শায়েস্তা খানের শাসনামলে টাকায় আট মণ চাল পাওয়া যেতো।কিন্তু সেসময় প্রশাসন একচেটিয়া ব্যবসা করত।এমনকি ঘাসের ব্যবসাও ছিল প্রশাসনের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। তাই সাধারণ জনগনের নিকট বলেতে গেলে কোনো টাকা ছিল না।টাকা না থাকলে, এক টাকায় আট মণ চাল পাওয়া যাক কিংবা এক লক্ষ টাকায় আট মন চাল পাওয়া যাক;জনগনের কিছু আসে যায় না।তাই তখনকার মানুষের দিন কাটছিল বেশ দুর্ভগের সাথে।বঙ্গভূমি শস্য-শ্যামলা তার পরও সাধারণ মানুষের প্রতীক গফুরের অতি আদরে মহেষের ভাগ্যে দু'আটি বিচুলি জোটেনা।আর জীবনানন্দ 'ধূসর পাণ্ডুলিপি'তে একেছেন গ্রামীণ দুর্দশারর চিত্র। কথায় আছে 'নূন আনতে পান্তা ফুরায়।'গ্রামীণ মানুষ ১২ মাস তিনবেলা খেয়ে-পড়ে সচ্ছলভাবে জীবনধারণ করেছে, এমন বর্ননা গ্রাম নিয়ে লিখালিখি করা লেখকদের বর্ননায় নেই,আছে শুধু সীমাহীন দুর্ভগ। একমাত্র বর্ষাকালে গ্রামের মানুষ বিলথেকে মাছ ধরে খেতে পারে।অন্যান্য ঋতুতে মাছ গ্রামের মানুষের এক দুর্লভ জিনিস। তারপরও মাছে ভাতে বাঙালি।আর পহেলা বৈশাখে পান্তা-ইলিশের মতো ব্যঙ্গার্থক সংস্কৃতি।
সম্রাট আকবর খাজনা আদায়ের জন্য পহেলা বৈশাখের আয়োজন করেছিলেন।এরপর অনেক বর্ষবরণ অনুষ্ঠান যুক্ত হয়েছে।ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠান, মঙ্গল শোভাযাত্রা অন্যতম। অনেকে এগুলোকে হিন্দুয়ানা সংস্কৃতি বলে তাচ্ছিল্য করে।কিন্তু তারাই আবার হাতি-ঘোড়া, বাঘ, তবলা,একতারা আলা জামা কাপড় তাদের বাচ্চাদের কিনে দেয়।তাহলে হাতি-ঘোড়া, বাঘের বিরাট শিল্পকর্ম নিয়ে আনন্দঘন একটি মিছিল বের করলে ক্ষতি কি?তারপরও এখানে মানুষ সেচ্ছায় অংশগ্রহণ করে।এর মাধ্যমে কাউকে ব্যাঙ্গ করা হয়না।
অসাম্প্রদায়িক চেতনা ধারন করে, গ্রামীন কৃষকদের শ্রদ্ধাভারে সরণ করার জন্য বছরে একটা দিন পান্তা খাওয়া খুব ভালো কাজ।কিন্তু গরম ভাতে পানি ঢেলে পান্তা বানিয়ে ইলিশ মাছ দিয়ে খাওয়া একই সাথে হাস্যকর ও ব্যঙ্গার্থক কারবার।
পরিশেষেঃযারা সবসময় টাকার গরম দেখাতে চান তরা দয়া ক'রে পান্তা-ইলিশ খাওয়ার নামে গ্রামবাংলার দুর্ভাগা জনগনদের ব্যঙ্গ করা থেকে অন্তত এই একটা দিন বিরত থাকুন।
নববর্ষের আগাম শুভেচ্ছা
শুভ নববর্ষশায়েস্তা খানের শাসনামলে টাকায় আট মণ চাল পাওয়া যেতো।কিন্তু সেসময় প্রশাসন একচেটিয়া ব্যবসা করত।এমনকি ঘাসের ব্যবসাও ছিল প্রশাসনের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। তাই সাধারণ জনগনের নিকট বলেতে গেলে কোনো টাকা ছিল না।টাকা না থাকলে, এক টাকায় আট মণ চাল পাওয়া যাক কিংবা এক লক্ষ টাকায় আট মন চাল পাওয়া যাক;জনগনের কিছু আসে যায় না।তাই তখনকার মানুষের দিন কাটছিল বেশ দুর্ভগের সাথে।বঙ্গভূমি শস্য-শ্যামলা তার পরও সাধারণ মানুষের প্রতীক গফুরের অতি আদরে মহেষের ভাগ্যে দু'আটি বিচুলি জোটেনা।আর জীবনানন্দ 'ধূসর পাণ্ডুলিপি'তে একেছেন গ্রামীণ দুর্দশারর চিত্র। কথায় আছে 'নূন আনতে পান্তা ফুরায়।'গ্রামীণ মানুষ ১২ মাস তিনবেলা খেয়ে-পড়ে সচ্ছলভাবে জীবনধারণ করেছে, এমন বর্ননা গ্রাম নিয়ে লিখালিখি করা লেখকদের বর্ননায় নেই,আছে শুধু সীমাহীন দুর্ভগ। একমাত্র বর্ষাকালে গ্রামের মানুষ বিলথেকে মাছ ধরে খেতে পারে।অন্যান্য ঋতুতে মাছ গ্রামের মানুষের এক দুর্লভ জিনিস। তারপরও মাছে ভাতে বাঙালি।আর পহেলা বৈশাখে পান্তা-ইলিশের মতো ব্যঙ্গার্থক সংস্কৃতি।
সম্রাট আকবর খাজনা আদায়ের জন্য পহেলা বৈশাখের আয়োজন করেছিলেন।এরপর অনেক বর্ষবরণ অনুষ্ঠান যুক্ত হয়েছে।ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠান, মঙ্গল শোভাযাত্রা অন্যতম। অনেকে এগুলোকে হিন্দুয়ানা সংস্কৃতি বলে তাচ্ছিল্য করে।কিন্তু তারাই আবার হাতি-ঘোড়া, বাঘ, তবলা,একতারা আলা জামা কাপড় তাদের বাচ্চাদের কিনে দেয়।তাহলে হাতি-ঘোড়া, বাঘের বিরাট শিল্পকর্ম নিয়ে আনন্দঘন একটি মিছিল বের করলে ক্ষতি কি?তারপরও এখানে মানুষ সেচ্ছায় অংশগ্রহণ করে।এর মাধ্যমে কাউকে ব্যাঙ্গ করা হয়না।
অসাম্প্রদায়িক চেতনা ধারন করে, গ্রামীন কৃষকদের শ্রদ্ধাভারে সরণ করার জন্য বছরে একটা দিন পান্তা খাওয়া খুব ভালো কাজ।কিন্তু গরম ভাতে পানি ঢেলে পান্তা বানিয়ে ইলিশ মাছ দিয়ে খাওয়া একই সাথে হাস্যকর ও ব্যঙ্গার্থক কারবার।
পরিশেষেঃযারা সবসময় টাকার গরম দেখাতে চান তরা দয়া ক'রে পান্তা-ইলিশ খাওয়ার নামে গ্রামবাংলার দুর্ভাগা জনগনদের ব্যঙ্গ করা থেকে অন্তত এই একটা দিন বিরত থাকুন।
নববর্ষের আগাম শুভেচ্ছা
শুভ নববর্ষ