কি আর আছে ছেড়া দুদণ্ড, শাদা পার্চমেন্ট জীবনে ? এইটুকু সুখ
একটি স্মরণীয় দিন আর কটা কালশিটে দু:খছোপ ; কত অল্প
আশার চাষ, জীবনের বারোমাস ! ভাসুক না আজ, আপনভোলা
জীবনের খোলা ক্যানো ! উত্তুঙ্গ ক্ষীনাঙ্গিকার এই দুরন্ত জলে।
আমরা কুড়াবো এই- আশ শ্যাওলা, পচা টোপাপানাটির মাঝে
ছিমছাম বেঁচে থাকার অনির্বচনীয় আনন্দ, অবাক হিল্লোল!
উৎসর্গ : আমার লেখার তুখোড় সমালোচনাকারী, আমার ভার্সিটি বন্ধু যুধিষ্ঠীরকে। কেন জানি আমার কোন লেখাই তার ভাল লাগে না। এটা লাগবে কিনা কে জানে ?
টুকরো কথা
কালের নিদারুণ অসভ্যতার শিকার, পাপবিদ্ধক এক নষ্ট শকুনের মরা মাংসপায়ী ছন্নছাড়া লোভ, মেটাতে ব্যর্থ সদ্য বৃন্ত খসা মধু ফল ! এক শীতবিকেলের নষ্টপ্রহরে শীৎকারের ঘোরলাগা শব্দের ঝুট মদিরায় বিভোর জ্যান্তব মাতাল ব্রহ্মচারী, নির্জনতায় উপবিষ্ট কূলায় ফিরেই আবিষ্কার করে জীবনের অর্ন্তলিখিত পরম সত্য, ক্ষ্যাপা বাউলের মতন দিগ্বিদিক ছুটে বেড়ানো, সীমাহীন অসভ্যতার সঙ্গম সাগরে ডুবসাতার, সব মিথ্যা, ফেইক! নিত্য পিষ্ট হয় অভিনয়ের যাতাকলে, যাপিত জীবনের টুকরো কথাগুলো!
উৎসর্গ : এই ছোট্ট লেখাটুকু আমি উৎসর্গ করতে চাই নিজের জগতে বাস করা, একেবারেই র্নিঝঞ্চাট কবি এবং তার থেকে বেশি বন্ধু লিখন কে। চমৎকার একজন মানুষ সে, এইটি আমাকে নিরন্তর মুগ্ধ করে। ভাল থাকা হোক
আশার কথা বলি
তোমাকে যেতেই হবে স্ট্রীট লাইট বিহীন এই বিরান বিষাদ সড়ক থেকে। পাথুরে রাস্তা, তোমার পদস্পর্শ পাওয়ামাত্র ওই পথের বাঁকে বেধে রাখা কালো শ্বাপদকুকুরের মূর্তিগুলোয় অগ্নিবান আসবে, প্রাণ প্রতিষ্ঠিত হবে। ওরা উন্মত্ততায় উঠবে মেতে, সলাপরামর্শ করবে কামড়ের প্রক্রিয়া নিয়ে, বিমর্ষ তোমার চোখে দেখব জলাতঙ্ক রোধের আগাম প্রস্তুতি- অবাক হয়ে তখন লক্ষ্য করব, এর মাঝেই- এ ভ্যাপসা পরিবেশে হলদে শালের বনে বুনোফুল ফুটে, জঠর জ্বালায় পুড়ে অঙ্গার, বিকার গ্রস্থ শকুনের তির্যক হলুদাভ চোখ; ভাগাড়ের মাঝেই খুজে পাবে বেঁচে থাকার রসদ!
উৎসর্গ : সদ্য সেফ হওয়া ব্লগার অপরিনীতা কে। এই লেখাটি যখন লিখি সেদিন সে হাসপাতালে ছিল তার নানুকে নিয়ে। তাকে শুভ কামনা জানাই
হ্যা, তোমাকেই বলছি-
হ্যা, তোমাকেই বলছি-
হয়ত এখনই, না হয় কখনোই নয়।
হৃদপিন্ডের ট্রাইকাসপিড উন্মুক্ত এখন,
সেড়ে নাও ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য এই- রূপকথার লেনদেন!
অনাবশ্যক অন্ধকার টেনে আনা গনিকার ধূসর গহ্বর নয়
ফেরারী হৃদয়,
চাইলেই মিশে যাবে
নিকোটিন হয়ে রক্তধারার স্পন্দনে !
উৎসর্গ : কাউকে করলাম না।