গত ৮জুলাই জয়নাল হাজারি তার হজারিকা প্রতিদিন পত্রিকায় বাক্তিগত একটি ভাসন ছেপেছেন। বক্তৃতার বর্ণনায় এমপি নিজাম হাজারির বিরোধিতা করতে গিয়ে তিনি চ্যালেঞ্জ করেছেন নিজাম হাজারি দু মিনিট ইংরেজিতে কথা বলতে পারবেনা। কারনটা ছিল গেছে ঈদের দিন নামাজের পূর্বে দেয়া বক্তৃতায় নিজাম হাজারী অনেক উন্নয়নের বর্ণনা দেয়ার এক পর্যায়ে বলেছিলেন তিনি জাপান ও মালয়শিয় প্রতিনিধিদের সাথে ফেনীতে একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের ব্যাপারে কথা বলেছেন। জয়নাল হাজারী প্রশ্ন রেখেছেন যার দু-চার মিনিট ইংরেজি বলার সামর্থ্য নেই সে কীভাবে প্রতিনিধি দলের সাথে এ ব্যাপারে আলোচনা করবে। ধরে নিচ্ছি নিজে না পারলে কোন দোভাষীর সহযোগিতা নিয়েছেন।
কর্মসূত্রে দেশের বাইরের একটি বাংলাদেশ হাইকমিশনে আমার যাওয়ার সুযোগ হয়েছিল। আমাদের মানেজিং ডাইরেক্টর বিদেশী, তার ব্যাবসায়িক কিছু বিষয় জেনে নেয়ার জন্য হাইকমিশনে সরাসরি আলোচনা করার মতো কাউকে খুঁজছিলেন, তার ব্রিটিশ একসেন্টের ইংরেজি বুঝতে এখানকার কর্মকর্তাদের কতটা কষ্ট হচ্ছিলো সেটা নিজে চোখে দেখেছি। কর্মকর্তাদের চোখে মুখে ভিতি, কথা না বলতে পারলে বাঁচেন।
গত কদিনের খবরে সবচেয়ে আলচিত বিষয় বিদেশে আমাদের কর্মজীবী ভাইদের দুরবস্থা।মালয়শিয়ার জঙ্গলে পালিয়ে আছে আমাদের অনেক ভাইরা,পুলিশ ওদের জঙ্গল থেকে খুঁজে বের করতে প্রশিক্ষিত কুকুর লেলিয়ে দিয়েছে। জঙ্গল ঘুরে ঘুরে কুকুরের চিৎকার শুনে পুলিশ খুঁজে বের করছে মানুষকে।মানবতার চূড়ান্ত এ অপমানের বিরুদ্ধে কথাবলার শক্তি হারিয়েছে বাংলাদেশের সরকার প্রশাসন। নতজানু পররাষ্ট্রনীতি আর হীনমন্যতার কোন পর্যায়ে থাকলে দেশের মন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীরা এর প্রতিবাদ জানাতে ব্যার্থ হন তা ভাবার বিষয়।তারা কবে ওদের বুঝাতে পারবেন আমারা সেখানে কারো কৃপাপ্রার্থী নই,ঘামঝরানো শ্রমের মূল্য প্রার্থী,তোমাদের সমৃদ্ধির অংশীদার।মালয়শিয়ার সাথে বাংলাদেশের ব্যাবসায়িক লেনদেনের পার্থক্যটা দেখলে বোঝাযায় আমাদের জীবনবাজী রেখে মাথার ঘাম পায়ে ফেলা ভাই গুলো ক টাকাই আর রোজগার করছে।
খবরের অধিকাংশ প্রতিবেদনেই বাংলাদেশ হাইকমিশনের উদ্রিতি দিয়ে খবর ছাপানো হচ্ছে। ভাবছি হাইকমিশনের কর্তা ব্যাক্তি,প্রশাসনের ঊর্ধ্বতনদের এহেন ঘটনার কড়া প্রতিবাদ করার মতো ইংরেজি জ্ঞান আছে তো?
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৩:২৯