"
"
"
"
"
ভাই-বোনের মধ্যে খোঁচাখুচি থাকবে এটা বীজগণিতের সূত্রের মতো চিরন্তন সত্য কথা। আমার ছোটবোনের সাথে এককালে অনেক ঝগড়া হতো, এখন সেটা খুনসুটির পর্যায়ে গেছে। ওর একটা কথায় আমি কয়েকটা খুঁত ধরি, এতেই সে রেগেমেগে আগুন। যেমন ঐদিন সে গান গাইতেসিল, “নিথুয়া পাথারে নেমেছি বন্ধুরে ধর বন্ধু আমার কেহ নাই...”। আমি শুনেই বিশ্লেষণ করলাম, “শোন, এর মানে হচ্ছে গায়কের আসলে বন্ধু আছে। সে মনে করতে বলছে যে তার বন্ধু নাই। ওইযে অংক করোনা যে ‘ধরি,...’ বা ‘মনে করি,...’ এইরকম আরকি সেও ধরতে বলছে যে তার কোন বন্ধু নাই”।



একদিন আমার ছোট বোনকে ডেকে বললাম, “শোন, তুমি যে পড়াশোনা কর না ঠিকমতো, অথচ প্রত্যেকটা বস্তু পড়াশোনা করে। প্রত্যেকটা বস্তু যেখানে শিক্ষিত সেখানে তোমার তো আরও ভালো করে পড়া উচিত”।



এটা যেহেতু আগডুম বাগডুম পোস্ট, তাই এখানে আগডুম বাগডুমই লিখে যাচ্ছি।

একবার আমি আপুর বাসায় চা বানাচ্ছিলাম। ভাগ্নে এসে বললো, “তিনকাপ চা কার কার”? আমি বললাম, “ আমার, তোমার আম্মুর আর তোমার মামার”। সে ক্ষেপে গিয়ে বললো, “ও, তোমরা খাবে আর আমি কি তাকিয়ে তাকিয়ে দেখবো?”



যারা আমার অখাদ্য পোস্টগুলো কষ্ট করে পড়েন তারা আমার ভাগ্নী ফারহিনের কথা শুনেছেন নিশ্চয়ই। একদিন আপু ফারহিনকে পড়তে দিয়ে বললো, “১৫ মিনিট পর পড়া দিবে”। ফারহিন সাথে সাথে খানিকটা আর্তনাদ করে বললো, “আমি কষ্ট করে পড়া শিখবো আর সেটা তোমাকে দিয়ে দিব? না... না..., আমার পড়া আমি কাউকে দিবোনা”।

কিনাদি'স স্পেশালঃ আগডুম বাগডুম পোস্ট-১

