আমি কিছুই দেখতে চাই না।পৃথিবীর সব আলো নিভে যাক।আমি কিছুই শুনতে চাই না।পৃথিবীতে আসুক অন্তহীন নিস্তব্দতা।একই পৃথিবীর বুকে জন্ম নিয়ে একই পৃথিবীর মানুষ হয়ে কেমন করে সহ্য করি আমি এসব!ভাবছ আমি দুঃখবিলাস করছি?তবে তাই করছি আমি।তাতে তোমার কি?কান্নায় বুক ভেসে যাচ্ছে আমার।তাতে তোমার কি?
আজ আমি দূর্ভিক্ষপীড়িত সোমালিয়ার শীর্ন শরীরের জীর্ন কাপড়ের কোন শিশুর কথা বলতে আসিনি।আসিনি ভূমিকম্পে এতিম কোন জাপানি শিশুর চোখের জল মুছতে।
আজ ২৩শে শ্রাবন,সোমবার,সন্ধ্যা ৭ টা।টিপ টিপ বৃষ্টি হচ্ছে।সারা আকাশটা বুঝি কাদছে।তবে আমি কাদছি।কেন জানো?
একটা মেয়ের দুঃখ দেখে।বয়স ৭/৮ হবে তার।রাস্তার পাশের ডাস্টবিনে এই বৃষ্টি মাথায় করে খাবার কুড়োচ্ছিল সে।প্রতিদিন রাজপথের পাশের এই ডাস্টবিনের পাশ কাটিয়ে আমার মত হাজারো মানুষ যায়।গন্ধে নাকে রুমোল চাপা দেয়।সব্বাই চায় জায়গাটা থেকে কখন দূরে যেতে পারবে।ভুলেও তাকাতে চায় না কেউ।তবে দিন শেষে কিছু শিশুর গুপ্তখনি এই জায়গা।অনেক আশা নিয়ে,ঘৃনাকে কবর দিয়ে খোজাখুজি করে।জানতো? খুব অল্পেই ওরা খুশি।পেট ভরার দরকার নেই,শুধু খেতে পেলেই খুশি।
একটা ব্যপার আমার নিউরন থেকে কিছুতেই সরাতে পারছি না।পিজা হাটে আমি আনলিমিটেড পিজা খাচ্ছি।ঠিক সে সময় আমার বয়সি একটা মেয়ে পাশের এক রাস্তায় হাটছে।খেতে হবে তাকে তাই,বোনটাকে খাওয়াতে হবে তাই।পতিতাবৃত্তি তার নেশা নয় পেশা তাই।এ সমাজে এছাড়া আর কিছুটি করার নেই তাই।
প্রতিদিনের মত বাড়ি ফেরার পথে টিপ টিপ বৃষ্টির গুঞ্জন শুনে আনমনা হবার দিন আজও।ব্যস্ত ট্রাফিকের মাঝে জানালার গ্লাসে আকিবুকি দেখতে দেখতে রবি ঠাকুরের গান শুনতে ইচ্ছে হবার হয়ত কথা ছিল।এক সময় হয়ত ঘুমিয়ে পরতাম।স্বপ্নে দেখতাম রবি ঠাকুর আমার বয় ফ্রেন্ড।কিন্তু কি জানো নিউরন গুলো বড্ড কাদায়?জানো কি মেয়েটা এখন কি করছে?তুমিও কি আমার মত কাদো?তোমার নিউরনও কি তোমাকে এমন সাঝের দুঃখবিলাসী কান্নায় কাদায়?
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:১১