
ড্রাইভার হেলপার আর তাদের সাথীদের এক কথা, ঐ যাত্রীকে নামিয়ে দিতে হবে তবেই গাড়ী যাবে, নতুবা নয়। আমরা আমাদের সহযাত্রীটির বিপদ আচ করতে পেরে গাড়ী থেকে না নামার সিদ্বান্ত নিলাম। সেই সহযাত্রীকে দিয়ে মাফ চাওয়ালাম, সবাই মিলে মিনতি করলাম যে, অফিস টাইম আর কথা না বাড়িয়ে গাড়ী চালাতে। শত অনুনয় বিননয় করে কোন কাজই হল না। তাদের ঐ এক কথা ঐ যাত্রীকে ওদের হাতে নামিয়ে দিতেই হবে, নতুবা গাড়ী যাবে না। বিপদের এক পর্যায়ে রাস্তার ঐ পাশে দাড়িয়ে থাকা এক পুলিশের কাছে সাহায্য চাইলাম সে হাত ইশারায় না করে তার গাড়ী নিয়ে চলে গেল। পুলিশের এহন আচরনে মেজাজটা আরও গেল বিগড়ে। কিছুতেই কিছু হচ্ছে না। কিছুই করতে না পারার কারনে চরম বিরক্তিতে ক্লান্তি বোধ করতে লাগলাম। আর ভাবলাম এই সব পুলিশ নাকি জনগনের বন্ধু!। জনগনের ট্যাক্সের পয়সায় নাকি এদের বেতন হয়..............
সে যাক, এখন কি করব? এতসবের পরও ধৈর্য-সহ্য সহকারে এতজন যাত্রী সবাই হতাশ হয়ে বসেই রইলাম যাতে করে ঐ সহযাত্রীর যেন কোন বিপদ না বাড়ে। সেই সাথে ওদেরকে অনুনয় বিননয়ও করতে লাগলাম কিন্তু তারা তাদের অবস্হানে অনড়। এক পর্য়ায়ে ওদের অনেক লোকজন গাড়ীতেই চড়ে বসল এবং সাইকে নেমে যেতে বলল। সেই সাথে গাড়ি ঘুরিয়ে উল্টো দিকে যেতে লাগল। অবস্হা বেগতিক দেখে ঐ যাতী সহ সবাই কোন রকমে নেমে বাচলাম। তারপর মাঝ রাস্তার ভোগান্তি.........সে আর নাই বললাম।
রাস্তায় দাড়িয়ে নিজেকে খুবই অসহায় আর অবলা ভাবতে লাগলাম। আমার মত অন্য সবাইও এক চরম হতাশায় যার যার মত বিরক্তি প্রকাশ করতে লাগল। এক পর্যায়ে যে যেভাবে পারছে সেভাবে চলে গেল। আমি সহ দু-একজন শুধু দাড়িয়ে থাকলাম কিছুক্ষন, আর চিন্তা মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে............ এই আমাদের দেশ, স্বাধীন বাংলাদেশ, সোনার বাংলাদেশ, ডিজিটাল বাংলাদেশ, একুশ শতকের বাংলাদেশ।
ধ্ধিক!..........................