দিনটি শুরু মন আনন্দে-কিশোরচিত্তে;
চিন্তাভাবনার-নাইতো বালাই।
সকাল দুপুর সন্ধ্যা রাতে,
খেলাই বেড়াই পাড়াগাঁয়ে-মন আনন্দে;
নতুন মাঝেই-সুখ খুঁজে পাই।
পাশের বাড়ি বন্ধুর সনে,
সুযোগ খুঁজি খেলার ছলে-ভর দুপুরে;
কোনভাবে যদি-তার দেখা পাই।
কতো খেলাই ওঠতো জমে,
মনের সুখে দুজন মিলে-একলা ঘরে;
আর যেনো-গল্পের অভাব নাই।
দৌড়ঝাঁপ আর মারামারি,
সুযোগ পেলেই রোজ খেলি-পাশের গ্রামে;
সকল খেলায়-দল বেঁধে যাই।
ঝগড়াঝাঁটি সকল ভুলি,
এক হয়েই যে খেলে আসি-রোজ বিকেলে;
মোদের চেয়ে-জুট কোথাও নাই।
খুশির খবর যদি জানি,
মনের মতো বন্ধুরে খুঁজি-সবার আগে;
তার কাছেই-নির্দ্বিধায় জানাই।
ভুলে দ্বন্দ্ব-দুঃখ বন্ধু ডাকি,
জিগাই তারে জানিস নাকি- আমার মনে;
তুই ছাড়া আর-সুখ কোথা পাই!
পুকুরপাড়ে ঝড়ের রাতে,
যেতাম ছোটে দুজন মিলে-আম কুড়াতে;
সবার আগে-চাই যাওয়া চাই।
সঙ্গের সাথী সবাই মিলে,
পাশের বাড়ির গাছ থেকে- আঁধার ঠেলে;
নারিকেল ডাব-কত পেড়ে খাই।
সুযোগ মতো পাশের বনে,
শিয়াল মামার দেখা পেলে- সবার সাথে;
মারতে তারে-যাই ছোটে যাই।
বাল্য কালের বন্ধুর সনে,
কতো কথাই যে মিশে আছে-গোপন হয়ে;
হাসি আজও-মনে হলে একাই।
বাবার কাছে খেয়েই বকা,
কখনো ঘরে রইছি একা-দোয়ার মেরে;
চোখের জলে-এই বুক ভাসাই।
বন্ধু আমার আসতো একা,
হাইরে কতই স্বপ্ন দেখা-রাগ ভাঙিলে;
হাসতে হাসতে-গড়া গড়ি যাই।
হাসি খেলায় যাইতো বেলা,
সুখের গাঙে রঙিন ভেলা-হৃদয় ফ্রেমে;
এঁকেছি কত ছবি-তুলি ছাড়াই।
হায়রে আমার ছেলে বেলা,
হয়'না যেন আজও ভুলা-মনের ঘরে;
রাখছি তারে-খব যতনে তাই।
গোলাপ গাছে ফুলের রেণু,
সেথায় গেলে জুটবে মধু-ভ্রমর জানে;
যেথায় ঘুরুক-ফিরে আসে তাই।
হারিয়ে যাওয়া দিন গুলো,
যদিও জানি পাবো'না তবু-স্মরণ করে;
কিছুটা হলেও-সুখ খুঁজে পাই।
বাল্যকাল আর বাল্যবন্ধু,
কতকিছু পাইলাম তবু-এই জীবনে;
কিছুর সাথে-তার তুলনা নাই।
নতুন গাছে প্রেমের কদু,
চাক- ভাঙিয়া সুখের মধু-পাইছি খুঁজে;
ছেলেবেলার সে-বন্ধু ভুলিনাই।
(আমার ছেলেবেলা সম্পর্কেই লিখতে চেয়েছিলাম। কিন্তু লেখা শেষ করার পর অনেকবার পড়েও মুগ্ধ হতে পারিনি নিজেই। সেজন্য গতকাল শেষ করলে ফেসবুকে দিলেও ব্লগে দিতে সাহস করিনি। তবুও আজ দিলাম যে, লেখছি যখন কষ্ট করে থাকুক নিজের কাছেই না হয়। পড়ে আপনার সময় নষ্ট করার জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত।)
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:৪৯