''শাশুড়িরা ভুলে যায় যে সে একসময় বউ ছিল''।কিন্তু না আমাদের শায়মা আপু সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি তা ভুলবেন না এবং তিনি হবেন পৃথিবীর মধুরতম শাহুড়ি । কিন্তু তার ছেলে মাইনাচের বিয়ের পর পর পুত্রবধু সরলতার মধুর ব্যবহারে তিন মাসের মাথায় উল্টো তাকেই ছোট ছেলে ডেমোন কে নিয়ে আলাদা এপার্টমেন্টে উঠতে হয় । সে সময়ও তিনি ভালো শাশুড়ি হবার আশা ছাড়েন নি । তিনি ভাবলেন ছোট ছেলের বেলায় নিশ্চয়ই তার আশা পূরণ হবে । বলাই বাহুল্য ছোট ছেলে ডেমোন আসলেই আরেকটা ডেমোনকে বিয়ে করে নিয়ে আসল যার নাম হ্যাপী । ইনার তোপের মুখে বেচারি মিসেস শায়মা টিকতেই পারলেন না । এবার দুমাসের মাথায় তিনি উনার বাপের বাড়িতে গিয়ে উঠলেন । আফসুস
মামুন হতভাগা হচ্ছেন স্বঘোষিত বিখ্যাত লেখক । তিনি তার ১০ মাসের সাহিত্য জীবনে ১২৮ টি বই লেখেন যার মধ্যে মাত্র তিনটা বইয়ের প্রকাশক ধরতে সক্ষম হন । এর মধ্যে একটা বই প্রকাশক তার নিজের নামে ছাপিয়ে ফেলে,দ্বিতীয়টি ভুলক্রমে লেখকের নাম ছাড়াই প্রকাশিত হয়ে যায়,আর তৃতীয়টির বেলায় এমন কিছি হয়নি ।পুরো বইয়ের বান্ডীল মার্কেটে যাবার পথে হারায়া যায় । অবশ্য এক ঠোঙ্গা বিক্রেতা রাকীবের কাছে ঝালমুড়ি খাইতে গিয়ে মামুন সাহেব উনার বইয়ের হদিস পান,তবে বই হিসেবে নয়,ঠোঙ্গা হিসেবে । বেচারা তার নিকের স্বার্থকতা প্রমাণ করল ।
আশকারি রহমান সাহেবের একটা স্বর্ণের দোকান ছিল কিন্তু তার ক্যাশ থেকে প্রতিদিন ই কিছু না কিছু চুরি হত । তাও আবার বন্ধের পর । এম্নে কয়েকদিন চলার পর উনি চোর ধরবেন বল মনস্থ করেন এবং দোকানে এক বক্সের ভিতরে ঢূকে পড়েন । তো তিনি ১৪ ঘন্টা টানা বসে থাকার পর তার ১ নম্বর ধরল । সাড়া দিতে তিনি গেলেন বাথ্রুমে । তার যেতে আর আসতে ৫ মিনিট লাগল । এই ৫ মিনিটেই চোর চুরি কইরা গেছেগা । ফেল্টু ।
১৩ তারিখে বনভোজনের দিন দুই গ্রুপের মধ্যে খেলা হবে । তো এক জায়গায় তার খেলা স্টার্ট করবেন । পিছে চায়া দেখে দর্শক মাত্র ১৩ জন । এর মধ্যে শিশির সিন্ধু ,ফারজুল আরেফিন ,বেঈমান ,চিকন আলি,ইভান আর সুদীপ্তের মেজাজ খারাপ হইয়া গেছে দেইখ্যা উইঠ্যা গেল গা । তো যারা খেলতাছিল তাগোর মধ্যে জিসান ভাই কয়- আল্লাহ বাচাইছে এতক্ষণ আনলাকি থারটিন আছিল এহন লাকি ৭ হইছে,এইবার গোল দিমু ।
শখ,সারিকার পরে এইবারের জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা হচ্ছেন আমাদের মাহী আপু । তিনি প্রায় ১৮ টি নাটকে নায়িকার ভুমিকায় অভিনয় করেন । তিনি এতই জনপ্রিয় ছিলেন যে তার অভিনয়ের সময় এত পরিমাণ আপেল,টমেটো ছোড়া হত যে কাঁচা বাজারে ফল-মূলের টান পড়ে যেত । এরপরে তিনি অভিনয় ছাইড়া দিছিলেন,শুনছিলাম তিনি অভিনয় ছাইড়া নাকি ফল-মূলের ব্যাবসা দিয়া ভালা ইনকাম করতাছেন ।
জাতির নানা তার ভালু ভালু পষ্টে কমেন্ট না পেয়ে পরে ছড়া লিখা শুরু করেন । তার প্রথম ছড়া ছিল-''ব্যা ব্যা ব্ল্যাক শিপ''।এইটা দেখ্যা জানা আপু উনারে আবার ব্লক কইরা দেয় । জানা আপু বলেন ওই ছড়ার মধ্যে বর্ণবাদের ইঙ্গিত আছে । দুই সপ্তাহ পরে নোটিশবোর্ডে টাঙ্গায়া দেয়া হয় যে ব্ল্যাকশিপ বদলায়া 'সাদাশিপ' দিলে উনারে আবার সেফ করা হইবেক ।
আমি চরিত্র নির্বাচনে অনেকটা নড়বড়ে ছিলাম,বিশেষ করে নারী চরিত্র খুইজা পাইতেছিলাম না,এমনিতেই অনেকের সাথে আমার কথা হয় না,তার উপর যদি আমি কিছু লিখি উলটা যদি আবার মাইন্ড করে বসেন তাই । যাই হোক,আশা করি পোস্ট টি ভালো লাগবে । রম্য হিসেবে বিবেচনা করবেন।মিল কাল্পনিক।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:০২