আমাদের জাতির বিবেক বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী জাফর ইকবাল সারের এবারের প্রথম আলো বর্ষপূর্তি সংখ্যায় লেখাটা বেশ কয়েকদিন ব্লগকে গরম রেখেছে। এর প্রধান কারণ ইসলামের একটি বিষয়- হিজাব নিয়ে তার লেখা অংশটুকু। তার বিরোধীরা তাকে নিয়ে বেশ সমালোচনা করেছেন। তাকে অকারনে গায়ে পড়ে বাধাবার জন্য চরম সমালোচনা করেছেন। আমি আজ চেষ্টা করব এর গোড়ার বিষয়টা উদঘাটন করতে।
ছোট বেলায় একটা বাগধারা পড়তেই হত- মানিক জোড়। জাফর ইকবাল সারের স্ত্রী আর তাকে আমার এমনটিই মনে হয়েছে। সবাই তার লেখাটাই দেখলো অথচ তার পশ্চাতে মহিয়সি স্ত্রীর যে অনবদ্য ভূমিকা তাকে স্বীকৃতি না দিলো তা হবে চশমখোরি। ঘসেটি বেগমের মত জাফরকে মীর জাফর হতে সাহায্য করল যে-তা কী কেউ বলবে না? ইসলামের একটা প্রতিষ্ঠিত বিষয় নিয়ে গালি দেবার কারণে যদি জাফরের কোষ্টকাঠিন্য ভালো হয়ে থাকে তবে সেজন্য তার বৌয়ের অবদান তো কম নয়। সেইতো প্রথম দেখিয়ে দিল মিছিলে অংশগ্রহণকারী মেয়েগুলোর একটাও বোরকা বা হিজাব পরে নেই। আহা কলি কালে এমন মানিকজোড় পাওয়া সত্যিই সৌভাগ্যের। আমাদের ঢাবিতে একবার হিজাব পরার কারণে ক্লাসে এক ছাত্রীকে ব্যাপক ভৎসনা পূর্বক বের করে দিল একজন স্যার । তার এ কাজ সবাই সমালোচনা করলেও তার স্ত্রী সমাজ বিজ্ঞানের শিক্ষিকা সমর্থন করলেন। এমনই জোড় এ কলি কলে সত্যিই বিরল।
তবে আমার লেখাটা এখানে না। আমি চিন্তা করছি জাফর ইকবালের স্ত্রী দেখল একটা মেয়েও বোরকা বা হিজাব পরে নেই কিন্তু সে এটা কেন দেখল না একটা মেয়েও জিন্স টি শার্ট কিংবা তার মেয়ের মত হাফ প্যান্টও পরে নেই। যাকে দেখা হয় নারী জাগরণের অগ্রদূত হিসেবে সেই বেগম রোকেয়ার একটা ছবিও দেখলাম না যে মাথায় কাপড় ছাড়া , কপালো টিপ ও নেই!! তার প্রতিষ্ঠিত সংগঠনটির নাম জানেন নিশ্চয়ই-“আঞ্জুমানে খাওতিনে ইসলাম”। কী মারাত্মক সাম্প্রদায়িক নাম !!!
আমরা খুশি হতাম যদি সে লিখত মেয়েগুলো হিজাব যেমন পরে নেই তেমনি ফতুয়া আর জিন্স কিংবা স্কাটও পরে নেই। শিরনামটা এসেছে এ কারনেই। মানিকে মানিক চেনে রতনে রতন, শুয়ারে চেনে কচু..