মানুষের দৃষ্টির সীমানা হলো দিগন্ত আর চিন্তার সীমানা হলো ঈশ্বর । যে পর্্য্ন্ত মনুষ্য জীব ভাবতে পারে সে পর্যন্ত সে পর্যন্ত তার জ্ঞান ব্যপিত । বিচারের জন্য একটি আন্দোলন কে আস্তিকতা নাস্তিকতা নিয়ে এভাবে নষ্ট করার জন্য এভাবে ধর্ম কে টেনে আনার জন্য রাগ হচ্ছে । আমাদের রাস্তা বেছে নেয়ার সময় হয়েছে । ধর্ম থাকবে । চাঁদে গিয়ে নোকিয়া ক্যামেরা দেখে চট চলদি বলে ফেললেন মেড বাই নোকিয়া কিন্তু সুন্দর পেখম তোলা ময়ুর কেঊ বানায় নি ভাবতে যুক্তি হেরে যায় । কিন্তু জামাত যে ইসলামের ঝান্ডা হাতে নিয়েছে তা ইসলামিক কতটুকু আর কতটুকু মওদুদীবাদ (যা ব্যর্থ পাকিস্তানে ব্যর্থ হয়েছে )। ধর্ম মানুষের ব্যক্তিগত বিশ্বাস । ধর্ম ব্যবহার করে রাজনীতি করা টাকে মেনে নেয় দুর্বল চিত্তের মানুষ । দেশের সাথে থাকুন , ধর্মের সাথেই থাকুন । ধর্মের মানবতা , কোমলতা , পবিত্রতা ধারন করুন ।
যুবক তুমি জেগে উঠো নতুন হিন্দোলে...
সন্তরন কর নব কোল্ললে...
রেঙ্গে উঠো হেমন্তের উতসবে ...
বাংলার যৌবন সবচেয়ে শক্তিশালী যৌবন...
এই দেশের যুবক রা তা প্রমান করেছে গার্মেন্টস সহ বহির্বিশ্বে তাদের যৌবন বিলিয়ে দেশকে সচল রাখার অর্থনীতি খাড়া রেখে । এই বুড়োর দল টিভি'র টকশো তে স্যুট টাই পরিধান করে বড় বড় কথা বলেই পার । বাড়ি ফিরে ভারতীয় চ্যানেল দেখে তৃপ্তির ঢেকুর তুলে। জ্ঞানপাপী বেড়ে গেলও কাজ করছে তরুন , যুবা , তরুনী রা । কৃষক তার পরিশ্রম বন্ধ করলে খাদ্যে সয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন কিন্তু তাদের ঘামে । সেখানেও যৌবনের জয়গান ।
তরুনরা পিছিয়ে পরলে কিংবা হেরে গেলে হবে না । তারাই পারবে গত প্রজন্মের উপহার স্বাধীনতার আসল সাফল্য তুলে আনতে ।
শুনো তরুন বন্ধু তোমার মুষ্টিবদ্ধ হাত যেন পরিশ্রমে পিছিয়ে না থাকে । আমাদের ম্যানেজমেন্ট স্কিল বাড়াতে হবে । বিশ্বের সব জ্ঞান অর্জন শেষে দেশে এসে দিও তোমার স্পর্শ । তোমার মেধা , পরিশ্রম , জ্ঞান , সততা ও ইচ্ছাশক্তি একদিন বদলে দিবে এই দেশকে । আমরা যারা তরুন হিসেবে প্রতিদিন স্বপ্ন দেখি বদলে দেবার তাদের এক হতে হবে । নতুনকে গ্রহন করতে হবে কিন্তু আমাদের প্রকৃত উতপত্তি , কৃষ্টি কালচার ভুলে নয় । আমাদের দেশের ব্যাপার গুলোতে রিজিড হতে হবে । দেশীয় পন্য ব্যবহার থেকে শুরু করে , দেশীয় খাবার, পোশাক কে ভালবাসতে হবে । নিজেদেরকে আরও পরিশ্রমী হতে হবে । ২০৪০ সালে যেনো এই প্রজন্ম উন্নত একটি দেশ তার পরের প্রজন্মকে দিয়ে যেতে পারে সেটা আজকেও ভাবতে হবে । প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট এর ব্যাপারে আমাদের দেশে এখনও বাইরের দেশের বিশেষজ্ঞদের উপর নির্ভর করতে হচ্ছে । তরুনদের শুধু মেডিকেল , প্রকৌশলে, এমবিএ পড়লেই হবে না । বিভিন্ন সেক্টরে পড়াশুনা করতে হবে । দরকার পড়লে বাইরের দেশে পড়ার জন্য যাওয়া যেতে পারে । সত্যি একটা ভাল সময় অপেক্ষা করছে বন্ধু যদি আমরা শুধু স্বপ্নচারী না হয়ে প্লান করে কাজে লাগি । রাজনীতি অংশগ্রহন বাড়াতে হবে । তৃণমূল থেকে পরিবর্তন টা হওয়া প্রয়োজন । দরকার পরলে ইউনিয়ন পর্যায় থেকে রাজনীতি তে অংশগ্রহন করতে হবে । প্লানিং এ আমরা জাতি হিসেবে আমরা ভাল না এই ধারনা টি পরিবর্তন করতে হবে । কাজের মাধ্যমেই আমরা তা করবো । চল এগিয়ে যাই । নব্য ইস্ট ইন্ডিয়ান কোম্পানির কথা শুনে আগানোর দরকার নেই । মোবাইল ফোন কোম্পানি গুলোর অত্যাচারে আজ দেশের মানুষের বেশির ভাগ আয় আজ তাদের পেটেই ঢুকছে । আমাদের জাতীয় ভ্যাট জমাদান কারী খাত গুলোর কথা চিন্তা করলে বুঝা যায় আমরা জাতিগত ভাবে কতটা বে-হিসাবী । বিদেশী মোবাইল কোম্পানি (সরকারী কর্মকর্তাদের টেলিটক ব্যাবহারে বাধ্য করা হোক ), বিদেশী সিগারেট কোম্পানি (দেশী কোন ব্রান্ড এখনও জনপ্রিয়তা পেলো না , দুঃখ এটা) , গ্যাস কোম্পানি (দেশীয় সম্পদ বেশী হারে ব্যবহার হলেও উন্নতি সেই হারে হচ্ছে না) এগুলো হলো দেশের সবচেয়ে বেশী ব্যবহৃত খাত । কবে যে আমরা এসব ব্যাপারে সচেতন হবো ?? আমি দেশীয় কোম্পানির মটরসাইকেল কেনায় অনেকের নেতিবাচক মন্তব্য খুব খারাপ লেগেছে আমাকে । আমরাই যদি আমাদের পন্য না কিনি কে কিনবে ?? ভারতীয় মটর বাইকে ছেয়ে গেছে চারিদিকে । কেন পারি না এই বিদেশ প্রীতি থেকে বের হয়ে আসতে ??
চল না ভালবাসি আমাদের এই ভুমিটাকে । দেশ টাকে । দেশের কাছে শুধু চাওয়া থাকলেই হবে না । আমাদের নিজেদের দেশ সম্পর্কে ধারনা টাও পালটানো দরকার । আসুন দেশের সাথে থাকি । কথায় নয় কাজে ।
২০৪০ সালের মধ্যে এই দেশকে তার অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌছাতে হবে । এই দেশে এখন যৌবন অধ্যুশিত কিন্তু মোট জনসংখ্যার বৃদ্ধ নাগরিকদের শতকরা পরিমানের চেয়ে যুবক নাগরিক ২০৪২ এর পর কমে আসবে । শুভেচ্ছা রইলো সবাইকে । আসুন সবাই নেমে পরা যাক নতুন যুদ্ধে । কলঙ্ক মোচনতো হলো ।