তারেক জিয়ার অনুপস্থিতিতে দলের হাল ধরার কথা ছিল মহান এই নেতার।
নেতাজী সুভাসবসুর অন্তর্ধান হয়েছিল, খোঁজ জানা যায় নাই। বিপ্লবী ছাত্রনেতা ইলিয়াসের অন্তর্ধান হয়েছে। খোঁজ পাওয়া যাবে কিনা বলা মুশকিল। তিনি মারা গিয়ে থাকলে নিশ্চিত ভাবেই শহীদ হবেন। জালিমের হাতে মারা গেলে আমরা শহীদই বলি। ইলিয়াস তুখোড় ছাত্রনেতা ছিলেন। তাঁরমতো নেতাকে অপরিণত বয়সেই ছাত্রলীগ ও ছাত্রসমাজ ধারণ করতে পারে নাই। একমাত্র ছাত্রদলের আদর্শই এমনকি তাঁর পরিণত বয়সের বিশালত্বকে ধারণ করতে সক্ষম হয়েছিল। বিপ্লবী ইলিয়াস অন্যায় ও উপদলকে অপছন্দ করতেন, তাই ঐক্য প্রতিষ্ঠার জন্য বিদ্রোহীদের নিজেই ন্যায় বিচারের মাধ্যমে শাস্তি দিতেন
ইলিয়াসের অভাব বিএনপি দল হিসাবে অনেক অনুভব করবে। তিনি ছিলেন খালেদা জিয়ার কাছে তৃতীয় সন্তানের মতো। তবে তাঁর নেতৃত্ব গুন বিবেচনা খালেদা তাকে কোকোর চেয়ে এগিয়ে রাখতেন। বিএনপিতে তারেক জিয়ার পরেই তার স্থান ছিল। তারেক অনুপস্থিতিতে লন্ডন গিয়ে হলেও ইলিয়াস তারেকের পরামর্শ আনতেন, আর নিজে থেকেও দলকে পরামর্শ দিয়ে এগিয়ে দিয়েছেন, বিএনপি এক দুর্বার দলে পরিণত হয়েছে। ইলিয়াস নিজেকে ও বিএনপিকে সারাদেশের আবেগের কেন্দ্রস্থলে আনতে পেরেছে। এরকম অবস্থা কেবল দ্বিতীয়বারের মতো তৈরী হয়েছে, প্রথমবার তৈরী হয়েছিল শহীদ জিয়ার ওফাতের পরে।
বাংলাদেশের ক্যালেন্ডারে সকল দিবস অাওয়ামী লীগের দখলে। এগুলোকে দখল মুক্ত করতে ইলিয়াসের অন্তর্ধান দিবস সাহায্য করবে। এখন থেকে ১৭ এপ্রিল শহীদ(!) ইলিয়াসের অন্তর্ধান দিবসের কথা ভাবা যেতে পারে। ৭ মার্চ তারেক জিয়ার কারাবরণ দিবস, ২৬ মার্চ জিয়ার স্বাধীনতার ঘোষনা, ১৫ অাগষ্ট খালেদার জন্মদিবস, ২৩শে জুন পলাশী দিবস এর সাথে এটাও যোগ হল। ১০ জানুয়ারী ও ১৬ ডিসেম্বর এখন দখলমুক্ত করা সম্ভব হয় নাই। অচিরে হয়ে যাবে।
শক্তিমান নেতা ইলিয়াস প্রমান করে দিয়েছেন, এক ইলিয়াস লোকের অন্তরে, লক্ষ ইলিয়াস ঘরে ঘরে। তার জন্য সারাদেশে যে তোলপাড় অবস্থা তৈরী হয়েছে তাতেই প্রমাণ হয় তিনি কত বড় নেতা ছিলেন। এদেশে অনেক নেতা মারা গেছে, লোকে চোখের পানিও ফেলে নাই। অথচ আজকে ইলিয়াসের জন্য আমাদের সকলের চোখে পানি। লোকে তার শোকে মাতোয়ারা হয়ে লড়াইয়ে নামছে। গায়ে অাগুন লাগিয়ে আত্নাহুতি দিতেও দ্বিধা করছে না। কোমলমতি ছাত্ররাও শোকে মুহ্যমান হয়ে পরীক্ষা বর্জন করতে দ্বিধা করছে না!
জয় তু ইলিয়াস!
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে এপ্রিল, ২০১২ রাত ১১:২৪