৩ জমাদিউস সানি, ১৪৩০ হিজরি
মে ২৯, ২০০৯ খ্রিস্টাব্দ
১৫ জ্যৈষ্ঠ, ১৪১৬ বাংলা
সম্পাদক হিমালয়৭৭৭
সহসম্পাদক মুক্তবয়ান কর্তৃক প্রকাশিত
সম্পাদকীয়:
সকলের তীব্র দাবির মুখে আমরা গত কয়েকদিন যাবৎ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন পেশার অনেকের সাথে কথা বলেছি। আমরা বুঝতে পেরেছি, কারো দাবি-দাওয়া পূরণের জন্য শপথের কোন বিকল্প নেই। তাই, আমরা ঐ সকল পেশার মানুষের সাথে কথা বলেছি.. তাদের ব্যাপক সাড়া পেয়েছি। পথিমধ্যে যেখানেই থেমেছি সেখানেই আমরা শপথ গ্রহণ করেছি।
সকলে যেন শপথ নিতে বাধ্য থাকে, তাই আমরা কিছু কিছু নিত্য ব্যবহার্য সামগ্রীর প্রতিকৃতি ব্যবহার করেছি। উদাহরণস্বরূপ প্রথমেই বলা যায়, ”দা”। এরপর আমরা ব্যবহার করেছি বল্লম। এরপর একে একে কুড়াল, এবং সর্বশেষে ইদানীংকালে ছুড়ি!! আমাদের পরিকল্পনা আছে.. আগামীতে আমরা বন্দুককে প্রতিকৃতি হিসেবে ব্যবহার করব.. যা সবকিছু ভেদ করে সামনে এগিযে যাবে!! আর, সবশেষে বোমা নয়ত গ্রেনেড!! যেন ফাটিয়ে ফেলা যায়!!
আমাদের শ্লোগান, ”বদলাবো না, বদলা নেব”র সাথে থাকার জন্য সকলের প্রতি আগাম অভিনন্দন। আপনারাও আজই শপথ নিন, কার কার প্রতি আপনার ক্ষোভ। ”এখনই সময়”!!
আমাদের নতুন বিভাগ সংযোজন করা হয়েছে.. 'আজন্ম ডটেড ডটেড' বিভাগীয় সম্পাদক আমড়া কাঠের ঢেকি। যেকোন টেকি সাহায্যের জন্যই আমাদের এই বিভাগ!!
আমি এই মর্মে শপথ করিতেছি যে..
-মুক্ত বয়ান
আমরা সকলের কাছ থেকে শপথ চাই। কারণ, একটি একটি শপথেই বদলা নেব আমরা, বদলা নেব আমাদের শাস্তির!! তাই..
আমি বুঝতে পারি, চোখে যদি বিদেশি মলম লাগানো হয়, তাহলে দেশের অর্থ বিদেশে পাচার হয়ে যায়। তাই, আজ থেকে আমি শপথ করিতেছি যে, ছিনতাই করে যাওয়ার সময় আমি দেশীয় শুকনা মরিচগুড়া চোখে ছিটিয়ে দিব!!
-জনৈক ছিনতাইকারি
চিন্তা করছি, মাটি কেটে ঘরে ঢুকি। তারপর আবার সেই গর্ত ভরাট করতে হয়। লোকজনের কত কষ্ট। তাই, আমি শপথ করছি, যে বাড়িতে চুরি করব, তাদেরকে ঘুম থেকে উঠিয়ে দরজা খুলিয়ে আবার ঘুমাতে সুবিধার জন্য ঘুমের ঔষুধ সরবরাহ করব। তাহলে তাদের আর মাটি ভরাটের কষ্ট করতে হবেনা।
-জনৈক চোর
আমার ঘরে একটা বাচ্চা কাজ করে। তাকে দিয়ে শুধু মালপত্র আনা-নেওয়া করা হয়, ঘর মোছানো হয়। আজ থেকে তাকে পড়ালেখা শেখাবো, যাতে সে আমার বাসার টেলিফোন বিল, গ্যাস বিল দিয়ে আসতে পারে। আর, আরো একটি শিশুকে আনব, তাকে দারিদ্র্যের কষাঘাত থেকে মুক্তি দিতে শিশুশ্রমে বাধ্য করব।
-জনৈক বিদ্যোৎসাহী বয়োজ্যেষ্ঠ
একজনের তৈরি সফটওয়্যার নিজের নামে চালিয়ে দেব।
-একটি সংগঠনের সভাপতি
”দেশের টাকা দেশেই রাখব” তাই কলচার্জ বাড়িয়ে দেব।
-মোবাইল প্রতিষ্ঠানের এম.ডি.
ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ঋণ প্রদানের মাধ্যমে আরো কি করে অর্থ উপার্জন করা যায়, অন্তত নিজের সন্তানকে শিখাব।
-জনৈক সুদখোর মহাজন
আমি নিম্ন স্বাক্ষরকারী এই মর্মে শপথ করিতেছি যে, ’পাকপ্রীতি’ দ্বারা ’৭১-এ আমার ভুল সিদ্ধান্ত শোধরাবো।
-গৃহযুদ্ধে বিজয়ী পক্ষকে সহায়তা প্রদানকারী জনৈক।
’বাসরঘরে বাত্তি নিভাতে নিষেধ করব!!’
-প্রতিভা সন্ধান অনুসন্ধানে বিজয়ী জনৈক গায়িকা
শপথযান আজ যেখানে:
ছাগলনাইয়া: ছাগুবাড়ি, ভোর ৮টা ১৭ মিনিট ৫৩ সেকেন্ড
অংপুর: লুলুয়া কর্নার, বেলা ১১টা ৫৯ মিনিট ২৩ সেকেন্ড
মুরগিবাজার: মারামারি প্লাজা, বিকাল ৭টা ৩১ মিনিট ৪৬ সেকেন্ড
আপনিও স্বাক্ষাৎকার নিন। কিন্তু প্রচারিত হবে না!!!
মিস্টির অভাবে শিশু মাছির মৃত্যু, অত:পর মাছি সম্প্রদায়ের বিক্ষোভ:
-মুক্ত বয়ান
ঘটনায় প্রকাশ গত ২৬শে মে দেশে মানব সম্প্রদায়ের শিশুদের একটি বিশেষ আনন্দের দিন ছিল। সেদিন কোন একটি বিশেষ পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়। সারাদেশ ”আইলা” পূর্ববর্তী বন্যায় ভেসে যায় সেদিন। বন্যার নাম নাকি ”আনন্দ বন্যা”!! ফল প্রকাশের পরপরই মনুষ্য সম্প্রদায় মিস্টির দোকানে হামলা চালায়!! প্রায় ৬২ হাজার পরিবার সেদিন মুহূর্তের মাঝেই সকল মিস্টিও দোকান ফাঁকা করে দেয়।
এর ফল পরে ”মাইচ্ছা হাসপাতালে”। সেদিন মাছি সম্প্রদায়ের নেতা মাছিক মেরশাদের পুত্রের এক জটিল অপারেশন ছিল। তার জন্য ৩ ফোঁটা মিস্টির সিরা প্রয়োজন ছিল। কিন্ত ঐদিন সকল দোকান ঘুরেও কেউ এক ফোঁটাও জোগাড় করতে পারে নি। এমন সময় বিরোধীদলের নেত্রী মাছিকাইন মাছিনা জিছা এগিয়ে আসেন একফোঁটা মিস্টির রস নিয়ে। যাবার সময় অবশ্য তিনি ”লিখে রেখো একফোঁটা দিলেম সিরা” বলতে ভোলেন নি!! কিন্তু তারপরও মাছি শিশুটিকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। ফলশ্রুতিতে আন্দোলন। বিক্ষোভ, এবং হামলা। তাদের একটাই দাবি, ”বাপ-দাদাদের কাছে গল্প শুনছি একসময় এই ফল প্রকাশের সময় মাত্র ৭৬ পরিবার মিস্টি কিনেছিল। কিন্তু, এখন এত বেশি পরিবার কি করে মিস্টি কেনে!! কেনু?? কেনু?? কেনু??” তাদের আন্দোলন চলবেই। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, সারাদেশে মাছির প্যান-প্যানানি বেড়ে গেছে। তাদের সাথে যোগ দিয়েছে মশক সম্প্রদায়-ও!!
আজন্ম ডটেড ডটেড..
শুভেচ্ছা সকলকে
-আমড়া কাঠের ঢেকি
অকথনকথনপটিয়শস- এর স্বঘোষিত সহসম্পাদক মুক্ত ভাইয়ারে ব্যাপক খানাপিনা আর উৎকোচ প্রদানের পর টেকি শাখার বিষ পদে নিয়োগ পাইলাম আর বুঝিলাম নিজের পায়ে নিজেই কুড়াল মারিয়াছি ব্যাপক ঘবেষণার পর আর আমার ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট গুগলে গরুখোজার পর আজকের অকথনকথনপটিয়শস- এর টেকি শাখা প্রস্তুত করতে পারিয়াছি বলিয়া আমি আনন্দিত তাই শুরুতেই চলেন একখান কেইক দিয়া শুরু করি -
দেখেন আপনাদের লাগিয়া টেকি পাতা প্রস্তুত করিতে যাইয়া আমার কি অবস্থা হৈছে বিগত কয়দিন এক্কেরেই নাওয়া খাওয়া করিতে পারিনাই -
প্রথমেই টিউটোরিয়াল! আজকের টিউটোরিয়ালের বিষয় হৈল, কিভাবে অতি সহজে ফ্লাশ এনিমেশন তৈয়ার করা যায়! তো চলেন প্রথমেই আমরা বিভিন্ন আনুষাঙ্গিক টুলস এর সাথে পরিচিত হই। বাকিটা ছেল্ফ স্টাডি
এবার ইতিহাস! বিজ্ঞানের ব্যাফক উন্নতি হৈতাছে আর আমরা উন্নতির স্বর্ণশিখরে বইসা ইতিহাস ভুইলা যামু এইটা তো হৈতে পারেনা তো চলেন আগে দেখি পৃথিবীর পয়লা ডিভিডি রাইটার -
এবার ছোট্ট একটা বিজ্ঞাপন বিরতি
আইসা পড়ল মাইকোরসফটের ডাই-ইয়োরসেল্ফ ম্যানেজার
আপনারা যারা ফ্রেম ভালোবাসা বা অন্য যেকোন কারণেই হোউক জগতের পরতি বিতৃষ্ণ হইলা জীবনের শেষ চিঠি লিখতে বসিয়াছেন তারা মরার আগে অন্তত একবার হইলেও আমাগো ডাই-ইয়োরসেল্ফ ম্যানেজার ট্রাই করুন! ডাই ইয়োরসেল্ফ ম্যানেজারে আছে পছন্দমত অপশনসহ সুইসাইড খাওয়ার বিশাল সুইসাইড গ্যালারি
হারানো বিজ্ঞপ্তি
টেকি হেল্প চাই
তো যেসকল ভাই টেকি হেল্প চাহিয়া অকথনকথনপটিয়শস- বরাবর মেইল করিয়াছেন তাহাগো চিঠিপত্তর আমরা হুবুহু এইখানে তুইলা দিলাম....
কি খুইজা পাইতাছিনা
আমি জোয়ান একটা কম্পিউতার কিন্না বিপদে পড়ছি। আমার কম্পিউটারের মাথা গরম অল্পতেই চেইতা যায় আপাতত এইভাবে ঠান্ডা রাখছি -
জলদি আপনারা সমাধান বাতলায়া আমারে বাচান
সবশেষে টেকি আপডেট - দুনিয়া বদলায়া যাইতেছে রে!
তো আজকার মত এইখানেই! টেকি পাতা থেইকা বিদায় লইবার আগে একখান ছুট্ট জুকছ-
[পত্রিকা শেষ।]
অ:ট: আমরা উপরের কথাগুলো শুনতে চাই না। আমরা শুধু সকলকেই মনে করিয়ে দিতে চাই, কথা সাহিত্যিক শাহীন আখতারের কথা, ”মহা আড়ম্বরে যাঁদের শপথ নিতে দেখি, তাঁরাই শপথ ভঙ্গ করেন বেশি। নিজের কাছে সৎভাবে বাঁচতে চাই।”
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ৮:৩৯