আজ ১১-১২-১১ ।রোজ রবিবার । আমার জন্মদিন । মনে একটা সেইরকম ইচ্ছা আছে আজকের দিনে যদি আমারে মৃত্যু হতো । কত ভালোই না হতো। তাহলে আমার জন্ম আর মৃত্যু তারিখ আলাদা করে মনে রাখার প্রয়োজন পড়ত না। তাই কিছু পদক্ষেপ হাতে নিয়েছি । কিভাবে সহজ উপায়ে মরতে হয় । রাতে শুয়ে শুয়ে চিন্তা করতেছিলাম- সাত তলা বাড়ির উপরের থেইকা লাফ দিব। পরে চিন্তা করলাম--হাত পা ভাইঙ্গা গুড়া হইয়া যাইব । আবার নাও মরতে পারি । আরেকটা চিন্তা করলাম--যদি বাথরুম থেইকা হারপিক খাইয়া শুয়া থাকি তাহলে তো মনে হয় কোন কষ্টই হবে না। কেউ টের না পাইলেই হয়।
এখন মাথায় আসল আমি মৃত্যুর আগে কি করব?সেইরকম চিন্তাভাবনা । প্রথমেই মাথায় আসল--অনেকক্ষণ নামায পড়ব । আল্লাহ'র কাছে মাফ চাইব । এরপরে সিলেট যাইতে মন চাইল ।(কিন্তু কেন যে মনে চাইল এই ব্যাপার টা মাথায় আসল না) ছয় জন বন্ধু মিলে । কেন এরকম ইচ্ছা?কিছুদিন আগে একবার সিলেট গিয়েছিলাম ছয় জন । তখনের যেই আনন্দ টা হয়েছিল তা অন্য কিছুর সাথে তুলনা করার মত না ।
কিছু ঘটনা বলি--আমার একজন বন্ধু অতি তাড়াহুড়া করতে গিয়ে আন্ডারওয়্যার নিতে ভুলে গেছে ।তো সিলেটে গিয়ে আন্ডারওয়্যার কিনবে ।গেছে জিন্দাবাজার । যায়া বলে -ভাই আন্ডারওয়্যার আছে? দোকানদার বলে-না,আন্ডারওয়্যার নাই। অথচ তার পিছনে সারি সারি বক্সার সাজানো । তো আমার বন্ধুটি বলল-ঐযে আপনার পিছনে বক্সগুলা সাজানো,ঐগুলাই তো আণ্ডারওয়্যার । তখন দোকানদার বলল- ''আরে না ইতা আণ্ডারওয়্যার না ,ইতা জাঙ্গিয়া ।''
পরে সে গেল আরেকটা দোকানে ।ঐখানে বলল-ভাই জাঙ্গিয়া দেন তো । এইবার দোকানী বলল,তার কাছে জাঙ্গিয়া নাই ।অথচ তার পিছনেও সারি সারি বক্স ছিল । তো সে বলল যে--ভাই,ঐযে FILa এর বক্স টা দেন । দোকানী বলল- এইটা তো জাঙ্গিয়া না, ইতা প্যান্ট ।
তবে একটা বন্ধু অইত্যন্ত বিরক্ত করত।সকালে বিকালে খালি ভাত চাইত ।কইত,দোস্ত,ভাত খামু। অনেক কষ্ট কইরা ওরে বুঝায়া রাখা হইত ।
একদিন বাজারে যামু ঘুরতে। তখন রিক্সা ডাক দিলাম। ঐ মামা যাবা? উনি আমার দিকে ফিরাও তাকাইল না। পরে যখন বলা হইল-ড্রাইভার সাহেব যাবেন?তখন দেখি কি সুন্দর থাইমা গেল। ।
আজিব দুনিয়া। বাইচা থাকতে ইচ্ছা হয় আবার মইরা যাইতেও ইচ্ছা হয়।বন্ধুদের সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয় কি জানেন? তাদের যত উইকেট ই পড়ুক না কেন আমাদের সাথে রঙ্গ তামাশা বন্ধ হয় না। ও আচ্ছা উইকেট মানে হচ্ছে প্রেমের উইকেট । প্রেম বিষয়টা এখন কেমন জানি লাগে । ব্যাপারটা এমন যে ডাল দিয়া ভাত দিয়া খায়া ফেললাম । পুরা ফালতু একটা টপিক । আলোচনা করতে ইচ্ছা হয় না ।যারা প্রেম করে তাদের সাথে একটা তুলনা দিলেই পার্থক্য হচ্ছে প্রেম করলে হয়তো কিছু সময়ের জন্য অনেক আনন্দ পাওয়া যায় তবে অধিকাংশ সময় ই কষ্ট দেয় । এবং অনেক কষ্ট। আমার ধারণা --গার্লফ্রেন্ড যখন ঝগড়া করে তখন মুঞ্চায় গলা টিপ্পা মাইরা ফালাই আবার যখন আদরের সহিত কথা বলে তখন মুনে হয়,আহ!কত ভালো মেয়ে ।
৩ তারিখে আমার একটা ফ্রেন্ডের জন্মদিন ছিল।তাকে ভুলায়া ভালায়া ব্যাটন রাফ এ নিয়ে গেলাম । ভালোই খাইলাম। আঃ! কি স্বাদ । তো কালকে আমার ফ্রেন্ডটাকে আমি বললাম --''দোস্ত আমার কাছে তো এখন টাকা নাই ,তোগরে মোস্তাকিমে খাওয়ামু নে । '' তো সেই ফ্রেন্ড প্রথমে কিছু বলে না।আরেকজন আইসা আমারে বলল-- 'মোস্তাকিমের বটি কাবাবের সাথে মরিচের গুরা মিশায়া...। বাকিটুকু আর নাইবা কইলাম। :/''
আসলে এই লিখার মুখ্য বিষয় হল--মৃত্যুর আগে একটিবার আপনার সবচেয়ে কাছের বন্ধুদের সাথে একবার কথা বলে দেখেন। এক ঘন্টা কথা বলে দেখেন । এই সুন্দর পৃথিবী আপনার ছাড়তে ইচ্ছা করবে না । আত্নহনন করার চিন্তা মাথায় আনবেন না ।
আমার জন্মদিন টা কিভাবে কাটবে জানিনা । তবে আমার দাদু একটা মারাত্নক কথা বলছে । আমার ছোট ভাই বলতেছে--ভাইয়া,কি খাওয়াবি? তখন দাদু বলে --আরে ওর কি এখন জন্মদিন পালনের বয়স আছে নাকি?বিয়ার বয়স হয়ে গেছে । :#> (সুপাত্রী আছে নাকি?)