খুবই ব্যাক্তিগত লিখা। মানুষ গুলো এখনও আমার আশে পাশে আছে । শুধু নাম গুলো বদলে দিয়েছি ।
প্রথম মেয়েদের দেখা এবং তাদের দিকে তাকানো শিখিয়েছিল আমার খুব কাছের বন্ধু মাহবুব (এখন ব্যাংকার) । সরকারী স্কুলে পড়তাম । মর্নিং শিফট। সকাল ৭.৪৫ থেকে ক্লাস ছিল । শেষ হতো ১১.৪৫ এর দিকে । ঠিক ঐ সময় ছুটি হত সরকারী অগ্রগামী বালিকা বিদ্যালয়ের । মাহবুব আর আমি ঐ রাস্তা দিয়ে বাসায় ফিরতাম আর তাকানোর চেষ্টা করতাম । আজকের ব্লগটাও ঠিক ঐ রকম ১০ জনকে নিয়ে । ভালো লাগবে ।
১।। ক্লাস ৬ / ৭ বাবা স্কুলে দিয়ে আসতেন , সকাল বেলা । ঠিক ঐ সময় ব্লু-বার্ডে পড়ত একটা মেয়েও স্কুলে যেতো । শুধু দেখতাম সাদা ইউনিফর্ম পড়ে কাধে ব্যাগ ঝুলিয়ে যাচ্ছে । মেয়েটা অসম্ভব ফর্সা ছিল । হাসিটাও দারুন ছিল । ১ বছর দেখলাম ঠিক সকাল বেলাতে । কখনও কথা বলার ফরসত পেলাম না । তাই নাম ও জানি না ।
২। ধরা টা খেলাম যখন এস.এস.সি এক্সাম দেবার জন্য কোচিং এ ভর্তি হলাম । বিকেলে ক্লাস থাকত । মেয়েটির নাম শা... নাহার । টোটাল বোরকা । শুধু মুখ দেখা যেত আর হাসি । সেটাই প্রথম কোন সুন্দরী দেখা এবং মনে আলোড়ন পাওয়া ।
৩। বাসার সামনে একটু দূরে একটা টিনশেড বাসা ছিল । শ্যামলা ধরনের একটা মেয়ে থাকত । প্রতিদিন বিকাল বেলা দেখতাম । ছোট ভাইয়ের সাথে ক্রিকেট খেলার সময় বল ওর বাসায় পড়ে যেত । আনতে যেতাম । প্রতিদিনই দেখতাম । সেও আমাকে দেখত । কিন্তু কথা বলার নাম জানার সূযোগ হয় নি । দেখতে দারুন ছিল ।
৪। কলেজে যাবার পর একটা মেয়ে প্রায়ই দেখতাম । নাম দিছিলাম আমরা ডিসকো । ফর্সা , দাত গুলো ছিল সামনের দিকে ঝুকানো । আকর্ষনীয় ছিল কিন্তু এতো রূপবতী ছিল না , গ্রাম - গন্জ এবং সরকারী স্কুল থেকে আসা ছেলেদের ভালই টান দিত । ইদানিং দেখলাম তার বিয়ে হয়েছে। আহ :
৫। আমার দেখা সবচেয়ে সুন্দরী মেয়ে যে আমার ভালো বন্ধু ছিল । নাম শর্মী। ঢাকায় পড়তে যাবার পর পরিচয় । ও পড়ত এশিয়া প্যাসিফিকে । বিবিএ তে । বাসা ছিল মিরপুর । ৫ ফুট ৪ ইন্চ , ফর্সা , গালে টোল পড়ত এবং অসম্ভব সুন্দর হাসতে পারত । মেয়ের সমস্যা ছিল অনেক কিছুটা কৃপন এবং খুব বিপদজনক চালাক ছিল । সব সময় মধ্য পন্থা অবলম্বন করত । দারুন কিছু সময় প্রায় বছর চারেক আমাদের যোগাযোগ ছিল । তিনি এখন বিবাহিত ।
৬। ফেসবুকে পরিচয় হলো নোবিপ্রবি তে পড়া একটা মেয়ের । ক্যামিক্যাল প্রকৌশলে পড়ত । দারুব ভয়েস । শ্যামলা , হালকা পাতলা গড়নের । সব সময় খুত খুজে বেড়াত । কেন এটা করলাম , ঐটা করলাম । এর ভাল দিক ছিল ওর পারসোনালিটি । নাম ছিল অর্পা । ফেসবুকে ফ্রেন্ড বেড়ে যাওয়ায় আর আগের মতো ওর সাথে যোগাযোগ হয়ে উঠে না ।
৭। তাসনিম বৃষ্টি । আমার সাথে পরিচয় হওয়া অস্থির একটা মেয়ে। এতো কিউট, মায়া মাখানো চেহারা আমি এখনও পাই নাই হয়ত পাব না । নর্থ বেঙ্গাল মেডিক্যাল , সিরাজগন্জে পড়ত । ৪ ইয়ার এ পরিচয় হলো । মেয়ে রাজশাহীর ছিল । ফেসবুকে পরিচয় । তারপর বন্ধুত্ব । সিলেট আর রাজশাহী । নাইলে আমি এর সাথে রিলেশান করতাম । যাই হোক , ওর সবচেয়ে বড় সমস্যা ছিল ওর রূপ । সাথে খুব ভালো নাচতে পারত আর গাইতে পারত । খুব আবেগী আর মিথ্যে বলত । এমন ও হয়েছে ঢাকা থেকে সদূর সিরাজগন্জ যেয়ে তাসনীমের মিথ্যা ধরতাম । সেই দিন গুলি ...
৮ । রিতা । আমার এক ক্লোজ ফ্রেন্ডের জিএফ ছিল। একটা প্রাইভেট ইউনি তে পড়ত । আমার সাথেও ভালো রিলেশান ছিল । মাঝে মাঝে কথা হতো তাও ফোনে। প্রচন্ড নোংরা মানষিকতার পরিচয় পেয়েছিলাম ওর কাছ থেকে । আমার ফ্রেন্ডের ভাগ্য ভালো ওর হাত থেকে বেচে গিয়েছিল । এখন সে লন্ডনে /
৯। সিলেটের একটা মেডিক্যাল এ পড়ে । মেয়ের নাম জান্নাত । তেমন আহামরি সুন্দরী নয় । তবে দারুন ছিল ওর মনটা । ফেসবুকে পরিচয় । দেখাও হতো । এখনও সম্পর্ক আছে । সমস্যা হলো খুব আবেগী । কো্থায় কি বলা উচিত সেটা বুঝে না। একটু সেলফ কনসেনট্টটেড মেয়ে । নিজেকে ছাড়া কিছুই বুঝে না ।
১০ । ঢাকাতে জব করতে যেয়ে পরিচয় হলো । নাম নওরীন । কম্পিউটার প্রকৌশলী। আমার জুনিয়ার ছিল । দেখতে মন্দ না । ভালই ছিল । মাঝে আমার একটা প্যারা উঠছিল ওর সাথে রিলেশান করব । কিন্তু কয়েকটা কারনে সরে আসলাম । গলার স্বর কেমন পুরুষালী ছিল , আমার ভয় লাগত । ওর চোখে মুখে দুষ্টামী লেগে থাকত । তাই শিফট ডিলিট দিছিলাম । যদিও একজনও যোগাযোগ আছে।
(চলবে )
কেউ যদি ভাবেন আমার এতো জনের সাথে রিলেশান ছিল । ভুল , সবই ভুল । উই ওয়্যার জাস্ট আ গুড ফ্রেন্ড । কয়েকদিন হলো ওদের কথা মনে পড়ছিল , তাই লিখলাম । অনেকে আমাকে অনেক ভাবে হেল্প করেছে । সবার সাথে যোগাযোগ থাকলে ভালো লাগত । কিন্তু হয়ে উঠে নাই । আপনারা যে যেখানেই থাকেন , ভালো থাকুন । আপনাদের ভালো চাই সবসময় । আমার জীবনের বিভিন্ন সময়ে ওরা যেভাবে আমাকে হেল্প করেছে , আমি কোনদিনও তা ভুলব না । আগামীতে সেগুলো শেয়ার করব । সবাইকে শুভরাত ।
ধন্যবাদ