দেশের অধিকাংশ পত্রিকায় খবর বিজিবি প্রধানের ঘোষণা " বৈধ ভাবে গরু আসতে পারবে ভারত থেকে"। ভেবেছিলাম পত্রিকায় খবর
হিসেবে এসেছে প্রতিবাদ নিশ্চয় হবে, খামারিদের একটা সংগঠন ছাড়া কেও কিছু বলল না। এদেশর মিডিয়া বেমালুম চেপেগেল। সারা বছরের আজস্র কষ্ট সাধনায় কৃষকের লালিত সপ্নের কোন মূল্য এদেশের দায়িত্বশীল কেউ দিলো না।দু একটা গরু কে লালন পালন করে দেশের সাধারন একটা কৃষক স্বপ্ন দেখে অল্প কিছু টাকা রোজগারের, সেই সপ্নের মূল্য আমরা কই দিতে পারলাম। ভারতীও গরু আসলে গরুর দাম কিছু কমবে, বড়লোক, সাহেব দের এই সুবিধাবাদি মনোভাব প্রতিবাদের ভাষা কে স্তব্দ করে দিলো। দেশে বিজিবি প্রধান যিনি হয়েছেন তিনিও ভারতীয়দের সুবিধাটাই দেখলেন, এদেশের খেটে খাওয়া সাধারন কৃষক খামারিদের কথাটা ভাবলেন না একবারও। উন্নয়নের মহাসড়ক থেকে নানামুখি আওয়াজ প্রতিদিন আসে দেশীয় শিল্প বিকাশের, কত কথা শুনি; যে খামার গুলি আমাদের দেশীয় শিল্প বিকাশের শক্ত খুঁটি হতে পারত্,দেশের কৃষক খামারিরা দু পয়সা আয় করতে পারতো ভারত থেকে গরু আমদানির সুযোগ দিয়ে তাকে ধংস করা হচ্ছে অবলিলায়। যারা নিয়মিত পত্রিকা পড়ে থাকেন তারা নিশ্চয় জেনে থাকবেন গত বছর ভারত থেকে আসা গরু যেগুলো অবিক্রিত ছিল এর অধিকাংশই এক থেকে দের মাসের মাথায় অজ্ঞাত কারনে মারা গিয়েছিল।এই আমদানি করা গরুগুলিতে মারাত্মক বিসাক্ত কোন পদার্থ পুশ করা হয়নি এটা বুঝার কি উপায় আছে।ভারত তাদের পরম পূজনীয় গরু কেন হটাত বাংলাদেশে কোরবানির জন্য পাঠানোর অনুমুতি দিচ্ছে এটাও ভেবে দেখা দরকার।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১:৪০