তিনি কবি। তিনি আগুন জ্বালান। আর লিখেন-
যেহেতু তিনি কবি তাই কবিতা জ্বালানোই তাঁর প্রধান কার্য।
অতঃপর - তিনি লিখেন।
সংখ্যায় অজস্র হাতেগুণা লেখা। সবই কবিতা। তিনি ইথারে; পাতায় পাতায় কবিতা জ্বালান।
জীবন বৃত্তান্ত :
নাম : শংকর কুমার চক্রবর্তী। (পিতৃপ্রদত্ত)
কবিতার নাম: এখনও ঝুলন্ত।
পিতা : বিপিণ চন্দ্র চক্রবর্তী।
স্থায়ী ঠিকানা :
গ্রাম- চামরদানী।
থানা- ধরমপাশা।
জেলা- সুনামগঞ্জ।
বর্তমান ঠিকানা- অস্থিতিশীল। অতএব স্থায়ী ঠিকানাই প্রযোজ্য।
জন্ম : গত শতকের ৬০ এর দশকের শেষের দু’টি বছর হতে যে কোন একটি বছরের কোন এক দিন।
ধর্ম : সনাতন।
জাতীয়তা: বাংলাদেশি।
শিক্ষাগত যোগ্যতা: চলমান কবি।
প্রথম লিখা কবিতা: 'পোড়ন বৃক্ষ'(১৯৮৫)
বর্তমানে : শূন্য কিংবা ডটকম হাওয়ায়... লিখছেন আর লিখছেন কবিতা: ইতারের পোড়ান.....
স্মরণীয় ঘটনা : পাথরে ঘসে তিনি কোন দিন আগুন জ্বালাননি। অথচ পাশের জনই অবলীলায় পাথরে, গাছের বাকলে এমনকি মরা কাঠে ঘষে ঘষে জ্বালিয়ে যায় আগুন- আর ধীরে তাঁর নিজের ভিতরে বেড়ে ওঠে আগুনের গাছ। তারপর সেই গাছেরই ফল 'পোড়ন বৃক্ষ'।
এখন তিনি সেই বৃক্ষের চাষ শুরু করেছেন। আর সেই বৃক্ষ প্রসবিত ফল খেয়ে খেয়ে শুধুই হাঁটেন আর হাঁটেন। তাঁর হাঁটা চলে সব না হাঁটা পথে। অতঃপর না হাঁটা পথেই হেঁটে হেঁটে গড়ে তোলেন আগুনের সংসার....
তাঁর ভাষায়, 'আগুনের থেকে সুন্দর কিছু দেখা হয়নি আমার।'
সবচেয়ে কষ্টদায়ক ঘটনা: নাম সংক্রান্ত জটিলতায় বাবু শংকর কুমার চক্রবর্তী আজ পর্যন্ত কোথাও কবিতা প্রকাশ করতে পারেন নি। কি নামে তিনি কবি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবেন তাই নিয়ে তিনি দ্বিধা দ্বন্দ্বসহ মনঃকষ্টে ভুগছেন। পিতা স্বর্গবাসী। তাই পিতৃ প্রদত্ত নামের কিছু না কিছু তিনি রাখনেই। না হয় স্বর্গে থেকেও পিতা নরক যন্ত্রণা ভোগ করবেন পুত্রের কার্যে। তাই বাবু শংকর কুমার চক্রবর্তী নাম সংক্রান্ত গবেষণা নিম্নরূপ:
১। শংকর কুমার চক্রবর্তী - সেকেলে।
২। শংকর - এই নাম পূর্বে ব্যবহৃত হয়েছে।
৩। শংকর কুমার - ফিল্মে চলে, কবিতায় না।
৪। শংকর চক্রবর্তী - সাম্প্রদায়িক হবে না তো?
৫। তারা শংকর - ২নং এর অনুরূপ।
৬। শংকর তারা - ধুৎ।
৭। শং-কর ৎস্।
৮। ব্যোম শংকর - গাঁজারো, অতএব-
৯। তারা শংকর - মোটামুটি।
১০। শংকরের তারা - ঐ।
এইরূপ নাম সংক্রান্ত জটিলতার আবর্তিত হয়ে ইথারে ইথারে কবিতা পোড়ানো কবি শংকর কুমার চক্রবর্তী আপাতত আবার পুড়ছেন।
সূত্র : ইথারে কবিতা পোড়া গন্ধ।