somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

"আমেরিকার রাজনীতি নিয়ে বাংলাদেশের রঙিন মিডিয়া ও জনগণ"

০৮ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:৪৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বাংলাদেশের অতি উৎসাহী মিডিয়া ও কতিপয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বন্ধুদের দ্বারা জানতে পারলাম ওয়াশিংটন ডি. সি. তে বিক্ষোভের মতো একটা ঘটনা ঘটেছে এবং ওয়াইট হাউজে ভাংচুর চালিয়েছে কিছু বিক্ষোভকারী; অনেকে আবার ছিঃ ছিঃ বলছে আমেরিকার রাজনীতি নিয়ে ও বাংলাদেশের নির্বাচনের সাথে আমেরিকার নির্বাচন তুলনা করতে শুরু করেছে। প্রায় ছয় বছর হতে চললো আমেরিকাতে আছি, দুটো নির্বাচন দেখার সৌভাগ্য হয়েছে, গণতন্ত্র ও মানুষের ভোটের অধিকার কি জিনিস তা নিজে না দেখলে বিশ্বাস করা যায় না। এখানে রাজনীতি করে রাজনীতিবিদেরা আর সাধারণ জনগন শুধুমাত্র ডলারের পিছনে ছুটে কিভাবে নিজের জীবনের অবস্থার পরিবর্তন করা যায়, নির্বাচনের দিন একটা ভোটাধিকার প্রয়োগ করে মাত্র। তারা নিজেরাও জানে না কে বা কোন দল বিজয়ী হবে, অনেকে আবার এই সব ব্যাপারে কথা বলতে উৎসাহ বোধ করে না, অদ্ভুত জনগন তাই না! সব জায়গায় সারি সারি পোস্টার কেউ টানায় না, নিজ দলের প্রার্থীরা সব জায়গায় সমাবেশ করে না, যে সব জায়গায় নিজ দলের নাজুক অবস্থা থাকে সেইসব জায়গায় ফান্ড তৈরি করে সমাবেশ করতে হয় তাছাড়া ওই সব সমাবেশে লোকসমাগম দেখানোর জন্য অনেক সময় ভাড়া করে মানুষ আনতে হয় ও প্রতি ঘণ্টা হিসেবে ডলার দিতে হয়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ "নির্বাচন কমিশন" নিয়ে কোন সন্দেহের সুযোগ থাকে না, এমন কি নির্বাচন চলাকালে প্রেসিডেন্ট এর কোন মন্তব্য এই সংস্থাকে বিতর্কিত করতে পারে না কারণ সুপ্রিম কোর্ট ও বিচারপতিগন দলীয় রাজনীতির বাইরে গিয়ে "নির্বাচন কমিশন" এর উপর আস্থা রাখেন। এতো ভালো সিস্টেমের মধ্য দিয়ে একটা সরকার গঠিত হয় চার বছরের জন্য। দিন শেষে আমাদের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট, নতুন প্রেসিডেন্টের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে এটাই সত্যি কিন্তু তার আগে প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট এর জানার অবশ্যই আইনগত অধিকার আছে কেন ওইসব অঙ্গরাজ্যে তিনি খারাপ ফলাফল করেছেন ও তার জন্য কি আইনি পদক্ষেপ তিনি নিতে পারেন এই চর্চা টা একজন রাজনীতিবিদের অধিকারের আওতায় পরে এখানে বাংলাদেশের মিডিয়া যেভাবে রং মাখিয়ে তাকে দেখানো হয় আইনি লড়াইয়ে হারতে যাচ্ছেন ট্রাম্প, সেখানে তাকে ছোট করে দেখার কোন সুযোগ নেই। পরিশেষে বলতে চাই, অতি উৎসাহী মানুষের জন্য পুরো আমেরিকাতে যতো সংখ্যক সংস্কৃতির মানুষের বসবাস ও তাঁদের জীবন যাপনের দর্শন তার দশ ভাগও যদি বাংলাদেশ পেতো তাহলে আমরা অনেক আগেই উন্নত হয়ে যেতাম। বাংলাদেশের জনগণ কোন কিছুতেই সুখী হতে পারে না, তাঁদের কাছে নিজের দেশের অগ্রগতি হলো সমালোচনার শামিল, কোন দেশের বিপর্যয়কে নিজের সুখ বলে আনন্দ অনুভব করে, ধর্ম পালনের চেয়ে নিজেদের মধ্যে ধর্মীয় আগ্রাসন বজায় নিয়ে সময় পার করে দেয়, সবকিছুই যদি এই জনগণের কাছে অগ্রহণযোগ্য হয় তাহলে কোন সরকারের পক্ষে দেশের উন্নতি করা সম্ভব না।অদ্ভুত লাগে যখন পদ্মা সেতুতে ৩.৬৯২ বিলিয়ন টাকা বিনিয়োগকে আমরা অতিরিক্ত খরচ হিসেবে দেখি কিন্তু অন্য সব উন্নত দেশে একটা অবকাঠামো উন্নয়নকে জনগণ সাধুবাদ জানায়। সবকিছুতে প্রতিবাদ ও না নীতির কারণেই সুযোগ সন্ধানীরা ফায়দা নেয়, দুর্নীতি হয়, আইনের সঠিক সুবিধা জনগণ ভোগ করে না আর সব দোষ হয় সরকারের।
আমি যদি নিজের ভাত যোগাড় করতে না পারি, এতে সরকারের কি দ্বায় থাকে। অনেকে বলতে পারেন এই দোষারোপ নিজের সামাজিক অবস্থার জন্য হয়ে থাকে, সত্যি কথা হলো আজকের পৃথিবীতে টিকে থাকতে হলে আপনি যাই করেন না কেন, দিন শেষে কতো কামাই করে ফিরলেন সেটাই বিবেচ্য বিষয়।
এই সব রং মাখানো সংবাদ না দেখে ও অন্য দেশের সমালোচনা না করে, নিজের চিন্তাশক্তির মাধ্যমে নিজের দেশকে প্রচার করেন। আপনার জীবন যাপনের পরিবর্তন হলে, সমাজ পরিবর্তন হবে, নিজের জাতি শ্রেষ্ঠ হবে ও উন্নত হবে নিজের দেশ।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:৪৪
৪টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

গণপরিষদের সাথে বিএনপির সখ্যতার কারণ কি ?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৭


বিএনপির নেতাদের সাথে গণপরিষদের নেতাদের ঘন ঘন সাক্ষাতের বিষয়টি মিডিয়াতে প্রচারিত হচ্ছে।বিষয়টি প্রথম আলোচনায় আসে যখন বিএনপি হাই কমান্ড থেকে পটুয়াখালী -৩(দশমিনা-গলাচিপা) আসনের নেতাকর্মীদের কাছে চিঠি দেয়া হয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ কি অন্ধকার?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫২



সুকান্তর একটা কবিতা আছে, দুর্মর।
"সাবাস, বাংলাদেশ, এ পৃথিবী অবাক তাকিয়ে রয়:, জ্বলে পুড়ে-মরে ছারখার, তবু মাথা নোয়াবার নয়।" মানুষের ভবিষ্যৎ বলা সহজ কিন্তু একটি দেশের ভবিষ্যৎ কি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিএনপি-আওয়ামী লীগের মধ্যে মৈত্রী হতে পারে?

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০০


২০০১ সাল থেকে ২০০৬ পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াত আওয়ামী লীগের ওপর যে নির্যাতন চালিয়েছে, গত ১৫ বছরে (২০০৯-২০২৪) আওয়ামী লীগ সুদে-আসলে সব উসুল করে নিয়েছে। গত ৫ আগস্ট পতন হয়েছে আওয়ামী... ...বাকিটুকু পড়ুন

যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনী ফলাফলে বাংলাদেশের জন্য দুশ্চিন্তা নেই

লিখেছেন মেঠোপথ২৩, ০৬ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:২১

যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনী ফলাফলে বাংলাদেশের জন্য দুশ্চিন্তা নেই

ট্রাম্প হচ্ছে একজন আপাদমস্তক বিজনেসম্যান। কমলা হ্যা্রিস যেহেতু ইন্ডিয়ান বংশোদ্ভূত তাই ইন্ডিয়ান ভোটার টানার জন্য সে নির্বাচনের আগে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে টেনে জাস্ট... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইসকন

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৬ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৪৭


INTERNATIONAL SOCIETY FOR KRISHNA CONSCIOUSNESS যার সংক্ষিপ্ত রূপ হলো ISKCON এর বাংলা অর্থ হল আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ। যে সংঘের ঘোষিত উদ্দেশ্য হল মানুষকে কৃষ্ণভাবনাময় করে তোলার মাধ্যমে পৃথিবীতে প্রকৃত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×