হাজার বছর ধরে মিলিয়ন মিলিয়ন নারীরা হেজাব পরিধান করে আসছে , এটা বিশেষ করে মুসলিম মহিলাদের একটি গৌরবময় ঐতিহ্য , আমি জানিনা হেজাব পরিধানকারী কোন মুসলিম নারী হাজার বছরের এই ইতিহাসে কোন সময় এটাকে সমস্যা মনে করেছে বা এটাকে বোঝা মনে করেছে ! বরং নারীরা বরাবরই এটাকে তাদের সম্মান এবং পজিটিভ সৌন্দর্যের প্রতিক বলে মনে করেছে , এখন প্রশ্ন আসতে পারে অনেক মুসলিম নামধারী মহিলাও এটার বিরোধিতা করেছে এর উত্তরে কি বলবেন ?
আমি বলতে চাই এই সমস্ত মহিলাদের অধিকাংশই
পড়াশোনা করেছে জেনারেল বস্তুবাদী ইস্কুল , কলেজে , যেখানে চিন্তা চেতনার মধ্যে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে হিজাব চুলকানী ! মানে এটা পরিধান করলে চুলকানী etc হতে পারে !
যদিও কোনদিন ট্রাই পর্যন্ত করে দেখেনি !
আবার কিছু নারীরা এটাকে প্রথা সাব্যস্ত করে আন্দোলন শুরু করলো , এটা ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ ! আমি কি পড়বো বা না পড়বো সেটা আমার ব্যাপার ! ঠিক আছে আপনাকে তো আর বলা হচ্ছেনা , আপনাকে সব সময় হেজাব পরিধান করতে হবে , আপনার ঘরে আপনি উলঙ্গ হয়ে থাকলেও কারো আসে যায়না ! কিন্তু কথা হচ্ছে আপনি উলঙ্গ হয়ে সবার সামনে আসতে পারেননা ! যদিও আপনার যুক্তিগত দাবি অনুযায়ী আসতেও পারেন সেটা আপনার ব্যাপার ! কিন্তু সুস্থ মস্তিষ্কে এটা মেনে নেওয়া যায়না ! এর প্রতিবাদ করা নৈতিক দায়িত্ব ধর্মীয় না হয় বাদই দিলাম !
ভাই আপনি হেজাব না পড়াকে উলঙ্গ হবার সাথে তুলনা করছেন ?
করতে চাইনি কিন্তু করতে হয়েছে এজন্য , আপনি যেমন হেজাব নাও করতে পারেন , কিন্তু হেজাব বিরোধী কথাবার্তা , আন্দোলন বা কটুক্তি করা আর হেজাব না পড়া দুটো এক নয় ! আপনি একটি ভালো কাজ নাও করতে পারেন বাট ভালো কাজকে অবশ্যই ভালো বলতে হবে , ভালো কে মন্দ বললে আপনার মস্তিষ্কে যে বিভ্রাট ঘটেছে এটা স্বীকার করতে হবে , হিজাব পরিধান হচ্ছে ইসলামী আইনে একটি অত্যাবশ্যক কাজ , আপনি নিজেকে মুসলিম দাবি করলে অবশ্যই এটা পালন করতে হব , কেও যদি না করে সরকারের দায়িত্ব এটা পড়তে বাধ্য করা বিশেষ করে পাবলিক প্লেসে , ঘরের মধ্যে নয় !
যেমনটি সৌদি আরবে করা হয় "
ইসলাম কি জন্য এটাকে অত্যাবশ্যক করেছে ?
এটা এজন্য করা হয়েছে , পাবলিক প্লেসে যখন একজন নারী খোলামেলা চলাফেরা করবে , তার প্রতি দৃষ্টি পড়লে স্বাভাবিকভাবেই পুরুষদের , মনে কামনা বাসনা তথা কাম প্রবৃত্তি জাগ্রত হবে , যদি কারোও না হয় তাহলে আমি জানিনা সত্যিই আপনি পুরুষ ? নাকি পুরুষত্বহীন হিজড়া !
অবশ্য অনেক পুরুষই চাইবে মেয়েরা হিজাব না করুক , কেননা এদের দিকে লোলুপ দৃষ্টিতে তাকিয়ে নষ্ট মনের খোরাক না জোগাতে পারলে , মন বড় কষ্ট পাবে !
এ নিয়ে মোটামুটি সৌদি আরবকে অনেক সমালোচনা এদের থেকে শুনতে হয় ! কিন্তু তাতে কি ?
যেখানে সেখানে থুথু ফেলিবেন না , প্রসাব করিবেন না , কোন কোন জায়গায় আবার জরিমানাও গুনতে হতে পারে ! কারণ এটা পরিবেশ নষ্ট করে , তো ইসলাম অবশ্যই পরিবেশ , সমাজ দূষিতকারী কাজ কর্ম প্রতিরোধ করবে সেটাই স্বাভাবিক ।
অনেকেই বলেন ধর্ষণের জন্য পোশাক দায়ী নয় , এ কথাটা অবশ্য ঠিক , কারণ কুকুরের স্বভাব কামড় দেওয়া এক্ষেত্রে সে কারও পরোয়া করেনা অর্থাৎ যে কাউকে কামড় দিতে পারে এটাই স্বাভাবিক " কিন্তু
কিন্তু কুকুর সচরাচর এমনিতেই কামড় দেয়না ! সাধারণত: যে , তাকে উত্তেজিত করার চেষ্টা করে তাকেই সে কামড় দেয় !
বেশি কিছু লিখলাম না , বুঝে নিন ।
এবার আসা যাক টিজের ব্যাপারে , টিজের সাথে পোশাকের ওতপ্রোত সম্পর্ক রয়েছে , একথাটা অস্বীকার করা যায়না ,
সাধারণত : কখনোই হেজাবী নারীকে টিজ করা হয়না , এমন রেকর্ড আজও অক্ষুন্ন রয়েছে , কেও বলতে পারবে না , হিজাব পরিহিত অবস্থায় তাকে টিজ করা হয়েছে !
ওহ ! টিজ আবার বোঝেন তো ? যেটা ইভটিজিং নামে পরিচিত মানে মেয়েদের দেখলে সিস বাজানো , নোংরা কথা বলা ইত্যাদি ! উদাহরণে অনেক কিছুই বলা যায় বাট কথাগুলো সভ্য নয় বিধায় লিখলাম না , বুঝে নিন ।
আরোও অসংখ্য আর্গুমেন্ট দেওয়া যাবে এর পেছনে বাট বোধশক্তি থাকলে এটুকুই যথেষ্ট ।
পরিশেষে বলতে চাই হিজাব মানেই সম্মান , হিজাব মানেই মর্যাদা "
দামি সম্পদ যেমন লুকিয়ে রাখতে হয় চোর ডাকাতের হাত থেকে রক্ষা করতে ,
তেমনিভাবে একজন নারীও তার ইজ্জত আব্রুকে হেজাবের অন্তরালে লুকিয়ে রাখবে লুইচ্চা বদমাশদের থেকে হেফাজত করতে , এখন কেও যদি চায় তার দামী সম্পদ সবাই লুটেপুটে খাক সেটা তার ব্যাপার ! এও মনে রাখবেন চোর ডাকাত তো চাইবেই আপনার সম্পদ লুকিয়ে না রাখুন , যাতে সম্পদ তার হস্তগত হতে সুবিধা হয় "
এখন সিন্ধান্ত আপনার " দেখেন নারীদের ব্যাপারে কি বলা হয়েছে ইসলামে ,
রাসূল ( সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ) বলেছেন ,
" দুনিয়া সম্পদে পরিপূর্ণ , কিন্তু দুনিয়ার সবচেয়ে দামী সম্পদ হচ্ছে একজন সতীত্ববান স্ত্রী "
এখন দেখেন আপনার স্বামীর আপনি দামী সম্পদ হবেন নাকি চোর ডাকাতের সম্পদ হবেন "
সেটা আপনার ব্যাপার , সিন্ধান্ত আপনার "
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:৪০