আপডেট ৭: ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু সর্বশেষ আপডেট: বাংলাদেশ সময় শনিবার দুপুর ২ টা।
ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু পূর্ন শক্তিতে সন্দীপ ও চট্রগ্রাম উপকূলে আঘাত করা শরু করেছে। আগামী ২ ঘন্টা বর্তমান অবস্হা সচল থাকতে পারে।
ছবি: এই চিত্রটি তোলা হয়েছে বাংলাদেশ সময় শনিবার দুপুর ১ টা ৩০ মিনিট।
আপডেট ৬: ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু সর্বশেষ আপডেট: বাংলাদেশ সময় শনিবার দুপুর ১ টা ৩০ মিনিট।
হিমাওয়ারি-৮ নামক কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত visible satellite imagery। চিত্র নির্দেশ করতেছে ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু চট্রগ্রাম উপকূলে আঘাত করে শুরু করেছে।
ছবি: এই চিত্রটি তোলা হয়েছে বাংলাদেশ সময় শনিবার দুপুর সারে ১২ টায়।
আপডেট ৫: ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু সর্বশেষ আপডেট: বাংলাদেশ সময় শনিবার দুপুর সাড়ে ১২ টা।
হিমাওয়ারি-৮ নামক কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত visible satellite imagery (a snapshot of what the satellite sees, সোজা বাংলায় বলতে হয় মেক-আপ ছাড়া নাটক-সিনেমার নায়ক-নায়িকারা দেখতে যেমন হয়)। সাদা অংশ গুলো মেঘ নির্দেষ করতেছে। এই চিত্রটি তোলা হয়েছে বাংলাদেশ সময় শনিবার দুপুর ১২ টায়। ঐ সময় ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু এর কেন্দ্র অবস্হান করতেছিলো ভোলা জেলার দক্ষিন দিকের চর গুলোর ও হতিয়া দ্বীপের উপরে।
ছবি: এই চিত্রটি তোলা হয়েছে বাংলাদেশ সময় শনিবার দুপুর ১২ টায়
(হিমাওয়ারি-৮ নামক কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ এর ৩০ মিনিট বাফার টাইম আছে যে কারনে সব সময় ৩০ মিনিট পূর্বে ছবি দেয়। ছবি তোলার পরে তা প্রসেস করে ফাইনাল প্রডাক্ট বানাতে ৩০ মিনিট সময় লাগে।)
আপডেট ৪: ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু সর্বশেষ আপডেট: হিমাওয়ারি-৮ নামক কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ এই চিত্রটি নিয়েছে বাংলাদেশ সময় শনিবার সকাল ১১ টায়।
ছবি: হিমাওয়ারি-৮ নামক কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত চিত্র
আপডেট ৩: ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু এর সাম্ভব্য গতিপথ এই ম্যাপ (নিচের ছবিটি) তৈরি করা হয়েছে বাংলাদেশ সময় সকাল ৯ টায়।
ছবি সুত্র: Real-Time Hurricane Information Around the Globe (আমেরিকার নৌবাহিনী কর্তৃক পরিচালিত)
হিমাওয়ারি-৮ নামক কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ এই চিত্রটি (নিচের ছবি) নিয়েছে বাংলাদেশ সময় সকাল ৮ টায়। আকাশে মেঘের অবস্হান নির্দেশ করতেছে। ১ ঘন্টা পূর্বে ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু এর কেন্দ্র অবস্হান করতেছিল ভারত ও বাংলাদেশ এর সুন্দরবন এর বর্ডারের ঠিক নিচে। তবে ঘূর্ণিঝড় এর সামনের অংশ ইতিমধ্যে হতায়া দ্বীপে পৌছে গেছে।
ছবি সুত্র: Tropical Cyclone Formation Indian Ocean Basin (National Oceanic and Atmospheric Administration (NOAA))
আপডেট ২: ভূ-উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত চিত্র অনুসারে ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু এর সর্বশেষ সম্ভব্য গতিপথ [আপডেট সময়: শুক্রবার রাত ৩ টা ৫০ মিনিট]
পূর্বের গতিপথ থেকে কিছুটা বামে বাংলাদেশের দিকে সরে এসেছে। অর্থাৎ বাংলাদেশের আরও বেশি এলাকার উপর দিয়ে অতিক্রম করবে। নোয়াখালী জেলার চর এলাকা গুলো খুবই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বিশেষ করে ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু একদম মাথার উপর দইয়ে যাবে চর নিজাম, নিঝুম দ্বীপ, হাতিয়া, সন্দীপ এর পর চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড, কুমিরা এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের স্থলে ভাগের উপর দিয়ে প্রবেশ করবে।
সবচেয়ে খারাপ খবর হলো পূর্বের কোন ঘূর্ণিঝড় বাংলাদেশের এত বড় এলাকার উপর দিয়ে যায় নাই। এবার বলা যায় ঘূর্ণিঝড় নিজের লক্ষই নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশের উপকূলীয় চর এলাকার মানুষ গুলোকে সর্বস্বান্ত করে দিবে। হে সর্ব-শক্তিমান বাংলাদেশের উপকূলীয় চর এলাকার চরম দারিদ্র মানুষ গুলোকে রক্ষা করো।
আপডেট ১: ভূ-উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত চিত্র অনুসারে ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু এর সর্বশেষ সম্ভব্য গতিপথ [আপডেট সময়: শুক্রবার রাত ১১ টা]
ছবি: [আপডেট সময়: শুক্রবার রাত ১১ টা]
ছবি সুত্র: Real-Time Hurricane Information Around the Globe
ছবিতে যে বৃত্ত দেখিতেছেন ঐ বৃত্ত গুলোর কেন্দ্র হলো ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু এর কেন্দ্র। ঐ বৃত্ত গুলোর পাশে কাটা-কাটা দাগের মধ্যে যে এলাকা পড়েছে ঐ সকল এলাকার উপর দিয়ে যাবে ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু। লাইনের পাশে যে লেখা গুলো দেখিতেছেন 21/00z, 21/12z তা নির্দেশ করতেছে মে মাসের ২১ তারিখ, ও 00z = রাত ১২ টা, 06Z = ভোর ৬ টা, 12z = দুপুর ১২ টা, 18z = বিকেল ৬ টা সময় নির্দেশ করতেছে (ঐ সময়ে ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু এর কেন্দ্রের অবস্হান)।
ভূ-উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত চিত্র দেখে মনে হচ্ছে বাংলাদেশের উপকূলীয় কোন জেলা বাদ যাইবো না ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু এর আক্রমণ থেকে। পটুয়াখালী, নোয়ালাখি জেলার চর গুলো উচ্চ জলোচ্ছ্বাসের সম্মুখীন হবে। ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু এর কেন্দ্র চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার উপর দিয়ে বাংলাদেশের প্রবেশ করবে। সবচেয়ে চিন্তার বিষয় যে ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু এর কেন্দ্র পটুয়াখালী, নোয়ালাখি জেলার উপকূল অতিক্রম করবে শেষ রাতের দিকে যদি বর্তমান গতি অব্যাহত থাকে। শেষ রক্ষাটা মনে হয় আর হইলো না।
কানাডা সময় বৃঃপতিবার রাতে ঘুমাইতে যাওনের পূর্বে ফেসবুকে নোট ঘূর্ণিঝড় রোয়ানুকে জানি রিয়েল মাদ্রিদ ও বার্সেলোনার ফুটবল ম্যাচের মাধ্যমে লেখে গিয়েছিলাম যে ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু চামে দিয়ে বামে গেলে নোয়াখাইল্লা ও হেনির ভাই-ব্রাদার-গো বাসায় দোওয়াত খাইয়া যইবো আর চামে দিয়া বেশি ডানে গেলে আমরা বাইচা যামু, ধরা খইবো মায়ানমারের মানুষরা। শেষ পর্যন্ত ধরা আমরাই খাইতাছি। চামে দিয়ে এমন বামে যাইতাছে যে উপকূলীয় কোন জেলা বাদ যাইবো না ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু এর আক্রমণ থেকে।
======================================================
কেন বলা হচ্ছে ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলায় আঘাত করতে পারে?
=======================================================
নিচের ছবি ৫ টি ছবি লক্ষ করুন।
উপরের ২ ও ৩ নম্বর ছবিতে (কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত) দেখা যাচ্ছে বঙ্গোপসাগরে কোন এলাকার মেঘের পরিমাণ কেমন। সহজ ভাষায় ব্যাখ্যা করা যায় মেঘের উপর রুলার বা স্কেল বসিয়ে যদি কোন লাইন টানা হয় তবে সেই লাইন চট্টগ্রামে গিয়ে ঠেকে।
ছবি: আকাশে জ্বলীয় বাষ্পের পরিমান
মোটরসাইকেল চালাতে গেলে যেমন পেট্রল দরকার তেমনি ঘূর্ণিঝড় উৎপত্তি স্থল থেকে সামনে এগোতে দরকার মেঘ। বঙ্গোপসাগরে পানি বাষ্পীভবনের ফলে মেঘের সৃষ্টি হচ্ছে সেই সময় মেঘের মধ্যে এক প্রকার তাপ ত্যাগ করে যে তাপকে পদার্থ বিজ্ঞানের ভাষায় বলে সুপ্ত তাপ বা Latent Heat। সহজ ভাষায় বলা যায় যত বেশি পরিমাণ মেঘ সৃষ্টি হবে ঘূর্ণিঝড়টি তত বেশি পরিমাণ শক্তিশালী হবে।
স্কুল জীবনে বিজ্ঞান বইতে তরঙ্গ বা ঢেউ সম্বন্ধে পড়েছেন তা মনে করার চেষ্টা করেন। আপনাদের নিশ্চয় মনে আছে একটা পূর্ণ তরঙ্গের (transverse wave) এর একটা তরঙ্গ শীর্ষ (Crest: A crest is a point on the wave where the displacement of the medium is at a maximum) ও একটি তরঙ্গ পাদ (Trough: A trough is the opposite of a crest, so the minimum or lowest point in a cycle.) থাকে।
ভূ-পৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৮ থেকে ১৬ কিলোমিটার উঁচুতে বায়ু এক প্রকার তরঙ্গ আকারে প্রবাহিত হয়ে থাকে। আবহাওয়া পদার্থ বিজ্ঞানে আমরা এই তরঙ্গটিকে নামকরণ করে থাকি "জেট স্ট্রিম (Jet streams)" নামে। [Jet streams are relatively narrow bands of strong wind in the upper levels of the atmosphere. The winds blows from west to east in jet streams but the flow often shifts to the north and south. Jet streams follow the boundaries between hot and cold air.]
জেট যুদ্ধ বিমান যে গতিতে চলে এই তরঙ্গ বায়ুকে প্রায় একই গতিতে এক স্থান থাকে অন্য স্থানে পরিচালিত করে থাকে। কোন কোন সময় এই জেট স্ট্রিম এর গতি ঘণ্টায় ২০০ কিলোমিটার এর বেশি হয়ে থাকে। এই জেট স্ট্রিমের একটি তরঙ্গের দৈর্ঘ্য হয়ে থাকে কয়েক হাজার কিলোমিটার। ভূ-পৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৮ থেকে ১৬ কিলোমিটার উঁচুতে অবস্থিত জেট স্ট্রিমের তরঙ্গ পাদ (trough) বর্তমানে অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড় রোয়ানুর কেন্দ্রের ঠিক মাথার উপরে।
নিচের যে ছবিটা দেখতে পাচ্ছেন যেখানে ইংরেজি ক্যাপিটাল ল্যাটারে L ও H লেখা আছে। ঐ বর্ণ দুটি যথাক্রমে ভূ-পৃষ্ঠে নিম্ন চাপ কেন্দ্র (Low pressure center) ও উচ্চ চাপ কেন্দ্র (High pressure center) নির্দেশ করতেছে। আমরা সংবাদ পত্রে বা টেলিভিশনে প্রায়ই শুনি যে বঙ্গোপসাগরে নিম্ন চাপের সৃষ্টি হয়েছে। L বর্ণটি শব্দটি বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট সে নিম্ন চাপ কেন্দ্রকে নির্দেশ করতেছে। সাপ যেমন শরীর আঁকা-বাঁকা করে চলে তেমনি একটি রেখা উপরে বাম থেকে ডান দিকে চলে গেছে যার মধ্যে অনেক গুলো তীর চিহ্ন আছে। ঐ রেখাটি জেট স্ট্রীমের পথ নির্দেশ করতেছে। এবারে দেখুন ঐ নিম্ন চাপ কেন্দ্র (Low pressure center) থেকে বঙ্গোপসাগরের অপেক্ষাকৃত গরম পানি বাষ্পীভবনের কারণে উপরে উঠে গিয়ে (ছবিটির ঊর্ধ্বগামী তীর চিহ্ন পথ অনুসারে) জেট স্ট্রীমের মধ্যে পৌঁছানোর পরে সেই মেঘ সামনের দিকে এগিয়ে নিচ্ছে জেট স্ট্রীম। স্রোতের অনুকূলে নৌকা চালালে নোকার গতিবেগের সাথে স্রোতের গতিবেগ যোগ হয়ে নৌকা দ্রুত চলে একই ভাবে ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু এগিয়ে চলছে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে দিকে।
ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার থেকে প্রায় হাজার কিলোমিটার দূরে ভারতের ওড়িষ্যা উপকূলে অবস্থান করতেছে। উপরে জেনেছি যে ঘূর্ণিঝড় উৎপত্তি স্থলের চার পাশে বঙ্গোপসাগরে পানি বাষ্পীভবনের ফলে মেঘের সৃষ্টি হচ্ছে ও একই সাথে বাতাসে শক্তি নির্গত করতেছে যে শক্তি ঘূর্ণিঝড় রোয়ানুকে আরও শক্তিশালী করতেছে।
আসুন ঘূর্ণিঝড় রোয়ানুকে রিয়েল মাদ্রিদ ও বার্সেলোনা এর মধ্যকার একটা ফুটবল ম্যাচের সাথে তুলনা করি। মনে করি বঙ্গোপসাগর এর জলরাশি রিয়েল মাদ্রিদ এর নিজস্ব খেলার মাঠ। ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু বর্তমানে যে স্থানে অবস্থান করতেছে তা হলো রিয়াল মদ্রিদের ডি-বক্স ও চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের উপকূল হলও বার্সেলোনার ডি-বক্স। আর ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু হইলো ফুটবল।
ক্রিশ্চিয়ানও রোনালদো যে গতিতে বল নিয়া নিজেদের ডি-বক্সের সামনে থাইকা বার্সেলোনার ডি-বক্সের দিকে দৌড়াইয়া যায় গোল করার লক্ষ নিয়ে ঠিক একই গতিতে জেট স্ট্রিম ঘূর্ণিঝড় রোয়ানুরে নিয়া আগাইয়া যাইতাছে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের উপকূলের দিকে। নিচের চিত্রের বায়ুর দিক (তীর চিহ্ন) স্পষ্ট ভাবে নির্দেশ করতেছে জেট স্ট্রীম বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় রোয়ানুকে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে রোনালদো যেমন করে বল নিয়া যায় বার্সেলোনার গোল পোষ্টের দিকে।
ক্রিশ্চিয়ানও রোনাল্ড বল নিয়া বার্সেলোনার ডি-বক্সের ভিতর ঢুকে পরলেও সব কিক যেমন বার্সেলোনার গোল পোষ্টে ঢুকে না সুয়ারেজ কামড় দিয়া ডি-বক্সের বাহিরেই প্লেয়াররে আহত কইরা দেয় অথবা সুয়ারেজের কামড়ের ভয়ে পায়ের ব্যালেন্স নষ্ট হইয়া দুয়েকটা বল গোল পোষ্টের ডানে-বামে বা উপর দিয়া বাহির হইয়া যায় তেমনি ঘূর্ণিঝড়ও সব সময় পূর্ব নির্দেশিত স্থানে আঘাত করে না। মাঝে মাঝে চামে দিয়া বাম চলে যায়। তয় এই ক্ষেত্রে চামে দিয়ে বামে গেলে নোয়াখাইল্লা ও হেনির ভাই-ব্রাদার-গো বাসায় দোওয়াত খাইয়া যইবো। তয় চামে দিয়া খুব বেশি ডানে গেলে আমরা বাইচা যামু, ধরা খইবো মায়ানমারের মানুষরা। তবে সর্বশেষ আপডেট হচ্ছে ঘূর্নিঝড়টি বামদিকে সরে এসে বাংলাদেশে উপকূলের সমান্তরালে সামনে আগোচ্ছে ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকার প্রায় সকল জেলার আঘাতের চিহ্ন রেখে যাবে। বিশেষ করে চর অন্বচলের মানুষরা খুব ভাল ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
এই ঘূর্ণিঝড়টি শ্রীলংকায় উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে তখন প্রচুর পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয়েছে সেখানে। ঐ বৃষ্টিপাতের ফলে শ্রীলংকায় ভূমিধ্বস হয়ে প্রায় ৪০০ লোক মাটি চাপা পড়েছে যাদের বেঁচে থাকার কোন সম্ভাবনা নাই। উদ্ধার কাজ চলছে সেখানে।
আশা করছি গত কয়েক বছরে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলায় সংঘটিত ভূমিধ্বস ও হতাহতের ঘটনা নিশ্চয় আমরা ভুলি নাই। আগামী কয়েক দিনে প্রচুর বৃষ্টিপাত হবে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলায়। চট্টগ্রাম জেলায় প্রচণ্ড জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হবে সেটা নাকে সরিষার তেল দিয়া বলা যায়। চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধ্বস হওয়ার সম্ভাবনাও খুবই বেশি।
Better late than never but never late is better
আসুন প্রার্থনা করি সরকারি কর্তা ব্যক্তিদের যেন সময় মতো বোধোদয় হয়। এখনও পর্যাপ্ত সময় হাতে আছে। এই সময় যথেষ্ট উপকূলীয় মানুষদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়। চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার খাড়া পাহাড়ের ঢালে অবস্থিত বস্তির মানুষদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়। ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার পরে ভূমিধ্বসে কোন মানুষের মৃত্যুর খবর পড়তে চাই না পত্রিকার পাতায়।
সর্বশক্তিমান যেন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকার মানুষদের জান ও মাল রক্ষা করেন এই প্রার্থনা করি।
******************************************************************************
কৃত্রিম উপগ্রহ ভূ-পৃষ্ঠের যে ছবি তুলে তা মোটামুটি ৪ প্রকারে চিত্র আকারে প্রকাশ করে:
*******************************************************************************
১) visible satellite imagery (a snapshot of what the satellite sees, সোজা বাংলায় বলতে হয় মেক-আপ ছাড়া নাটক-সিনেমার নায়ক-নায়িকারা দেখতে যেমন হয়) ২) Infrared (IR) satellite imagery (which depicts the temperature of the clouds) ৩) Water Vapor imagery (আকাশে জ্বলিয় বাষ্পের পরিমাণ নির্দেশ করে) ৪) RGB (Red, Green, Blue) satellite imagery (এই প্রকার ছবিকে সাধারণত False color ইমেজ বলে)। ভূ-পৃষ্ঠের বিভিন্ন অবজেক্টকে বুঝার সুবিধার্থে কৃত্রিম উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত visible satellite imagery কে False color দেওয়া হয় বাংলা সিনেমার নায়ক সাকিব খান যেমন লাল লিপিষ্টিক লাগায় ঠোট লাল দেখানোর জন্য (হে হে হে)।
আশা করছি এর পর থেকে কৃত্রিম উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত কোন ছবি দিলে বুঝতে কোন সমস্যা হবে না।
"False color (or false colour) refers to a group of color rendering methods used to display images in color which were recorded in the visible or non-visible parts of the electromagnetic spectrum.)"
নিচে কৃত্রিম উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত ৪ প্রকারের ৪ টি ইমেজ যোগ করে দেওয়া হলো (বাম থেকে ডানে উপরের বর্ণিত ক্রমিক নাম্বার অনুসরণ করবে)
ছবি: ১) visible satellite imagery (a snapshot of what the satellite sees)
ছবি: ২) Infrared (IR) satellite imagery (which depicts the temperature of the clouds)
ছবি: ৩) Water Vapor imagery (আকাশে জ্বলিয় বাষ্পের পরিমাণ নির্দেশ করে)
ছবি: ৪) RGB (Red, Green, Blue) satellite imagery (এই প্রকার ছবিকে সাধারণত False color ইমেজ বলে)
========================================================================
বিঃ দ্রঃ : গতবছর সামহোয়ারইন ব্লগে একটা পোষ্ট দিয়েছিলাম পৃথিবীর যে কোন প্রান্তে চলমান ঘূর্ণিঝড়, টাইফুন কিংবা হ্যারিকেন (সব গুলোকে একত্রে বলে Tropical Cyclone, বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন নাম) থেকে জীবন ও সম্পদ রক্ষার্থে এখনই নিজের কম্পিউটারে বুকমার্ক করে রাখুন নিচের ১ ডজন ওয়েবসাইট। পরবর্তীতে নতুন করে ৪ টি সাইট যুক্ত হয়ে সর্বমোট ১৬ টি ওয়েবসাইট এর লিংক আছে নিচের পোষ্টে। এই সকল সাইট থেকে পৃথিবী পৃষ্ঠে সংঘটিত প্রাকৃতিক দুর্যোগ সম্বন্ধে তথ্য পেতে পারেন।
পৃথিবীর যে কোন প্রান্তে চলমান ঘূর্ণিঝড়, টাইফুন কিংবা হ্যারিকেন থেকে জীবন ও সম্পদ রক্ষার্থে পরিচিত হউন ১ ডজন ওয়েবসাইট এর সাথে
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে মে, ২০১৬ দুপুর ২:১৬