কর্ম আগে না ধর্ম আগে, নারী আগে না পুরুষ আগে, ডিম আগে না মুরগী আগে, এইসব প্রশ্নের উত্তরঃ
স্রষ্টা আগে না সৃষ্টি আগে???
সৃষ্টিকর্তা তো একজন না একজন আছেই যদি না থাকে তয় মানুষ,, অতিত কে অস্বিকার করবে কি ভাবে??আমার জিবনে গতকাল ছিলোনা, বা আসেনি এমন কথা অস্বিকার করা সম্ভব নয় যখন প্রথম মানুষ সৃষ্টি হয়, তার পূর্বে কেউ তাকে সৃষ্টি করেছেই সুতারাং আমি মনে করি, মানুষ আস্তিক বা নাস্তিক যাই হোক সৃষ্টিকর্তা একজন আছেন এতে বিশ্বাস রাখা সবারই উচিৎ কারন এতেই একমাত্র মানব মানবের মূল্য দিতে পারবে,,, মানুষের যা খুশি তাই বিশ্বাস থাক, তাতে অসুবিধা নেই, যেখানে যেমন করলে মানুষ খুশি থাকে, তেমন করা উচিৎ, যদিও তা বাস্তবে করছিনা, তবে মানুষ কস্ট পাক, এমন কাজ না করাই ভালো,, এক্ষেত্রে ইসলামের মহান নবির কথা না বললেই নয়,, তার জিবন দর্শনে পাওয়া যায় যে তিনি শত্রুর সাথেও নাকি ভালো আচরন করতেন,, সবার সাথে হাসি মুখে কথা বলতেন, আর তার আদর্শের অনুসারী যারা আছে, তাদের বলতেন,তুমরা একে অপরের ভাই, একে অন্যের সাথে ঝগড়া করোনা, একে অপরের বিপদে এগিয়ে যাও, তুমাদের কেউ অসুস্থ হলে তার সেবা করো,, এভাবে অনেক সমাজ বিজ্ঞান, মানবতার শিক্ষা তার জিবনে পাওয়া যায়, আর আমার কাছে সব চে ভালো লেগেছে এই কথা,, ""তুমরা একে অপরের সাথে হাসি মুখে কথা বলো, এটাও এবাদত""
আসলে লোকটি খুব জ্ঞানি ও বুদ্ধিমান ছিলেন, তাই বুঝি আজ বিশ্বজুরে, তার নাম এতো স্বরন করা হয়,মুছলমানরা প্রতিদিন তার নাম কমপক্ষে ৫বার স্বরন করে,, আমরা যারা নাস্তিক আছি আমাদের উচিৎ হলো, কিছু শিক্ষা গ্রহন করা, যেমন মানুষের সাথে অন্তত ভালো ব্যবহার করা ও কষ্ট না দেয়া,, আর তাদের কষ্ট দিলে তারাও তো প্রতিশোধ নিবেই !!সুতারাং আমাদের উচিৎ খামাখা মতবাদ নিয়ে ঝগড়া, বা তর্ক যুদ্ধে না গিয়ে নিজের মতো বাচতে শেখা, কারো অনুভুতিই হয়তো বা তার জিবনের চেয়ে দামী, বিভিন্ন জনের বিভিন্ন মত যার কাছে যে মত ভালো সে সেটা মানবেই, এখন কথা হলো তারা যা মানে তা মানুক, আর আমরা যা মানি তা মেনে যাই, অবাক হই ইসলাম এ সম্পর্কেও কথা বলেছে।যেমন কুরআনে আছে হে নবি বলে দিন, ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি নয়, হে অবিশ্বাসী গোষ্ঠী, তুমাদের কর্ম ফল তুমাদের, আর আমার কর্ম ফল আমার,, আমাদের মনে করা উচিৎ এটাই প্রকৃত সমাধান।। আর হত্যা নয় গোম নয়, যে যার যার মতো বেচে থাকো। সবাইকে ধন্যবাদ।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৮:৩২