আরি ! কিসের জন্য জানি রুম থেকে বের হইছি আমি !! ধুর, মনেই পড়ছে না। কিছু একটা নিতে হবে.............................. কিন্তু নাহ কোনোভাবেই মনে করতে পারছি না। ফ্রিজের উপরে চোখ গেলো, চশমা, মোবাইল, চাবি ছাড়াও আরো কিছু টুকি টাকি জিনিস রাখা। ওহ !! মনে পড়েছে, চশমা নিতে হবে। এই সহজ জিনিস টা ভুলে গেলাম !! চশমা টা নিয়ে কালসের উদ্দেশে বাসা থেকে বের হলাম। নিচে নেমে গেইট খুলে বাইরে যাবার পর মনে পড়লো মোবাইল রেখে এসেছি ফ্রিজের উপরেই !! আবার চারতলা বেয়ে উপরে উঠে ফোন নিয়ে নিচে নামলাম।
ঘটনা টা আজকে সকালের। রুমের দরজা খুলে বের হইছি চশমা নেবার জন্য, বাইরে পা দেওয়ার সাথে সাথেই বিস্মৃত হলাম !! এই সমস্যা আমার নতুন না। বেশ কিছুদিন ধরেই দেখছি খুব সাধারন জিনিস ও মনে রাখতে পারি না। আমার মেমরী যে আগে শেরে বাংলার মতন ছিলো তা নয়। কিন্তু এতটা খারাপ ও ছিলো না। তাহলে এখন কি হলো ! নাহ , প্রেমে আমি পড়িনি। সস্তা রোমান্স আমার নেই। প্রেমে পড়ে বিস্মৃত হবার মত এত আলগা ইমোশনও আমার নাই।
তাহলে ব্যাপার টা কি ?
গতবছরের শেষের দিকে অসুস্থতার কারনে ডক্টর আমাকে অল্প ডোজের এন্টি এংজাইটিক ড্রাগ সাজেস্ট করেছিলো। শুরু করলাম। রেজিস্ট্যান্স গ্রো করলো। ডোজ বাড়ালাম, তাতেও রেজিস্ট্যান্স গ্রো করলো! আরো বাড়ালাম এবং নিয়মিত হাই ডোজের ওষুধ খেতে হলো আমাকে। ডোজ বাড়ানোর কাজ টা আমি ডক্টরের সাজেসন ছাড়াই করেছি। আমি ফার্মাসির স্টুডেন্ট হওয়া স্বত্তেও এই কাজ টা করেছি। বলতে দ্বিধা নেই, কিছুটা এডিকশন ও কাজ করছিলো।
এন্টি এংজাইটিক ওষুধের একটা কমন প্রব্লেম হলো ডিপেন্ডেন্সি গ্রো করা। সেই সাথে অন্যান্য সাইড ইফেক্ট তো আছেই। যার মাঝে একটা হলো এ্যাম্নেশিয়া।
সেদিন স্যার পড়ানোর সময় আস্ক করেছিলেন কারা এই জাতীয় ওষুধ গ্রহন করে, আমি হাত তুলেছিলাম। স্যার বললেন, সর্বনাশ, তুমি তো পড়াশুনা কিছুই মনে রাখতে পারবা না। মনে মনে বললাম, সর্বনাশ হয়েই গেছে !