দার্জিলিং গিয়েছিলাম ২০০৯ সালে। ফিরে এসে ব্লগে তার কিছু কিছু লিখেছিলামও। বই আকারে ছাপানোর এমন কোন ইচ্ছা ছিল না। কারন বই আকারে প্রকাশ করতে হলে যতটুকু যোগ্যতা থাকা দরকার তা আমার নেই। আমার ব্লগই কেউ পড়ে না, আবার বই। কিছুদিন আগে একজনের লেখা বই পড়ছিলাম। তিনিও দার্জিলিং এর উপর লিখেছেন। বইটি পড়ে মনে হল এমন করে হয়ত আমিও লিখতে পারি।
এই সময়ই বাংলা সাহিত্যে এক কষ্টের রাত আসে। আমরা খবর পাই হুমায়ূন আহমেদ আর নেই। সকল বাংলা পাঠকের মত আমিও শোকে মুহ্যমান হয়েছিলাম। নিজেকে অনেকটা সময় শূন্য মনে হয়েছিল। মনে হল এই যে আমার জ্ঞান তার অনেকটুকুই তো হুমায়ূন আহমেদের জন্য। তার বই পড়ে পড়তেই তো আরও বই পড়ার অভ্যাস হল। আর বিশ্ব সাহিত্যের কত কিছুই তো পড়লাম। বই পড়ে কতটুকু জ্ঞান পেলাম তার চেয়েও যা আমার ভাল লাগে তা হল বই পড়ার সময়ের আনন্দটুকু। তাই তার বিদায়ের পর নিজের মধ্যে একটা তাড়না অনুভব করলাম। মনে হল কিছু না লিখলে তার কাছে আরও ঋনী হয়ে থাকব। মনে হল কিছু একটা লিখে তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে হবে। যদিও এই চিন্তা মোটেও রিয়েলিস্টিক না। কারন তার কাছে এখন আর কিছুই পৌছাবে না। তবুও যেন নিজের মনের স্বান্তনার জন্য শুরু করলাম লেখা।
ভ্রমন গল্প লেখার জন্য প্লট খোজার দরকার হয় না। শুধুমাত্র যা দেখেছি, যা করেছি এবং যা উপভোগ করেছি তা সুন্দর করে উপস্থাপন করা। এই কাজটি করার চেষ্টায় লিখে ফেললাম এবং তা প্রকাশিত হল এই বইমেলায়।
নিজের একটি লেখা বই আকারে গত ১৮.০২.১৩ তারিখে প্রকৃতি প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত হল। এই আনন্দ জানানোর ভাষা আমার জানা নাই। অনেকটা যেন আমার ভাঙা ঘরে চাদের আলো। আমি কৃতজ্ঞ আমার সফরসঙ্গীদের কাছে বিশেষ করে বন্ধু ও ব্লগার সুজন মেহেদীর (Click This Link) কাছে।
মেঘের দেশে পাহাড়ের দেশে
পরিবেশক ; পাঠসূত্র
স্টল : ২২৫
মূল্য : ১২০-২৫%
অমর একুশে বইমেলা
আপনারা পড়লে এবং মতামত জানালে খুশি হব। গালাগালি এবং গলাগলি দুটোর জন্যই প্রস্তুত আছি
বইটি এখন থেকে রকমারি.কম (http://www.rokomari.com/book/63579) এও পাওয়া যাবে।