আগের পর্বের লিঙ্ক- এক রাত্রির গল্প এবং রিয়া ( পর্ব-১)
এক রাত্রির গল্প এবং রিয়া (পর্ব -২ )
দেখো,আমি শুধু এই একটা কাজই পারি। সবার বাড়া ভাতে ছাই দিতে!
-এবার আর না হেসে পারল না অনন্যা। জোরে বলে উঠল -তুমি পারও বাবা! যাই হোক তন্ময়। তোমাকে একটা সত্যি কথা বলি-গত ছয়টি মাসে আমার এত বিনিদ্র রজনী পার হয়েছে যে গুনে বলতে পারি কটা রাত স্লিপিং পিলস ছাড়া ঘুমোতে পেরেছি। আজ রাতে আমার বেশ ভাল ঘুম হবে।
ছি!ছি! তুমি তো মহারাণী নামের কলঙ্ক! ছি!ছি!ছি!
-কেন? আমি আবার কি করলাম ?
আমার মত একজন সস্তাদরের মানুষের কাছে এতবার ধন্যবাদ বলার কি আছে ? যড়ি ভঁহহু !
-আচ্ছা দুষ্টুমি ছাড়া আর কিছু জান না তুমি? আমি যা বললাম তা কি তোমার গায়ে লাগেনি??
লাগেনি মানে পুরোটাই লেগেছে। একেবারে বুক ভেদ করে চলে গেছে! বিষ মাখঝানো তীরের ফলার মত!
-দেখ আমার প্রশ্নের জবাব ঠিক ঠিক দাও। নইলে এবার আমি ফোনটা সত্যি সত্যি রাখব।
ফোনটা রেখোনা,হঠাৎ সিরিয়াস হয়ে উঠলে নাকি । ঠিকাছে বলছি । অনন্যা, তুমি হয়ত জাননা তোমার সম্পর্কে আমি সবই জানি।জানি রিমনের সাথে তোমার সম্পর্কের ব্যাপারটা। থাক না ওসব,কি হবে ওসব পুরোনো আবর্জনা ঘেঁটে? তার চেয়ে এস না সামনে তাকাই-ভুলে যাই অতীত গ্লানি।
অনন্যা ওর মুখে নিজের নাম শুনে একটুও চমকালো না । সে বুঝতে পেরেছিল, এই অপরিচিত আসলে চেনা জানা কেউ । কিন্তু ওর পুরোনো কথা ফেলে রাখার প্রস্তাবে সে ক্ষীপ্ত হল ।
-কাব্য ঝারতে হবে না। অতীত সে গ্লানির হোক কষ্টের হোক দুখের হোক,সুখের হোক-সে তো আমারি। তোমার তো কিছু নয়,তুমি তার কি বুঝবে?
আমার সম্পর্কে তুমি কতটুকু জান? হয়ত বুঝতে পেরেছ আমি তোমার চেনার মাঝে অচেনার বেড়াজালে আবদ্ধ কেউ। কিন্তু এওত সত্যি তুমি আমাকে জাননা। তোমার যে দুঃখ-এর চেয়ে হাজারগুন বেশী দুঃখ আমার চারপাশে ঘুরছে নিয়ত। এত অল্পে হতাশ হলে চলে ?
-দেখ আমি কচি খুকি না। আমায় উপদেশ দেবে না। কী ভাব নিজেকে? আজ আমার দূর্বলতা দেখে,আমাকে নড়বড়ে দেখে -তার মজা লোটার জন্যে ফোন করেছ ? কী দেখাতে চাইছ ? করুনা, দয়া? সবাইকে দেখাতে চাও,আমিও আর দশটা মেয়ের মত,সাধারণ?
আসলে তোমরা মেয়েরাই সবচেয়ে বড় সাইকো। এই যে আড়াই ঘন্টা ধরে বাকবাকুম বাকবাকুম করছি,একবারও তোমাকে হিট না করে কথা বলেছি বলে তো মনে পড়ে না। করুনা কোন সময় দেখালাম? আচ্ছা করুনা,দয়া-এসব শব্দের মানে যেন কি? আমার জানা নেই একটু শিখিয়ে দাও না।
দু চার মুহূর্ত চুপ থেকে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে অনন্যা বলল, বুঝলাম করুনা,দয়া-এসবের কথা আসছে না। কিন্তু বুঝতে পারছি না তুমি আমাকে ফোন কেন করেছ কেন? বিরক্ত করলে কেন? জেনে শুনে বৃষ্টিতে ভেজার কথা বলে,আমায় নস্টালজিক করতে কে বলেছিল তোমায়?
প্রথম প্রশ্নের উত্তর তোমায় ফোন করেছি শুধু কথা বলবার জন্য।
-ফের মিথ্যে কথা।
না, না। ১০০% সত্যি। প্রথমে ফোন করার আগে ভেবেছি আজ শুধু কথা বলেই কাটাব। কোন পরিচয় দেব না। দ্বিতীয় প্রশ্নের উত্তর...
-আল্লাহ্র দোহাই! তন্ময়। তুমি সত্যটা বল দয়া করে । আমি আর তোমার হেয়ালির খেলা নিতে পারছি না।
বেশ, তবে তাই হোক। তোমাকে সত্যটাই বলব, কেন ফোন করেছি। আমার ইচ্ছে ছিল রাখবার আগে বলার। আমি যা বলব তা মেনে নিতে প্রস্তুত আছ?
-আছি,তুমি বল।
যদি বলি আজ ফোন করেছি শুধুই অপরাধ বোধ থেকে,তীব্র অপরাধ বোধ থেকে । তোমার কাছে ক্ষমা চাইবার জন্য।
-বিশ্বাস হয় না।
আমি জানতাম তুমি বিশ্বাস করবে না। কিন্তু এও জেনে রাখ, আমি অপরিচিতের সাথে মিথ্যে বলি না। অনন্যা, তুমি রিয়া নামের আড়ালে নিজেকে লুকোতে চাইলেও আমি কিন্তু আমার পিতৃদত্ত নিখাদ নামটাই তোমাকে বলেছি।
-কিন্তু আমিতো তন্ময় নামের কোন ছেলেকেই চিনি না। তুমি কী সত্যিই বুয়েটে পড়?
হ্যা কোন সন্দেহ?
-তবে আমার সাথে তুমি কোথায় পড়েছ ?
মনে নেই কলেজে? সেই স্মরণীয় কলেজ জীবন, কতই না মধুর! কিন্ত একটা ভুলের জন্য আমি তা ভুলে যেতে চাই। বারবার ভুলতে চেয়েও পারিনি। বিবেক আমাকে ভুলতে দেয়নি।
-কেন কী এমন ভুল করেছিলে?
অনেক বড় ভুল,মস্ত অপরাধ। তোমার সর্বনাশ,সে তো আমারি হাতে।
-কিভাবে? রিমনের সাথে তোমার সম্পর্ক কী?
ছিল এখন নেই। রিমন এক সময় আমার খুব প্রিয় বন্ধু ছিল। তোমাকে ও আমার মাধ্যমেই চিনেছিল ।কিছুদিন পরে সে আমাকে বলে, তোমাকে ভালবেসেছে, সে তোমাকে পটাতে আমার সাহায্য চেয়েছিল । আমি ওকে তোমার যা যা প্রিয় তাই তাই সব বলে দিতাম, যাতে তুমি ওর প্রতি দূর্বল হও। কিন্তু ও যে এরকম নোংরা একটা ছেলে, তা আমি ভাবতেও পারিনি।যখন বুঝেছি তখন সব শেষ। যদি পার এ অধমকে ক্ষমা কোর। তোমার কাছে আর কিছু চাইব না।
অনন্যা ও তন্ময় দুজনেই চুপ করে রইল কিছুক্ষণ। এরপর অনন্যা বেশ স্বাভাবিক গলায় বলল-
-তন্ময় চুপ করে আছ কেন?আমি কেন তোমাকে অপরাধী ভাবব? তুমি ক্ষমা চাইছ কেন? কী অবাক কান্ড। বন্ধুর জন্যে আমরা সবাই অনেক সময় অনেক কিছুই করি কিন্তু বন্ধু চিনতে আমরা সবাই ভুল করি, এটাই সমস্যা ।
কিছুটা সময় চুপ করে থাকে অনন্যা । তার মনে পড়ে যায় রিমনের ভালমানষির আড়ালে লুকিয়ে থাকা হিংস্ররূপের কথা । চোখে আসা জল আড়াল করে নিয়ে, অনন্যা বলল,
তন্ময়, তুমি সত্যটা বলে ভাল করেছ । তোমার কাছে আমি কৃতজ্ঞ পুরোটা রাত কথা বলে পার করতে পারলাম বলে । এমন একটা রাত আমায় দেবার জন্য তোমাকে সত্যি ধন্যবাদ ।
তুমি খুব ভাল রিয়া, সরি অনন্যা! আর সরলও।
-ধন্যবাদ। তন্ময়
বল শুনছি।
-এখনও তুমি পরিচয়টা দিলে না?
আচ্ছা এখন দেব। ফোনটাও রেখে দেব। আযান পড়ে গেছে। বৃষ্টিও নেই ঘন্টাখানেক হল । দেখতো ক’টা বাজে?
-এই সত্যিতো রাত অনেক হয়েছে! চারটা দশ। তা বাজুক। তুমি থামলে কেন? হ্যা বল তোমার পরিচয়।
গানে গানেই বলি-
মনের জানালা খুলে উঁকি দিয়ে গেছে-
যার চোখ তাকে আর...............
-হা! হা! হা! টুকি! অসভ্য, শয়তান কোথাকার। তুমি শ্রাবণ। এভাবে দুষ্টুমি মানে কি? তন্ময় কার নাম বল দেখি?
তুমি কী কোন কথা বিশ্বাস করতে পার না! তন্ময় আমার ডাক নাম। আমার ভাল নাম শ্রাবণ আহমেদ । তাই আমি শ্রাবণ নামেই নিজের পরিচয় দেই।
-শ্রাবণ তোমার মনে আছে ? সেদিন বন্ধুদের আড্ডায় আমি গাইছিলাম......
মনের জানালা খুলে উঁকি দিয়ে গেছে -আর সেই মুহূর্তে আমি এস বললাম-টুকি হা হা হা! মনে নেই আবার। সে জন্যই তো গানটা ধরলাম। এখনো মনে পড়ে গান নষ্ট হওয়ায় তোমর রাগ । বাবা, সামান্য ফাজলামি নিতে পারতে না । আচ্ছা কতক্ষণ কথা বললাম সে খেয়াল আছে। এখন রাখি। তুমি ঘুমোতে যাও।
-শ্রাবণ, সেই সময় তোমার সঙ্গে আমার যোগাযোগ ছিল, কিন্তু খুব একটা ভাল বন্ধুত্ব ছিল না । আসলে তোমার বাড়াবাড়ি রকমের ফাজলামি অসহ্য লাগত । আজ কিন্তু বেশ লাগল । আসলে বাইরে থেকে যেমন দেখায় তুমি তেমন নও । তুমি অনেক ভাল,অনেক; আমার জানার চেয়েও।
হয়েছে, হয়েছে। এমনিতেই অনেক মোটা হয়ে গেছি খেয়ে দেয়ে।পাম্প করে আর ফোলাবার দরকার নেই।আমি ভাল,হুহ । জীবন ভাজা ভাজা করে দেই একেকজনের........
-আহ, রাখতো । আবার ফাজলামি । শ্রাবণ, একটা অনুরোধ করব! রাখবে?
বল দেখি চেষ্টা করে। যদি আমার সাধ্যের মধ্যে থাকে তবে তোমার যে কোন কথা আমার শিরোধার্য মহারাণী।
-কাল সকালে,এই ধর দশটা এগারোটার দিকে আসবে ধানমন্ডি লেকে। এই রবীন্দ্র সরোবরে।
আহ্ তার আবার কি দরকার?এই অসহ্য বাদঁর কাটিং চেহারার শ্রাবণের সাথে তোমায় কেউ দেখলে কী ভাববে বলত?
-আবার জোক্! আসবে তুমি,রাখবে আমার অনুরোধ-please!
ঠিক আছে কাল দেখা হবে । ঠিক পাচটায়।
-তুমি কী ড্রেস পরে আসবে?
সে পরে দেখ।তুমি শাড়ি পরে এস।আকাশী রঙের,আর খোপায় বেলী ফুল দিও কেমন?
-ওকে, বাই!
বাই ।
------------------------ পরিশিষ্ট -----------------------
পরদিন দেখা হল অনন্যা আর শ্রাবণের। শ্রাবণ পরে এসেছে কালো জিন্সের প্যান্টের উপর পিঙ্ক কালারের শার্ট,সঙ্গে ব্লেজার। ভালোই লাগছিল ওদের দুজনকে পাশাপাশি।হঠাৎ,অনন্যা শ্রাবণকে বলল-এই ছেলে হাতটা ধর। শ্রাবণ নিতান্ত অনিচ্ছায় হাতটা ধরে বলল-অসহ্য! ও ফিক করে হেসে বলল-অনন্যা এখন আর ছোট্টটি নেই, সে অসহ্য অর্থ বোঝে! যদিও সে জানে সে আগুনে ঝাপ দিতে চায় । কিন্তু আগুন তাকে গ্রাস করবে কিনা, সেটাই দেখার বিষয় ।
কিছুক্ষণ নিরবতা। অনন্যার আবার প্রশ্ন-তন্ময়,আমরা কী দুজন এক হয়ে যেতে পারি না আজ থেকে। শ্রাবণের এবারেও বুদ্ধিদীপ্ত উত্তর-অবশ্যই পারি,আজ থেকেই! আমরা তো বন্ধু নাকি! রেল লাইনের স্লিপারের মত একসাথে থাকবে চির জীবন।
অনন্যা অবাক চোখে ওর দিকে তাকিয়ে রইল। এরপর বলল-আর কিছু না? ততক্ষণে শ্রাবণের চোখ কপালে।হেসে দিয়ে বলে বসল-আর কিছু,মাথা খারাপ! স্লিপার দুটো এক হয়ে গেলে কি হয়? ট্রেন লাইনচ্যুত। তার দায় লাইনম্যান নিলেও, আমি অন্তত নেব না।
***********
পরের ঘটনা-অতি স্বাভাবিক এবং বাস্তবের মতই চির সুন্দর। অনন্যা আর শ্রাবণের বন্ধুত্ব এখনও টিকে আছে। শ্রাবণের অবশ্য হয়েছে লাভের উপর ডবল লাভ। অনন্যার স্বামীর সঙ্গে ওর বন্ধুত্ব মারাত্নক আকার ধারণ করেছে। অনন্যার স্বামী মাঝে মাঝে বলে-তোর জন্যই আমাদের সংসারে এত বৈচিত্র্য রে!
একটা কথা বলা হয়নি অনন্যার স্বামী কিন্তু ওরই ক্লাসমেট। অনন্যার কথা তো বলা হল। শ্রাবণের কি হল? কি আর হবে-ভবঘুরে, ভবঘুরেই থেকে গেল। বিয়ে থা করা হয়নি ওর। অবশ্য অনন্যার যমজ মেয়ে দুটোকে নিয়ে ওর সময় ভালোই কেটে যায়। বিয়ের কথা জিজ্ঞেস করলে বলে-
“সূর্য দেখোনি? ও কি কারো আলো ধার করে ?”
তাং :০৫/০১/০৮
*******************************************
বন্ধুরা, কেমন লাগল ?? সেতো কমেন্টেই জানবো । কিন্তু এবারে আমার কিছু কথা ।
অনেকে বলেছেন অপরিচিতের সাথে এত কথা দৃষ্টিকটু । কিন্তু এটা সম্পূর্ণ বাস্তব কে ভিত্তি করে লেখা । আমার খুব কাছের বন্ধু শ্রাবণ (ছদ্মনাম) এবং তার বন্ধু অনন্যা (ছদ্মনাম) সংঘটিত কথোপকথন । যারা আমার বন্ধুটিকে দেখেন নি, তারা জানেন না, কিভাবে কথা বলতে হয় । সে যে কোন অপরিচিত কে এমন মোহনীয় ভাবে ইমপ্রেস করত, কি বলব । তবে সে শুধু বন্ধুত্বের বাইরে কোনদিন কিছু ভাবেনি । এদিক দিয়ে সে সাধুদের পর্যায়ে পড়ে ।
এবার আসি অনন্যার কথায় । সে ঘটনাক্রমে আমার বন্ধু হয়েছিল । কিন্তু কোনদিন সে আমার সাথে ফোনে কিংবা সরাসরি কথা বলেনি । আমাকে সে খুব ভাল জানত কিন্তু কোনদিন বলেনি । হাজার অনুরোধ সে ফিরিয়ে দিত অবলীলায় । কারণ সে জানতো, তার সাথে কথা বলতে গিয়ে আমার চোখ ভরে উঠবে জলে । আমার আবেগের মাত্রা যে বেশি তা সে জানতো । কিন্তু কথা বলতে চাইতো না কেন ?? কারণ, সে পৃথিবীতে এসেছিল, খুব কম সময়ের জন্য । মাত্র ২০ বছরেই সে পৃথিবী ছেড়ে চলে যায় । ২০০৮ সালের বারো এপ্রিল সে অনন্তলোকের পথে চলে যায় । তার বোন ক্যান্সার হয়েছিল । তার বাবা তাকে বহু দেশে নিয়ে চিকিৎসা করালেও রোগ শুরুতে সনাক্তকরণে দেরি হয়ে যাওয়ায়, সে আর বাচঁতে পারেনি । ও মারা যাবার তিনমাস আগে আমি গল্পটা লিখে শেষ করি । সে প্রচুর বই পড়ত এবং খুব সাহিত্যমনা ছিল । সে আমার লেখাটা পড়েছিল, এবং বলেছিল, আমার লেখা তার ভাল লেগেছে । সেই আমার পরম পাওয়া । আপনারা ওর জন্য দোয়া করবেন । মৃত্যুর আগে সে খুব করে চেয়েছিল পহেলা বৈশাখ দেখে যেতে । কিন্তু পারেনি । ভয়াল মৃত্যু তাকে সে সুযোগ দেয়নি ।
মৃত্যুর আগে সে আমার এবং শ্রাবণের জন্যে দুটো চিঠি রেখে যায় । আমি এখনো মাঝে মাঝে খুলে দেখি, আর অনুভব করি, কি কষ্ট করে সে এতবড় একটা চিঠি লিখেছিল । আল্লাহ ওর আত্নাকে শান্তি দিন ।
আবেগ আপ্লুত হয়ে বেশি কথা বলে ফেললাম । আপনাদের ধৈর্য্যচুতি ঘটলে ক্ষমা প্রার্থী ।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই অক্টোবর, ২০১১ সকাল ৯:২৯