পেয়াজ আমদানি বন্ধের ফলে,
সংকট, সমাধান ও উন্মোচিত সম্ভবনা..
................................................................
আমাদের সবারই এমন একজন বন্ধু থাকে যে ছোট বেলা থেকে আমাদের সাথে থাকে, আমাদের সব ব্যবহার করে, তারপর সুযোগ পেলে বাশঁ দিতে ভুল করে না।
ভাছেন শিরোনাম কি দিছি আর কথা কি বলতাছি?
আসলে ভারত আমাদের ঐ ছোটবেলার বন্ধুর মত। যে আমাদের সব ব্যবহার করে, আর সুযোগ পেলে বাশ দেয়। ভরতের ব্যবহার আমার ছোটবেলার বন্ধু মত মনে হলেও পুরাপুরি নয়। সে আমার জন্য জীবন দিতে পারে। কিন্তু ভারত ও বাংলাদেশের ছোট বেলার বন্ধু তবে তারা আমাদের জন্য জীবন দেয়া না, বরং সুযোগ পেলে নেয় সীমান্তে।
এবার আসল আলোচনায় আসা যাক। পেয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয়ায় আমাদের মূল সে সমস্যা হবে তাহলে হঠাৎ করে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত পরিবারের নাগালের বাহিরে চলে যাবে পয়াজের দাম। পেয়াজ হয়ে যাবে সোনার মত। বাজরে দেখা যাবে চরম সংকট। এই সমস্যা ছাড়া তেমন কোন সমস্যা সাধারণত হয় না। তবে সত্যি বলতে কি ভারত পেয়াহ রপ্তানি বন্ধ করে আসলে এর জন্য, যে এদেশে সংকট প্রকট হয়, আমরা তাদের কাছে অনুরোধ করি আবার পেয়াজ দিতে, এবং তারা বেশি দামে আমাদের দেয়ার পাশাপাশি আদের ব্যান্ড ভ্যালু বৃদ্ধি করে।
এবার আসুন এর সমাধান খুজা যাক। এর সনাধান ঢ়ে খুব কঠিন তা কিন্তু নয়। এই সমস্যা দুইটা সমাধান হয়। ১.তাৎক্ষণিক সমাধান। ২. দীর্ঘ মেয়াদী সমাধান।
নিম্নে এই দুইটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। আমার নিজের মতামতরে মাধ্যামে।
১. তাৎক্ষণিক সমাধানঃ সমস্যার তাৎক্ষণিক সমাধান করতে হলে আমাদের দেশী অভ্যন্তরিন ব্যবসায়ী দের একটি উদার হতে হবে। সাথে সাথে আমদানি কারন ব্যবাসায়ী দের হতে হবে বুদ্ধিমান ও লম্বা হাতের অধিকারী। আমাদের দেশে এখন যে পরিমার পেয়াজ মজুর আছে এতে আশা করা যায় কমপক্ষে দুই মাস দেশ চালনো কঠিন কিছু না, এক মাস ত চলনে এমনি তেই। এখন পেয়াজ আমদানী বন্ধ হলে অভ্যন্তরিন ব্যবসায়ী গন করে কি, তার আরো সংকট তৈরি করে আর এর মাধ্যমে তুলে নেয় দ্বি গুন, তিন গুন লাভ। এখানে উদার হতে হবে তাদের। তার যদি সংকট তৈরি না করে যথা সম্ভব সরবরাহ চালু রাখে তাহলে মানুষ এত দিশেহারা হবে না , আর ভোগান্তিতে ও পরবে না। তারা লাভ একটু বেশি করতে পারে, তবে হঠাৎ দ্বিগুন লাভ করাটা অবিচার। আর যখন দেশের মজুদ পেয়াজ সরবরাহ চলছে আমদানি করক গন এই সময়ে নতুন বাজার খুজে নিবে, যেখানে সঠিক এবং ন্যায মূল্য পাওয়া যাবে পেয়াজ। কিম্তু তারাও তা না করে ভারতের কাছে অনুরোধ করবে, আর এতে ভারতের দাম বেড়ে যায়। সংকটের তাৎক্ষণিক সমাধান যখন ঠিক ভাবে চলেবে তখনই সরকার নেয়ে পরবে দীর্ঘমেয়াদী সমাধানে।
২.দীর্ঘমেয়াদী সমাধানঃ দেশ যখন তাৎক্ষণিক সমাধানে স্বাভাবিক ভাবে আছে তখন সরকার তার কৃষি মন্ত্রণালয় এর মাধ্যমে দেশের যেই প্রান্তে আগে পেয়ার চাষ হত, উৎপাদন বেশি হত, এখন তার দাম, সুবিধা না পেয়ে ছেড়ে দিছে সেখানের চাষীদের আবার পেয়াজ চাষে উৎসাহী করবে। প্রয়োজনীয় সকল উপকরণ প্রশিক্ষণ দিবে। সাথে সাথে নতুন এলাকায় সেখানের মাঠি পেয়াজ চাষের উপযোগী তাদের উৎসাহী করে তুলবে। আর এতে কাজ করবে দেশের কৃষি অফিস, কৃষি ব্যাংক গুলো। ফলে দুই এক বছরের মাথায় দেশ নিজেই পেয়াজে স্ববলম্বী হয়ে যাবে। তখন আস্তে আস্তে কমাবে পেয়াজের আমদানি। একবারে হঠাৎ বন্ধ করলে সমস্যা হলে পরে বিপদে তারা আর পেয়াজ দিবে না। তাই তাদের বুঝাতে হবে আমাদের চাহিদ কমে যাচ্ছে আস্তে আস্তে।
এই প্রক্রিয়ার যখন চলছে তখ দেশে উন্মোচন হবে নতুন সম্ভাবনা।
#সম্ভবনাঃ দেশের চাষীরা যখন আবার পেয়াজ চাষে ফিরে আসবে তখন দেশের মুদ্রা আর বাহিরে দিতে হবে না। আর অভ্যন্তিন পন্য ব্যবহারে ভোক্তা যেমন লাভবান হবে। সাথে লাভবান হবে দেশ। কারন পন্য বেশি উৎপাদন মানে এর সাথে বেশি মানুষের জরিত হওয়া। বেকারত্বের হ্রাস আর ট্যাক্স আয় বৃদ্ধি। আর আর এই পদ্ধতিতে সফল হওয়া সম্ভব কারন আমাদের আছে উর্বর জমি, অভিজ্ঞ চাষী, সাথে প্রচুর বেকার লোক। আর এই পদ্ধতি পেয়াজে সফল হলে অন্য পন্যে ও এর প্রয়োগ হবে। কারন এক জমিতে শুধু বছরে এক ফসল হয় না। সর্বনিম্ন দুই আর উপরে তিন ফসল হয়। তাই উন্মোচন হবে নতুন সম্ভবনার।
#ভুল- ত্রুটি ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:২৯