১৯৭১ এর ঘাতক আলবদর বাহিনী প্রধান মতিউর রহমান নিজামিকে মানবতা বিরোধী অপরাধের কারণ মৃত্যুদন্ড কার্যকর করার পর পাকিস্তান যে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে তা স্বাভাবিক। কারণ যে অপরাধে, নিজামির মৃত্যুদন্ড হল, তা ছিল ’৭১ এর গণহত্যা। এ গণহত্যার জন্য তৎকালিন পাকিস্তানি সরকার ও সামরিক বাহিনীও জাড়িত এবং তাদেরই ছত্রছায়ায় নিজামি এ জঘন্য কাজ গুলি করেছিল। তবে নিজামির মৃত্যুদন্ডে তুরস্ক যে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছি তাতে অনেকে হতবাক হলেও, ইতিহাস ঘাটলে তাও স্বাভাবিক বলে মেনে হবে। আধুনিক তুরস্কের শ্রষ্টা কামাল আতাতুর্ক, সকল মৌল্যবাদীদের খপ্পর থেকে আধুনিক তুরস্কের জন্ম দেন। তিনি অটোম্যান সাম্রাজ্য থেকে আধুনিক এবং ধর্মনিরাপেক্ষ তুরস্ককে এগিয়ে নেন। তবে বর্তমান তুরস্কের শাসক গোষ্ঠি কামাল আতাতুর্কের আদর্শ থেকে বহু দূরে।এ তুরস্কোর ইতহাস বলে, ১৯১৫ সালে আর্মেনিয়াতে গণহত্যা করে ১৫ লক্ষ নিরীহ মানুষকে হত্যা করেছে।
মুসলিম দেশ হলেও তুরস্কের সাথে মুসলিমদের চির শত্রু ইসরায়েলর সাথে কুটনৈতিক সম্পর্ক আছে।১৯৯৯ সালের এক খবর অনুযায়ী (নিউ ইয়র্ক টাইমস)ইসরাইল হল তুরস্কের রণকৌশলগত মিত্র। এবং ইসরাইল তুরস্কের ‘এয়ার স্পেস’ ব্যবহার করেছে আর ইসরাইলের টেশিয়ানরা তুরস্কের ‘কমব্যাট জেট’ আধুনিকিকরণে সহায়তা দিয়েছে। এই তুরস্কই ‘আই এস’ বিরোধীতার নামে মার্কিন জোটে যোগ দিয়ে কুর্দিদের উপর ব্যাপক বোমা বর্ষণ করে হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে। অপরদিকে ‘আই এস’ কাছ থেকে কম দামে ইরাকের তেল চোরাই পথে ক্রয় করে ’আই এস’কে অর্থ সাহায্য করছে। তাই রাশিয়া যখন ‘আই এস’ উপর ব্যাপাক বোমা বর্ষণ শুরু করে এই চোরাই তেল লাইন ধংশ করে দেয় তখন এই তুরস্ক শাসক গোষ্ঠি চেচামেচি শুরু করে।ইসারাইলের সাথে গোপনে পরামর্শ করে এই তুরস্ক শাসক গোষ্ঠি ২০১৫ সালে ডিসেম্বরে রাশিয়ার বিমান ভূপাতিত করে। এভাবেই তারা ইরাক ও সিরিয়ার জনগণের শত্রু ‘আই এস’কে সহযোগীতা করছে। তাই বার্তমান তুরস্কের শসক গোষ্ঠি যুদ্ধাপারাধী নিজামির পক্ষ নেবে এটাই স্বাভাবিক। তুরস্ক অতীতেও গণহত্যা করেছে আবার বর্তমানেও তারা নানা প্রকার হত্যায় লিপ্ত। এদরে কাছে তো অন্য কিছু আশা করা যায় না।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই মে, ২০১৬ রাত ৯:৫৬