লন্ডনের ডায়েরিঃ
মানসিক রুগী
শুধু মাত্র লন্ডনে আসলেই তো হবে না, তারপরে কি?
হ্যাঁ তারপরে কি ?
তারপরে যা মনে করে আসা হয় তা না হওয়াতে কপালে নেমে আসে কঠিন বাস্তবতা ।
যা অনেকে মেনে নিতে পারে না। ক্রমাগত ফ্রাস্সটেসান সামলাতে সামলাতে মানুষ গুলো মানসিক অসুখে ভুগতে থাকে।
আজ সেরকমের একটা সত্য গল্প বলবো ।
মেয়েটা মাস্টার্স করা। স্বামী ছাত্র । কথা হয় বিয়ের আগে মেয়েটার সাথে যে সে কাজ করে তার পড়াশুনার খরচ চালাবে। আর সে পড়াশুনা শেষ করে প্রফেশনাল একটা ভালো চাকুরী পাবে। মেয়েটাকে তখন আর কষ্ট করতে হবে না।
কিন্তু বিধি বাম। মেয়ে টা যা কাজ পায় তাই করে এবং তা দিয়ে তার
পড়ার খরচ চালাতে থাকে। কিন্তু ছেলেটা আর পাশ করতে পারে না। মেয়েটা কত যে পরিশ্রম করলো তার ইয়ত্তা নাই। সব পানিতে গেলো।
ছেলেটা পাশের আশা বাদ দিয়ে রেস্টুরেন্ট ব্যাবসা আরম্ভ করে কিন্তু সেটাও ফেল।
মেয়েটার নার্ভাস ব্রেক ডাউন হয়ে যায় । একটা বাচ্চা হয় কিন্তু কপাল মন্দ ছেলেটা কানে শুনে না তাই কথা বলতে পারে না।
বাড়ি কিনবে কিন্তু ডাউন পেমেন্ট করবে কি দিয়ে ? চলে যায় কাউন্সিল বাড়িতে । চার তলার উপরে ফ্লাট , লিফট নাই ।সিড়ি ভেঙ্গে উঠতে হয় পুসচেয়ার সহ বাচ্চা নিয়ে।
কি যে কষ্ট তা ভুক্তভুগি জানে। তারপরে মেয়েটার মানসিক অসুখ ধরা দায় যার নাম " সন্দেহ বাতিক " । ক্রমাগত প্রেশার আর ব্যার্থতা আর গ্লানি এর পেছনের কারন।
সংসার আর টিকলো না । মানসিক রুগীর সাথে থাকা যায় না। স্বামী চলে গেলো । জানি না মেয়েটার অবস্থা এখন কি ।
লন্ডনের জীবন ।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১২:২৫