শেষবেলার সূর্য শিকারী আলোতে বৃষ্টির রঙ খয়েরী
সতেজতা হারানো গোলাপের পাপড়ীতে ভালোবাসার অনিহা
তিন হাতের টেবিলে তিনশো বছরের দূরত্বের নীরবতা
আমার চোখে নাগরীক ফ্রেমের কালো চশমা
আর তার চোখে নেশাতুর সলজ্জ কাজলের আঁচড়।
আমার মন আড়ি পাতে তার মনের ঘরের ঈশাণ কোনে
নীরবতার খেয়ালি অভিসারে ধূপের গন্দ
কড়া নাড়ে ঝিমিয়ে পড়া সুপ্ত অনুভুতির ক্রন্দসী সময়ে।
তার মন উড়ে-ভাসে ভেজা বাতাসের স্নিগ্ধ আবহে
অনেক দুরের কোন এক দৈবিক বাঁশির বিলাপ ধ্বনিতে।
নেই ভাষা, নেই দৃষ্টি বিনিময় তবুও কথা থেকে যায়
সব হারায়, সব পচে যায়, শুধু কথা বেচে রয়
কথাগুলো তাই ফিরে আসে, ঘুরে ঘুরে গ্রীক পুরাণ পাড়ি দিয়ে
কথা এসে থামে কথার উৎসে, আরো অনেক কথা সাথে নিয়ে।
অপেক্ষার এই প্রহর, মাঝে শুধু কিছু সময়ের অন্ধকার
তার অপেক্ষা, এডোসিন হয়ে যাওয়া কোন এক তাম্মুজ দেবতার
আমার এই শেষের শুরু জুড়ে
আধপোড়া সিগারেট আর মগজের কুটিরে অসমাপ্ত কিছু শেষ কথা।
লেখকঃ হোসেন মৌলুদ তেজো
বইঃ কবিতাটি অসংজ্ঞায়িত বইয়ে প্রকাশিত হয়েছে।