আমার ব্লগ পুরোটাই আগডুম বাগডুম পোস্টে ভরা। তবুও এইটার নাম আগডুম বাগডুম দিলাম কারণ নাম খুজে পাচ্ছিনা।



ছোটবেলায় কত কি আজগুবি জিনিস চিন্তা করতাম আর কত আজগুবি কাজ করতাম মনে পড়লে মাঝে মাঝে একা একাই হাসি।সেগুলোর কয়েকটা শেয়ার করার লোভ হলো খুব।

কারেন্ট চলে গেলে দাদুবাড়ির দোতলায় জানালার কাছে বসে থাকতাম আর রাস্তার দিকে তাকিয়ে থাকতাম। অনেকের হাতে জ্বলন্ত কয়েল দেখা যেতো। অন্ধকারে মশা বেশী তো তাই লোকজন কয়েল নিয়ে চলাচল করছে।


দাদুবাড়িতে সিড়ির নিচের ঘরে অনেকগুলো পাটখড়ি রাখা ছিলো। এগুলো কি কারণে ছিলো মনে নেই। আমরা মনের আনন্দে পাটখড়ি নিয়ে খেলতাম, এবং তা অবশ্যই বড়দের আড়ালে। কারণ বড়রা সুজোগ পেলেই মনের আনন্দে ঝাড়ি দিতে পছন্দ করে। আমরা কাজিনরা সবাই একদিন কি কি জানি খেলছিলাম, এরমধ্যে একজন একটা কাঠি নিয়ে সিগারেট খাওয়ার ভঙ্গি করলো। এটা আমার মাথায় ঢুকে রইলো। রাতে আমি একটা পাটখড়ি ভেঙ্গে নিয়ে এক দিকে আগুন জ্বালালাম সিগারেটের মতো করে। তারপরে এক কোণায় গিয়ে একটা সুখটান।


ছোটবেলায় পরেরদিন বলতে ভাবতাম ২৪ ঘন্টা পর।


ক্লাস ফাইভ পর্যন্ত বাংলা বই এ একজন করে বীরশ্রেষ্ঠ এর সম্পর্কে লেখা থাকতো। শেষে লেখা থাকতো “ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে তাদের নাম লেখা আছে”। আমি অনেকদিন পর্যন্ত ভেবেছি ইতিহাস হলো অনেক বড় আর মোটা একটা বই। যেখানে ভালো ভালো মানুষের নাম স্বর্ণ দিয়ে লেখা থাকে।


সর্বশেষ এডিট : ২০ শে মে, ২০১১ বিকাল ৩:৫৯