- তনু কি বিচার পাবে না?
- তনু কে?
- একটা মেয়ে। মারা গেছে।
- প্রতিদিনই তো কত মেয়েই মারা যায়।
- ভাই, মেয়েটা খুন হইছে।
- বাবা কী করে?
- কার?
- তানিয়া মেয়েটার?
- ভাই, তানিয়া না। তনু।
- ওই হইল আর কি।
- বাবা চতুর্থশ্রেণীর কর্মচারী।
- অ
- ভাই বিচারটা?
- হবে হবে। লাশ কবর থেকে তুলতে হবে।
- লাশ তো তুললেন। এবার বিচার........
- আরে মিয়া, এত উতলা হইলে চলে?
- ভাই তনু কাঁদতেছে।
- কবরের আযাব রে ভাই কবরের আযাব। নাট্যকর্মী না?
- তাই বলে......
- আরে, এদের চরিত্রে সমস্যা থাকে বুঝলেন
- ঠিক আছে বুঝলাম। এইবার বিচারটা.......
- ওর শরীরে ধর্ষণের কোন আলামত পাওয়া যায় নি।
- কী বলেন?
- ঠিক বলছি।
- ঠিক আছে। কিন্তু খুনেরও তো বিচার আছে।
- কিসের খুন?
- তনু......
- কে এই তানিয়া?
অতঃপর আবারো অন্ধকারে তাদের জ্বলজ্বলে চোখজোড়া দেখা দেয়। ওই তো হেঁটে আসছে তানিয়া নামের মেয়েটা।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:২২