বিএনপি এখন রোড মার্চ করে রোড দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। রাস্তায় প্রচুর গাড়ির ধুলা উড়ছে। ময়দানে প্রচুর লোকের সমাগম হচ্ছে। এতোটা হয়তো তারা নিজেরাও আশা করেনি। কিভাবে করবে জনগনের মেমোরী গোল্ডফিশের মতো হতে পারে তাই বলে তাদের মেমোরী তো আর গোল্ডফিশের না। তাদের তো এখনো মনে আছে তারা আগে কি কুকর্ম করে এসেছে। দেশে এখন ক্রান্তিকাল চলছে - শেয়ারবাজার লুটপাট হয়ে গেছে, লাখ লাখ লোক হয়েছে নি:স্ব।দ্রব্যমুল্যের চাপে মানুষ দিশেহারা। ১৫ টাকার রিকশাভাড়া ২৫ টাকা হয়ে যাচ্ছে কিন্তু ১৫ হাজার টাকার বেতন তো ১৮ হাজার ও হচ্ছেনা। ব্যাংকের রিজার্ভ কমে যাচ্ছে, শ্রমবাজার হুমকিতে পড়ে গেছে। বিদ্যুৎ, গ্যাস আর পানির সমস্যা অসহনীয়। বিদেশী বিনিয়োগ নেই। তিস্তা চুক্তি হয়নি ওদিকে ভারত ঠিকই ট্রানজিট (করিডোর!!) নিয়ে পন্য খালাস করছে।সীমান্তে মানুষ মরছে পশুর মতো। দেশে ছিনতাই চাঁদাবাজিতে মানুষ দিশেহারা। জীবনের নিরাপত্তা নেই , আইন শৃংখলার চরম অবনতি।রাস্তাঘাটের অবস্থা স্বরনকালের সবথেকে ভয়াবহ। পদ্মা সেতু কেলেংকারী, মেট্রোরেল জট, বেকারত্বের সমস্যা। যানজটের কবলে ঢাকা হয়ে যাচ্ছে স্থবীর শহর। হয়তো কিছুদিন পরে বসবাসের অনুপোযগী ই হয়ে পড়বে। দেশের এত এত সমস্যা আর আপনি ঘুরপাক খাচ্ছেন তত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে। আপনার যদি সামান্যতম সদিচ্ছা থাকতো তাহলে আপনি আওয়ামীলীগের তত্বাবধায়ক সরকার ফাঁদে পা দিতেন না। আপনি অবশ্য এর বেশী আর কিই বা চান। আপনার তো দরকার ক্ষমতা। নির্বাচনে জয়লাভ করা। কারন নির্বাচনে জয়লাভ করলে আপনি আপনার দুর্নীতিগ্রস্থ ছেলেদের কে বাচাতে পারবেন। কারন নির্বাচনে জয়লাভ করলেই কেবল আপনি আপনার দোসর রাজাকার গুলোকে বিচার থেকে বাচাতে পারবেন। যে নেতার কাছে দেশের জনগনের থেকে ব্যক্তিস্বার্থ বড় হয়ে ওঠে সেই নেতার ধোকাবাজিতে আমরা পড়তে চাইনা। আজকে আপনি ট্রানজিট নিয়ে কোন প্রতিবাদ করেননা, শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের পাশে দাড়ান না। দেশের প্রধান সমস্যাগুলের জন্য কখনো মাঠে নামেননা, হরতাল দেননা, রোডমার্চ করেননা। আপনার এতো আন্দোলন শুধু তত্ববধায়ক সরকারের জন্যই। কারন আপনার চাই নিরঙ্কুশ ক্ষমতা যে ক্ষমতার বলে আপনি আপনার ছেলেদেরকে নিয়ে যাবেন ধরাছোয়ার বাইরে।যে ক্ষমতার বলে আপনি প্রতিশোধ নিবেন আপনার প্রতিপক্ষের। যে ক্ষমতার সুবিধা নেবে জামায়াত যুদ্ধপরাধীরা। আর আমরা আমজনতা রয়ে যাবো এখনকার ই অবস্থায়। হয়তোবা এর থেকেও খারাপ। কারন আওয়ামীলীগ যখন বিরোধীদলে থাকে তখন তারা আরও ভয়ন্কর হয়ে যায়।
স্যরি ম্যাডাম জিয়া আপনার বা জামায়াতের ধোকাবাজিতে পড়ার কোন ইচ্ছা নাই।
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
১২টি মন্তব্য ১২টি উত্তর


আলোচিত ব্লগ
এখন সময় কৃষ্ণচূড়ার
বৃক্ষপ্রেমিক দ্বিজেন শর্মা বলেছিলেন - বসন্তে কৃষ্ণচূড়া ফোটে না, আর ফুলের বাজারেও কৃষ্ণচূড়া বিকোয় না।
তবুও কৃষ্ণচূড়ার কদর আর রূপের ঝলক তাতে একবিন্দুও কমে না।
ফুলের নাম : কৃষ্ণচূড়া
অন্যান্য ও আঞ্চলিক... ...বাকিটুকু পড়ুন
শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান
চাইলে জিয়াউর রহমান ঢাকায় ঝাঁ চকচকে দালান কোঠা রাস্তা বানিয়ে সবার চোখ ধাঁধিয়ে উন্নয়ন করার বাহাদুরি করতে পারতেন। সেটা না করে তিনি ঘুরতে লাগলেন সারা দেশে, গ্রামে গঞ্জে গিয়ে খাল... ...বাকিটুকু পড়ুন
জবাবদিহিতার অনন্য দৃষ্টান্ত
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টার পদ থেকে পদত্যাগ করার পর বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক নাহিদ ইসলামের বিরুদ্ধে গুজব ছড়ানো হয় সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট থেকে। সেসব পোস্টে তার বিরুদ্ধে বিপুল... ...বাকিটুকু পড়ুন
আপনি যাত্রা করবেন নাকি রাজনীতি করবেন ?
ইদানীং দেশে রাজনৈতিক দল গজানোর হার দেখলে মনে হয়, দেশের মাটিতে এখন ধান নয়, গজায় দল। ভোট এলেই বুঝি এই দলগুলো দুলে ওঠে, আর না এলেই পড়ে থাকে ফাইলের পাতায়।... ...বাকিটুকু পড়ুন
আওয়ামী লীগের নেতারা যদি সত্যিই নির্দোষ হতেন, তাহলে তারা পালিয়ে গেলেন কেন?
আওয়ামী লীগের নেতারা যদি সত্যিই নির্দোষ হতেন, তাহলে তারা পালিয়ে গেলেন কেন?
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা দেশ ছেড়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন