দমকা আঁচল উড়ায়ে আকাশে
এলোকেশী মেয়ে একলা দাঁড়ায়ে
এদিক সেদিক তাকায়ে খোঁজে;
জোনাকির রঙ নিভে আর জ্বলে
সেটুকু আলোয়, সে পথ চলে।
অতঃপর
উদ্দাম হাওয়ায় এলোমেলো শাড়িখানা,
ফুল আনবে ছিনিয়ে সে,ফুল আনবে সে
চক্ষুতে তার অগ্নিস্ফুলিঙ্গ, মূল্য হোক যেটা।
ছুটে চলে সে প্রতি পদে পদে, নতুন ফুলের খোঁজে।
সেই ফুল ফোটে এই জীবনের প্রতি ভাঁজে ভাঁজে
স্পর্শে দুঃখী মানুষগুলো হেসে উঠে সুখে!
সেই ফুল ছিঁড়ে দেয় শোষণের জাল,
দূর করে সকল দ্বিধা,শান্তির তোড়ে
পৃথিবী ঘুমায় শরীর এলিয়ে।
সে ফুলের খোঁজে
বেঁচে থাকার সবুজ পাতায় পাতায়
ঠিকরে আসে অস্তগামী সূর্যের লালচে আভা
প্রতীক্ষার চোখে খোঁজে ফেরে সেই একটি ফুল।
যে ফুল আবার সাজাবে, জীবনের আলো
বাঁচাবে মানুষ, দেখাবে স্বপ্ন জীবনের জয়গানে।
অবশেষে একদিন ছেঁড়া আঁচলের নিচে
রক্তজবা রঙের সেই ফুল হাতে নিয়ে
এলোকেশী ছুঁইয়ে দিল
সকল মাটি আর মানুষের মনে।
অন্ধকার সরে সরে, নেমে এল ভোর চুপটি করে
সকলে দেখল ফুটেছে ফুল এই বাংলার ঘরে ঘরে
দেখ ফুল স্বাধীনতার ফুল, কেমনে দুলেছে বারে বারে।
সুবাসিত হল আকাশ, মাটি আর হৃদয়ের দ্বীপ।
স্বাধীনতার ফুলে উঠল সেজে সোনার বাংলাদেশ।
দেখল না কেউ আর
ফুল কুড়ানো সেই এলোকেশীকে
ফুল -শুধু কি মাটির উপরে চলা মানুষের জন্য
না কি ঘুমিয়ে থাকা মানুষের জন্য ফোটে ফুল!
©রুবাইদা গুলশান
২৬.০৩.১৭
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:২২