কবিতা নিয়ে ব্যাখ্যায় আমি কখনো যাবো না। কবিতার ব্যাখা দেবার মতো পণ্ডিত আমি নই। সামুর ব্লগে আজ প্রায় ১ বছরের অধিক সময় ধরে আমি আছি। অনেক অনেক শুভাকাঙ্ক্ষী পেয়েছি। আজ যেহেতু রাজনৈতিক প্রোপাগান্ডা বলে উপাধি পেলাম তাই এই পোস্ট। যেই কবিতাটি কলা বাগান ১ এর চক্ষুশূল আমি তা নিচে আবারো দিচ্ছি। বিচার করবে অন্য ব্লগাররা। আমি মন্তব্যের ঘরে অবশ্যই আমার কথা বলবো...
আশাকরি যুক্তিক আলোচনা হবে....
২৭. ২৮ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ৯:৪৫ ১
কলাবাগান১ বলেছেন: স্বাধীনতার এত বছর পরে এসেও ডিফাইনিং মোমেন্ট খুজে এর অছিলায় স্বাধীনতার ইতিহাস কে প্রশ্নবিদ্ধ....
নাগরিক কবি যে কবিতা লিখলেন স্বাধীনতাকে 'কটাক্ষ' করে...সেটা কি কেবলই কবিতা না রাজনৈতিক প্রপাগান্ডা???
২৮ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:০০ ০
লেখক বলেছেন: এবং দুঃখজনক হচ্ছে এদের পাল্লাটা ভারী, ঐ কবিতার কেউ সমালোচনা করলোনা। যারা বাহাবা দিলে তারা কেউ কি ওটা বুঝে পড়েছে!
নাগরিক কবির-র কবিতা আমি পড়িনি।
আমার সেই রাজনৈতিক প্রোপাগান্ডা কবিতা :
স্বাধীনতার একুশটি তোপধ্বনি কানে এলে
আমার গায়েতে শূলানি ধরে
দমবন্ধ হয়ে মরে যেতে ইচ্ছে করে
কোন এক অন্ধকার প্রকোষ্ঠের মাঝে
নিজের গলা নিজেই চেপে ধরে ককিয়ে দ্যাখি
বাল্যবন্ধুর তৃতীয় স্ত্রী
আমার উষ্কখুষ্ক চুলের দিকে তাকিয়ে
ছুড়ে দেয় তার নির্মল হাসি
আর আমি সেই হাসি লুফে নিয়ে
স্বাধীনতা কে নিয়ে যাই বহুগামিতার ঘরে
সেখানে বন্ধুর ঘ্রাণ খুঁজে ফিরি
তারই স্ত্রীর উপত্যকার মাঝে
এখানেই নাকি স্বাধীনতা !
স্মৃতিসৌধের সামনে দাঁড়িয়ে
লাল নীল শাড়িপরিহিতার বুক ও নিতম্বের মাপ নিয়ে
ইস্কুল বালিকাকে ধর্ষণ কোরে ফিরে এসেই লিখতে বসি
নতুন একটা প্রেমের কবিতা
আজকাল প্রেম আমার বেড়ে গেছে বড় বেশি
সেই সব প্রেমেতে থাকেনা কোনো গণিকার কথা
বরং আমি চিন্তা করি
এক দুই তিন চার কোরে
ঠিক কতোজন মায়ের কন্যাকে ধর্ষণ করলে
পেয়ে যেতে পারি স্বর্গীয় পাসপোর্ট !
আমার ছেলেকেও দ্যাখেছি
শাহাবাগের মুক্তমঞ্চে দাঁড়িয়ে
আমারই মতো দাড়িগোঁফ রেখে
রুদ্র কন্ঠে কবিতা শোনায় তার প্রেমিকাকে
নজরুল ও রবীন্দ্র জয়ন্তীতে সে কবিতা শোনায়
আজকাল তার নাকি খুব কবিতায় বাঁচতে ইচ্ছে করে
আর আমার ইচ্ছে করে
এইসব কবিতাকেও ধর্ষণ করে নতুন কোন কবিতার জন্ম দিতে
ঠিক যেমনটা ধর্ষন করতে ইচ্ছে করে
প্রাণহীন কোন মেয়েলোকের স্ট্যাচু দেখলে
পুরুষের উন্মুক্ত উচ্ছল পাছা দ্যাখে
ইচ্ছে জাগেনা সমকামী হবার
কারণ তারাও আমার মতো ধর্ষক
উলটো কোনো একদিন আমাকেই পোদ মেরে দিবে
এভাবেই আমি একজন ধর্ষক এবং আমি পালন করি
আমার স্বাধীনতা দিবস নির্ভয়ে
এই ছাপান্ন হাজার বর্গমাইলব্যাপী স্বাধীনতার মাঝে
আহা স্বাধীনতা, আহা স্বাধীনতা !
স্বাধীনতা দিবসের দিন আমরা উপহার পাই ধর্ষিতা মেয়ের লাশ। আর এইসব ধর্ষণের বিচার চাইতে গেলেই আমরা হয়ে উঠি সুশীল সমাজের অশ্লীল কবি। হায়, হায় আমাদের শ্লীল অশ্লীল কবিতা....
বাংলাদেশে এইসব ধর্ষণ বন্ধ হবে না, যতো দিন না আমরা আমাদের স্বাধীনতাটা পুরোপুরিভাবে ব্যবহার করতে পারবো। একটা স্বাধীন দেশে এতোটা অন্যায় কিভাবে আপনারা মেনে নেন হে শ্লীল সমাজ....
তোমরা সহস্র বিউটিদের লাশ উপহার দিয়ে যাও আমাদের।আমরা বসে প্রেমের কবিতা লেখি....
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:১২