষেপে সহজ সাধারণ মানুষের মতোই সে হাঁটছিল—
বিব্রত মেয়েরা কেউ চোখ ফিরিয়ে নিচ্ছিল
লোকটি কনকনে ঠাণ্ডায় একেবারেই উদোম গায়ে ঘুরছে,
যেন সে বেড়াতে এসেছে এই শহরে
যেন সে দেখেনি রঙ্গিন আলো
শহরের মানুষ
নর্দমা রাজপথ—
কেউবা চকিত চোখে তাকে দেখেও না দেখার ভান করছিল
আবার অনেকে চোরা চোখে তাকেই দেখছিল।
পুরুষেরা খুব অবাক হয়নি
তাদের অনেকেরই বাসায় ফেরার তাড়া, আজ সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যানে সভা ছিল
রাজা উজির নাজির সকলেই শুনিয়ে গেছেন শত রূপকথা
তারই রেশ ধরে সারা শহরে আজ যানজটের উৎসব—
আজ এই মানুষটিকে নিয়ে ভাবার সময় ছিলনা কারো কাছেই
কেউ জিজ্ঞেস করেনি
শীতের রাতে এই নগরে উলঙ্গ মানুষটি অহেতুক কেন এসেছিল
কেউ জানতে চায়নি কেন সে বস্ত্রহীন
কেউ শুনতে চায়নি
কোন সুখে
শীত লজ্জা ভয় ক্রোধ হাসি আনন্দ পায়ে ঠেলে এইবেশে নগরে ঘুরছে!
তবে সকলেই তাকে অবজ্ঞা করেনি
কিছু কিছু ভদ্রলোক যারা কোট প্যান্ট পড়েছিলেন
তারা তাকে দেখে তাচ্ছিল্যের হাসি হেসেছে।
রিকশাওয়ালা হেসে মন্তব্য করেছে
শালার পুতের শইলে গরম বেশী—
.
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:২৯