মাসে একবার চুল কাটানোর প্লান থাকলেও আমি ৫/৬ সপ্তাহ পরপর কাটাই, এতে প্রতি তিন-চার মাসে এক মাসের চুলের খরচ বেঁচে যায়। সকাল সকাল Persona তে ঢুকে দেখি বাংলাদেশের খেলা চলছে। এমনভাবে বসলাম যেনো আয়না দিয়ে সুন্দরমতো খেলাটা দেখতে পারি। পাশের চেয়ারে এক পাঙ্কু টাইপ ছেলে কিভাবে চুল কাটতে হবে তার ইন্সট্রাকশন দিচ্ছিলো।
পাঙ্কু: চুল এমনভাবে ছোট করবা যেন দেখতে ছোট মনে না হয়।
নাপিত: তাইলে কি বড় রাখব?
পাঙ্কু: না, বড় কেনো! ছোটই করবা, কিন্তু বোঝা যেন না যায়।
নাপিত: ও আচ্ছা, বুঝছি।
আমি মনে মনে বললাম ঘোড়ার আন্ডা বুঝছো।
পাঙ্কু: আর চিপ টা স্লিম হবে, ধর দুই সুতা।
নাপিত: বুঝতে পারসি স্যার।
পাঙ্কু: আর লম্বা হবে এক ইঞ্চি।
নাপিত: ওকে স্যার।
পাঙ্কু: আর চুল কালার করবো। কি কি কালার আছে? Metal কালার আছে?
নাপিত: মেটাল নাই স্যার, গোল্ডেন আছে, গোল্ডেনেই আপনেরে ভালো মানাইবো।
পাঙ্কু: ওকে, তাহলে গোল্ডেনই দিয়ো।
গোল্ডেন বয়-এর কথা শুনতে শুনতে দেখি বাংলাদেশের এক গোল্ডেন বয় আউট। চশমা খুলে রাখাতে ব্যাটসম্যান এর চেহারা কিছুই বুঝলাম না, তবে রিপ্লে দেখে বুঝলাম বামহাতি প্লেয়ার। তার মানে তামিম। মনে মনে বললাম, হুমম, ৯৫ করসোস আগের ইনিংস এ, তুই তো এখন উইকেট থ্রো করবি-ই, ব্যাটা ফাউল। একটু পর দেখি আরেক বামহাতি আউট। মার্শাল আর আনামুল, দুইটাই তো ডানহাতি, তাইলে আউট হইলো কে! নিশ্চয়ই মমিনুলরে নামাইসে। এই রকম ভাইটাল ইনিংস এ এই এক্সপেরিমেন্ট করলো টা কে! হুট করে মাথায় আসলো, আরে আমি তো আয়নায় দেখতেসি, তার মানে আউট হইসে ডানহাতি ব্যাটসম্যান। খামাখাই উল্টাপাল্টা কত কী ভাবলাম এতক্ষণ।
মনে মনে বললাম, সরি তামিম, তোরা একটু খারাপ খেললেই আমাদের কাছে গালি খাস, খারাপ দিন তো আমাদেরও যায়, এইটা আমরা মাথায় রাখি না। মাটি কামড়ায় পইড়া থাক, টেস্ট টা বাঁচা। দেশের এই দুর্দিনে তোরাই পারিস আমাদের মুখে একটু হাসি ফোটাতে।