পাকিস্তানী মানুষদের একটা অংশ ধর্মীয় পরিচয়ের লোভী নেতার খপ্পরে পরে আবার ভুল সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, সরে যেতে হচ্ছে নতুন পাকিস্তানের আর্কিটেক্ট বনে যাওয়া ইমরান খান কে। একটা মডারেট পাকিস্তান দক্ষিণ এশিয়ার জন্য ছিল বহু দিনের কাঙ্ক্ষিত। সেই স্বপ্ন আপাতত শেষ। দূর্নীতি, দূর্নীতিবাজ রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহন আর লেবাসধারী ধর্ম ব্যবসায়ীদের ছাড় দেয়া কাল হল ইমরান খান সরকারের। টুপাইস কামানোর অবারিত সুযোগ না পেয়ে নিজের দলের কিছু অসৎও বিক্রি হয়েছে বিরোধী শিবিরে।
গেল নির্বাচনের পর পাকিস্তানের বিরোধী রাজনীতিবিদদের দূর্নীতি অপকর্ম প্রমাণ সহ জনসম্মুখে আসতে থাকে। দিশেহারা দূর্নীতিবাজদের রক্ষায় মুল ইস্যুর বাইরে গিয়ে ইসলাম রক্ষার দোহাইয়ে এগিয়ে আসে দেওবন্দি মাওলানা ডিজেল। শুরুটাও পরিচিত ফতোয়া দিয়ে "ইমরান খান ইহুদিদের দালাল" আর যায় কোথায়। দেওবন্দিদের বাংলাদেশ শাখা হেফাজত স্টাইলে শুরু হয় পরিচিত সেই আন্দোলন, পাঁচ বছরের মাসুম বাচ্চা থেকে ৩৫ বছরের বলদ তালেবান সবাই সরকার পতনের দাবিতে রাস্তায়। শাপলা চত্বরের সেই শেখ হাসিনা স্টাইলের ফ্যাসিবাদী একশান নিতে ব্যর্থ হওয়া, আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত ইমরানের তাই আজ পতন ঘন্টা। বর্বর ভুট্টুর নাতি আর কমিশন খোর জারদারি বিলাওয়ালরা রাজনীতির হালে পানি পেল।
সরকার পতনের আন্দোলন জণগণের অধিকার। কিন্তু টুপি পাঞ্জাবি লাগিয়ে ধর্মীয় সিম্পেথি আদায় করে নয়। মানুষের জাকাত ফেতরা দানের পয়সায় বেড়ে ওঠা এতিম অসহায়দের নিজের রাজনৈতিক স্বার্থে সরকার পতনের আন্দোলনে রাস্তায় নামানো লোভী ভন্ডরা আমাদের দেশেও পাড়া মহল্লা রাস্তার মোড়ে মোড়ে,জাকাত ফেতরা দান আদায়ের ঠিকাদারি নিয়েছে।
* মালানা ফজলুর রহমান গত ত্রিশ পয়ত্রিশ বছরে পাকিস্তানে যতগুলো সরকার এসেছে প্রায় সবার কাছ থেকে ফতোয়া আর ইস্যু সৃষ্টি করে আন্দোলনের হুমকি দিয়ে নিজের স্বার্থটা বাগিয়ে নিয়েছে (অনেকটা হেফাজতের শফির শাপলা চত্বর আন্দোলন বন্ধের বিনিময়ে জমি জিরাত গ্রহনের মত) বেনজির ভুট্টোর সরকারের সময় সে ঝামেলা শুরু করলে তাকে তেল মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে দেওয়া হয়, মন্ত্রীত্বের সুবিধা কাজে লাগিয়ে চোরাই পথে বেশি দামে আফগানিস্তানে ডিজেল বিক্রি করে নিজে প্রচুর অর্থ কামিয়ে নেয়, পাকিস্তানে দেখা দেয় ডিজেল সংকট। সেই থেকে জণগণের দেয়া উপাধি ' মাওলানা ডিজেল '।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে মার্চ, ২০২২ রাত ১২:২৭