[১]
তুমি আমায় অনন্ত একটা আকাশ দেবে?
আমি তার কোণে বাঁকা চাঁদ হয়ে জ্বলব...
প্রতি রাতে জোছনার সুর দিয়ে
তোমার বিষাদগুলোকে ছুঁয়ে দেবো, আর...
আমাদের উঠোনে কখনো কৃষ্ণপক্ষের ছায়া পড়বে না...
চার দেয়ালের ঘরে এনার্জি সেভিং বাল্ব হয়ে নয়,
আদিগন্ত আকাশের একলা চাঁদ হয়েই না হয় মরব......
ড্রাফটঃ ৭ মে, ২০১২
[২]
সে জানতেই পারল না
ঠিক কখন চারা-গুলো মহীরুহ হয়ে উঠল...
বেখেয়ালে বোনা বীজ, অযতনে তার বৃদ্ধি
যে আলো-হায়ায় তার জন্ম, বেড়ে উঠা
সেখানেই যে বিষ, আর তাতেই নীলকণ্ঠ হওয়া
সে কি ভাবতে পেরেছিল?
যে বায়ুতে অক্সিজেন,
সেখানেই তো প্রাণনাশী কার্বন মনোক্সাইড
এটা-ই তো স্বাভাবিক......
ড্রাফটঃ ১৬ মে, ২০১২
[৩]
আচ্ছা, তবে তা-ই হোক
হোক অহংকারের জয়...
অথবা জিতে যাক
দেখেও না দেখার আমাদের চোখ
সব কিছু বুঝেও না বোঝার
রুদ্ধ করে রাখা আমাদের মনের দ্বার...
তারপর একদিন
সব কিছু নিঃশেষ হয়ে যাবে...
সেদিন দাড়ি-পাল্লায়
জয়-পরাজয়ের হিসেব হবে না
শুধু ভালবাসা-র
দুধ-জল আলাদা হয়ে যাবে...
তাই বন্ধুরা...
আদা-জল খেয়ে লেগে যাও............
ড্রাফটঃ ৫ মে, ২০১২
[৪]
ওহে... এবার যুদ্ধটা তোমার একা-র...
আমি না হয় তোমায় ঠেলে দিয়েছি এ পথে-
পিচ্ছিল-অমসৃণ-পাথুরে-কাদাজলে ভরা
তবে লড়তে হবে একা-ই...
হা হা হা...ভুলেও ভেবো না
ডানে কিম্বা বায়ে পাশ ফিরলেই তুমি আমায় পাবে...
কেউ রবে কাছাকাছি...না না...
বন্ধুর পথে বন্ধু?...সেও কি সম্ভব! কক্ষনো না...
তবে আমি আছি এ প্রান্তে... পথের শেষে...
তুমি ভেঙ্গে যাও, গুড়িয়ে যাও, মুচড়ে যাও, মুষড়ে পড়
নিজের ভেতর থেকে নিজেকে বের করে আনো প্রচন্ড যন্ত্রণায়
ছাড়িয়ে যাও ক্রমাগত নিজেকে... এ রণে আমি সংগী হবো না...
আরে বোকা... আমি কেবল 'প্রোডাক্ট' এর ভাগীদার হবো...
অম্লস্বাদীয় সেই 'প্রোসেস' এ কে কবে সাথী হয়......
মু হা হা হা......
ড্রাফটঃ ১৫ মে, ২০১২
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:১২