আমার এক বন্ধু সারা বছর যাই করুক না কেন রমযান মাসটা সে সুন্দর করে পালন করতে চায়। তাকে তার অভিভাবক বলেছিল সব কিছুরই যেমন সিজন থাকে তেমনি রমযান মাসও মুসলমানদের ইবাদতের সিজন। রমযান মাস আরও যথাযথভাবে পালন করার জন্যই এই কথা বলা। অন্য মাসগুলো নামায না পড়ার জন্য এই কথা না।
সেদিন সে আমাকে জানাল সে এই রমযান মাসে কি কি করবে বলে প্রস্তুতি নিয়েছে:
১. সেহরীর সময় শেষ হওয়ার ১৫/২০ মিনিট আগে উঠে প্রথমেই তাহাজ্জুদের নামায পড়ে সেহরী করে ফযরের নামায পড়বে।
২. সকল ওয়াক্তের ফরয নামাযে সূরা ইখলাস পড়বে।
৩. নামায শেষে ১বার সূরা ফাতিহা আর ৩বার সূরা ইখলাস পড়বে।
৪. প্রতিদিন ১০/২০ টাকার ইফতার মসজিদে পাঠাবে কারন সেখানে মসজিদের হুজুরসহ পথচারীরাও থাকে।
৫. ১দিন এতিমখানায় ইফতার পাঠাবে।
৬. যারা ইতিকাফে বসবেন তাদের প্রতিদিন না পারলেও অন্তত ১দিন ইফতার করাবে।
৭. শবে ক্বদর যথাযথভাবে পালন করবে।
৮. যাকাত/ফিতরা দিবে।
৯. প্রতিদিন কিছু কিছু কোরান বাংলায় পড়বে।
১০. মসজিদ/মাদ্রাসায় ২/৪/৫ টাকা করে যা পারে তা দান করবে।
.............................................
------------------------------
এমন আরও কিছু কিছু যা আমার মনে নাই। মনে আসলে এডিট করে দিব। তবে সে তারাবী পড়তে পারবে না তাও জানিয়ে দিল। আল্লাহ তার ভাল ইচ্ছাগুলো পূরন করুক।