বিশ্ববিদ্যালয়েরর ভর্তি পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করতে গিয়ে একই ফ্যাকল্টিতে একই প্রশপত্রে পরীক্ষা দিয়ে আমি পেয়েছিলাম ১২৫ থেকে ৯৩.১০ আর আমার কলেজে ইয়ারমেট চাকমা বন্ধুটি পেয়েছিল ৩৯ নম্বর । কিন্তু সাবজেক্ট ডিষ্ট্রিবিউশনেরসময় দেখা গেল আমি পেলাম "ইতিহাস" আর উপজাতি বন্ধুটির ভাগ্যে জুটলো ইংরেজি কিংবা জার্নালিজম । এর ঠিক পাঁচদিন পর আবারো জানতে পেলাম সেএকই বন্ধুটি ঢাবিতে চান্স পেয়েছে ।সেদিন মনে খুব দুঃখই লাগছিল । সেদিনই বুঝতে পেরেছিলাম কোটা জিনিসটার মানে কি ! কোটার মানে হলো অযোগ্যদেরকে বিধির
বলে যোগ্যদের স্হানে পৌছিয়ে দেওয়া ।
ইদানিং দেশের শিক্ষিত তরুন সমাজ কোটা প্রথার বিরুদ্ধে ঐক্য হচ্ছে দেখে খুবই ভালো লাগছে । দেশের অনেকেই হয়তো জানেনা পার্বত্য
চট্টগ্রামে তিন দশক ধরে চলে আসছে এই সমাজ বিধধংসী কোটা পদ্ধতি । দেশের প্রত্যকটি বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ, ক্যাডেট কলেজ, বিসিএস সহ প্রত্যকটি চাকরির ক্ষেত্রে উপজাতিদের জন্য ৫% কোটা সংরক্ষিত আছে । যার ফলে হাজার হাজার অযোগ্য উপজাতিরা চলে যাচ্ছে রাষ্ট্রের গুরুত্বপুর্ন পদগুলোতে । পার্বত্য চট্টগ্রামের হাতে গোনা কিছু সংখ্যক উপজাতিদের মধ্যে আজ অধিকাংশ উচ্চ শিক্ষিত আর সরকারী চাকুরে । প্রজাতন্ত্রের এসকল উপজাতি কর্মকর্তারা শুধু ভালো পজিশনে চাকরি পেয়েই ক্ষান্ত হয়না । যার যার অবস্হান থেকে এদের নিজ
দায়িত্বে প্রতিনিয়ত দেশবিরোধী প্রচারনায় ব্যস্ত থাকতে দেখা যায় ।
পার্বত্য চট্টগ্রামের একজন উপজাতি ছাত্র কোনমতে টেনেটুনে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করতে পারলেই তাদের আর কোন চিন্তা থাকেনা । নিশ্চিত যে কোন
একটি সরকারি অফিসারের পদ তার জন্য অপেক্ষা করছে । পক্ষান্তরে,একই জলবায়ু, পরিবেশে বাস করেও পার্বত্য চট্টগ্রামের বাঙালিরা এসকল সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে যুগের পর যুগ । যার ফলে এ অঞ্চলের বসবাসকারিদের মধ্য দিনেদিনে মারাত্নকভাবে শ্রেনী বৈষম্য
বাড়ছে ।পাঃ চট্টগ্রামে সরেজমিন ঘুরলেই উপজাতি বাঙালিদের মধ্য
রাজা প্রজা সম্পর্কটি স্পষ্ট পরিলক্ষিত হয়।
যেখানে দেশের হাজারো মেধাবিরা তাদের যোগ্যতানুযায়ী নুনতম কিছুকরতে পারছেনা আর সেখানে সামান্য কয়টা উপজাতির জন্য আমাদের সরকারগুলোর কিসের এতো দরদ তা খতিয়ে দেখবার সময় হয়েছে এখন । তাইএকজন পার্বত্য বাঙালী হিসেবে দেশের তরুন সমাজের সাথে সুর মিলিয়ে আমিও বলতে চাই ,সমাজ ধবংসকারী কোটা পদ্ধতি মানিনা মানবোনা ।।
লিখেছেনঃ গাজী সালাউদ্দীন